কুক্কুরীপদানাম
অন্যতম প্রাচীন বাঙালি
কবি।
তিনি
লুইপার
শিষ্য ছিলেন এবং তাঁর শিষ্যেরা ছিলেন
ডোম্বীপা ও
বিরুপা।
তিনি
লুইপার
অপর শিষ্য
দারিকপা'র সমসাময়িক
ছিলেন। এই সূত্রে ধারণা করা হয়
তিনি ৮১০-৮৮০ খ্রিষ্টাব্দের কবি ছিলেন।
তাঁর শিষ্য ছিলেন ইন্দ্রভূতি।
সুকুমার সেনের মতে-
কুক্কুরীপা নামটি কুক্কুরীপাদ নামের সংক্ষেপ। তাঁর নাম ও জন্মস্থান
নিয়ে নানা মত রয়েছে। যেমন―
রাহুল সংকৃত্যায়নের মতে- তিনি ছিলেন কপিলাবস্তুর ব্রাহ্মণ। তিনি লুম্বিনী নামক এক সাধিকার কাছে মহামুদ্রা সিদ্ধিলাভ করেন। এই সাধিকা পূর্বজন্মে কুক্কুরী ছিলেন। এই কারণে এই কবি কুক্কুরীপাদ নামগ্রহণ করেছিলেন। তারানাথের মতে এই কবির সাথে একটি কুক্কুরী সবসময় থাকতো বলেই, তাঁর নাম হয়েছিল কুক্কুরী পা।
ড. সুকুমার সেনের মতে, কুক্কুরীপার ভাষার সাথে নাড়িদের ভাষাগত মিল আছে। তাই তিনি নারীও হতে পারেন।
হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর আবিষ্কৃত চর্যাগীতিগুলোর ভিতরে এঁর রচিত পদ
৩টি। চর্যাগীতির সঙ্কলনে এই পদ
৩টির ক্রমিক সংখ্যা। এই চর্যাগুলো হলো-
রচনাবলী
১। মহামায়াসাধন।
সংস্কৃত গ্রন্থ।
২। চর্যাগীতির সংকলনে গৃহীত ২টি বাঙলায় রচিত
চর্যাগান।
তথ্যসূত্র
:
চর্যাগীতিকা/মুহম্মদ আবদুল হাই ও আনোয়ার পাশা সম্পাদিত। ষ্টুডেন্ট ওয়েজ।
অগ্রহায়ণ ১৪০২।
চর্যাগীতি কোষ/নীলরতন সেন। সাহিত্যলোক। জানুয়ারি ১৯৭৮।
চর্যাগীতি পরিক্রমা/ড. নির্মল সেন। দে'জ পাবলিশিং, জানুয়ারি ২০০৫।
চর্যাগীতি প্রসঙ্গ/সৈয়দ আলী আহসান। মৌলি প্রকাশনা, জুন ২০০৩।
বাংলাভাষার ইতিবৃত্ত/ডঃ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। মাওলা ব্রাদ্রার্স, মার্চ ২০০০।
হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধ গান ও দোহা/হরপ্রসাদ শাস্ত্রী।
(বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ, ১৩২৩)
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী রচনা-সংগ্রহ (দ্বিতীয় খণ্ড)। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুস্তক
পর্ষৎ, নভেম্বর ২০০০