কামারুজ্জামান, মুহাম্মদ
১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ের যুদ্ধাপরাধী।  জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল (২০১৩)। জামায়েত ই-ইসলামী'র পরিচালিত দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার সাবেক নির্বাহী সম্পাদক এবং 'সাপ্তাহিক সোনার বাংলা' পত্রিকার সাবেক সম্পাদক।

মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দের ৪ জুলাই, শেরপুর জেলার বাজিতখিলা ইউনিয়নের কুমরি মুদিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম ইনসান আলী। উল্লেখ্য, সে সময় শেরপুর ছিল, তদানীন্তন ময়মনসিংহ জেলার জামালপুর মহুকুমার অন্তর্গত একটি থানা।

নিজ গ্রাম কুমরি মুদিপাড়া'র কামরিকালিটোলা প্রাথমিক স্কুল থেকে তিনি প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে, শেরপুর সদরের গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়  স্কুলে ভর্তি হন। ১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দে কামারুজ্জামান এই স্কুল থেকে তিনি এসএসসি পাস করেন। এরপর ময়মনসিংহের নাসিরাবাদ কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এইসময় জামায়েত ই-ইসলামী'র রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। ময়মনসিংহের জামায়েত ই-ইসলামী'র রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করায়, জামায়াত ও তৎকালীন ইসলামী ছাত্রসংঘের আদেশে তিনি জামালপুর আশেক মাহমুদ কলেজে ভর্তি হন। উল্লেখ্য সেসময় এই কলেজটি ছিল বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চল ছাত্র সংঘের অন্যতম ঘাঁটি।

১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে কামারুজ্জামান ছিলেন জামায়েত ই-ইসলামী'র  তৎকালীন ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘ-এর ময়মনসিংহ জেলার প্রধান। ২২ এপ্রিল, ময়মনসিংহ জেলা ইসলামী ছাত্রসংঘের সভাপতি মুহম্মদ আশরাফ হোসাইনের নেতৃত্বে জামালপুর শহরে আল্‌ বদর  বাহিনী গঠিত হয়েছিল। এই দল গঠন করার পর, জামায়েত ই-ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রসংঘের হাইকমান্ড কামারমুজ্জামানের নেতৃত্বে পরীক্ষামূলকভাবে ময়মনসিংহে আল্‌ বদর বাহিনীকে বিশেষ ট্রেনিং দেয়া শুরু করে। এরপর থেকে আল্‌ বদর বাহিনী কামারুজ্জামানের নেতৃত্বে পরিচালিত হতে থাকে।

১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ জুলাই সোহাগপুর গ্রামে জামায়াতের নেতা কামারুজ্জামানের নির্দেশে তাঁর অধীনস্থ স্থানীয় আলবদর ও রাজাকারদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ১৮৬ জন নিরীহ পুরুষকে হত্যা করা হয়। তখন গ্রামটি পুরুষশূন্য হয়ে পড়ে। এরপর থেকে গ্রামটি সোহাগপুর বিধবাপল্লি হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।

১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ আগস্ট তারিখে দৈনিক সংগ্রামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়,

'পাকিস্তানে ২৫তম আজাদী দিবস উপলক্ষে গত শনিবার মোমেনশাহী আলবদর বাহিনীর উদ্যোগে মিছিল ও সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় মুসলিম ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এই সিম্পোজিয়ামে সভাপতিত্ব করেন আল্‌ বদর  বাহিনীর প্রধান সংগঠক জনাব কামারুজ্জামান। এক তারবার্তায় প্রকাশ, সিম্পোজিয়ামে বিভিন্ন বক্তাগণ দেশকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত দুশমনদের সম্পর্কে সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন।'

কামারুজ্জামানের নির্দেশে জামালপুরে আল্‌ বদর-এর ৭টি কুখ্যাত ক্যাম্প স্থাপিত হয়।পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ঘাতক বাহিনী আল্‌ বদর -এর মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার চাঞ্চল্যকর সব তথ্য নিয়ে নির্মিত 'আলবদর : এ কিলিং স্কোয়াড অব পাকিস্তান আর্মি, ১৯৭১' নামের প্রামাণ্যচিত্রে কামারুজ্জামানের যুদ্ধাপরাধ উঠে এসেছে।

সেখানে বলা হয়েছে, জামালপুরে কুখ্যাত আলবদর বাহিনীর যে সাতটি ক্যাম্প ছিল, এর ভিতরে শেরপুরের সুরেন্দ্র মোহন সাহার বাড়ির ক্যাম্পটি ছিল সবচেয়ে বিভীষিকাময় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। উল্লেখ্য এই ক্যাম্পটির তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন কামারুজ্জামান। অন্তত ৮০-৯০ জন মুক্তিযোদ্ধা ও নিরীহ বাঙালিকে হত্যা করা হয় এই ক্যাম্পে। এসব নির্যাতন আর হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ সহযোগী ছিলেন আলবদর বাহিনীর জামালপুর সাবডিভিশনের প্রধান আবদুল বারী এবং সদস্য নাসির ও কামরান। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আশরাফের সহযোগী আবদুল বারীর একটি ডায়েরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা ও হিন্দু মেয়েদের ধর্ষণের সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়। ওই ডায়েরিতে কামারুজ্জামানের নির্দেশেই যে টর্চার ক্যাম্পে বন্দি গোলাম মোস্তফা তালুকদারকে গুলি করে হত্যা করা হয়, সে কথার উল্লেখ আছে।

১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তানী সেনাবাহিনী রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) আত্মসমর্পণ করলে, কামারুজ্জামান সিলেটের দরগামহল্লায় আত্মগোপন করেন।

শেরপুরের বাসিন্দা ফজলুল হক তাঁর ছেলে বদিউজ্জামানকে হত্যার জন্য কামারুজ্জামানকে দায়ী করে, ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ২ মে বদিউজ্জামানের বড় ভাই হাসানুজ্জামান বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায়  মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় ১৮ জন আসামির অন্যতম ছিলেন কামারুজ্জামান। মামলাটির নম্বর ২(৫) ৭২ ও জিআর নম্বর ২৫০ (২) ৭২।' কিন্তু এই সময় তাঁকে গ্রেফতার করা যায় নি।

১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দে আত্মগোপন করে থাকা অবস্থায় কামারুজ্জামান ঢাকাস্থ আইডিয়াল কলেজে থেকে বিএ পাশ করেন। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তি হন। এই সময় গোপনে ছাত্র-সংঘের পুরানো নেতাকর্মীদের সমন্বয় করার কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন।

১৯৭৪-৭৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ইসলামী ছাত্রসংঘের ঢাকা মহানগরীর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রী লাভ করেন। এই সময় তিনি সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন।

১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে হজ্জ্ব আদায় করেন।

১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিকে জামায়াতের তৎকালীন আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আহজারুল ইসলাম, কাদের মোলা, মীর কাশেম আলী, আবু তাহের সহ অন্যান্যদের উপস্থিতিতে- 'ইসলামী ছাত্র-সংঘ'-এর নাম পরিবর্তন করে 'ইসালামী ছাত্রশিবির' নামকরণ করা হয়। ছাত্রশিবিরের প্রথম কমিটির সভাপতি ছিলেন মীর কাশেম আলী। আর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন কামারুজ্জামান।

১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দে তিনি বেগম নূরন্নাহারকে বিয়ে করেন। কামারুজ্জামান পাঁচ পুত্র সন্তানের জনক।

১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল মাসে তিনি ছাত্রশিবিরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পান। এই বৎসরের মে মাসে তিনি শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৭৮-৭৯ সেশনে দ্বিতীয়বারের মত শিবিরের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকার অদূরের মৌচাক স্কাউট ক্যাম্পে ইসলামী ইয়থ ক্যাম্প নামে একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ সেই ক্যাম্পে যোগদান করেন। জনাব কামারুজ্জামান সেই কর্মশালার মূখ্য আয়োজক ও ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দে অক্টোবরে জামায়াতে ইসলামীতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেন। এই বৎসরের ১৬ই ডিসেম্বর তিনি রোকন হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।

১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দে জানুয়ারীতে তিনি মাসিক ঢাকা ডাইজেস্ট পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে যোগদান করেন।

১৯৮১-৮২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ঢাকা মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারীর দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান। এই দায়িত্বের অংশ হিসেবে তিনি সাপ্তাহিক সোনার বাংলা  পত্রিকার সম্পাদনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

১৯৮৫-৮৬ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ঢাকা সাংবাদিক সমিতির (ডিইউজে) এবং বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অব জার্নালিস্ট (বিএফইউজে) সদস্যপদ পান।

১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দে জামায়েত ই-ইসলামী'র কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর কার্যক্রমের সফলতার কারণে, ১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দে তাঁকে জামায়েত ই-ইসলামী'র সহকারী সেক্রেটারীর পদ দেওয়া হয়।

সাত অভিযোগ

  • প্রথম অভিযোগ : কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ হলো, একাত্তরের ২৯ জুন তাঁর নেতৃত্বে আলবদররা শেরপুরের ঝিনাইগাতি থানার রামনগর গ্রামের বদিউজ্জামানকে অপহরণ ও নির্যাতনের পর গুলি করে হত্যা করে।
     
  • দ্বিতীয় অভিযোগ : কামারুজ্জামান ও তাঁর সহযোগীরা শেরপুর কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ আবদুল হান্নানকে প্রায় নগ্ন করে শহরের রাস্তায় হাঁটাতে হাঁটাতে চাবুকপেটা করেন।
     
  • তৃতীয় অভিযোগ : ২৫ জুলাই কামারুজ্জামানের পরামর্শে পরিকল্পিতভাবে আলবদর ও রাজাকার বাহিনী পাকিস্তানি সেনাদের নিয়ে শেরপুরের নালিতাবাড়ীর সোহাগপুর গ্রামে নির্বিচারে হত্যাকাণ্ড চালায় ও নারীদের ধর্ষণ করে।
     
  • চতুর্থ অভিযোগ : কামারুজ্জামানের নির্দেশে আলবদর বাহিনীর সদস্যরা গুলি করে শেরপুরের গোলাম মোস্তফাকে হত্যা ও আবুল কাসেমকে আহত করে।
     
  • পঞ্চম অভিযোগ : মুক্তিযুদ্ধকালে কামারুজ্জামান ও সহযোগীরা শেরপুরের লিয়াকত আলী ও মুজিবুর রহমান পানুকে অপহরণ ও নির্যাতন করে।
     
  • ষষ্ঠ অভিযোগ : একাত্তরের নভেম্বরে কামারুজ্জামানের নির্দেশে আলবদররা টুনু ও জাহাঙ্গীরকে আটকের পর নির্যাতন করে। টুনুকে হত্যা করা হয়।
     
  • সপ্তম অভিযোগ : কামারুজ্জামান ও আলবদরের সদস্যরা ছয়জনকে বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে।

২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি-জামাত জোটের পক্ষে জাতীয় সংসদের শেরপুর-১ (সদর উপজেলা) আসনে প্রার্থী হয়েছিলেন।

২০১০ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ জুলাই কামারুজ্জামানকে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়। ওই বছরের ২ অক্টোবর তাঁকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

২০১১ খ্রিষ্টাব্দের ১১ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনাল-১-এ তাঁর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।

২০১২ খ্রিষ্টাব্দে ১৬ এপ্রিল মামলাটি ট্রাইব্যুনাল-২-এ স্থানান্তর করা হয়।

২০১২ খ্রিষ্টাব্দের ৪ জুন ট্রাইব্যুনাল-২ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি অভিযোগ গঠন করেন। ২ জুলাই এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। তদন্ত কর্মকর্তাসহ রাষ্ট্রপক্ষের ১৮ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন এবং আসামিপক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন পাঁচজন।

২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের  ১৩ ফেব্রুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লা ও অভিযুক্ত কামারুজ্জামানের প্রেস ক্লাবের সদস্য পদ বাতিল করা হয়।

২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর বিচারের কাজ অব্যহত থাকে। এই সূত্রে ২৪ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শুরু হয় এবং শেষ হয় ৩১ মার্চ। আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন ২ এপ্রিল শুরু হয়ে ১৫ এপ্রিল শেষ হয়। যুক্তি উপস্থাপন শেষে ১৬ এপ্রিল মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষাধীন রাখেন ট্রাইব্যুনাল।

২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ৯ মে, বৃহস্পতিবার মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।

২০১৩  খ্রিষ্টাব্দের ৬ই জুন এই দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে ও খালাস চেয়ে
আপিল করেন।
২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের ৫ই জুন থেকে আপিলের শুনানি শুরু হয়ে শেষ হয় ১৭ই সেপ্টেম্বর।
২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের ৩রা নভেম্বর সোহগপুরে গণহত্যার দাযে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ চূড়ান্ত রায়ে তাঁর মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখে।


তথ্যসূত্র