১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ছুটি নিয়ে মনোমালিন্যের কারণে শরৎচন্দ্র চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে রেঙ্গুন ত্যাগ করে বাংলায় ফিরে আসেন। বার্মার পাট চুকিয়ে কলকাতায় ফিরে আসেন। এরপর থেকে উপন্যাস ছাড়াও তিনি
প্রচুর ছোট-বড় গল্প রচনা করেন। বার্মাতে তিনি ভ্রমণকাহিনী হিসাবে শ্রীকান্ত রচনা
শুরু করেন, পরে তা কলকাতায় শেষ করেছিলেন।
শেষ বয়সে শরৎচন্দ্র হাওড়া জেলার পানিত্রাস (সামতাবেড়) গ্রামের মাটির বাড়িতে বাস করতেন।
স্থানটি ছিল দক্ষিণ-পূর্ব রেলের দেউলটি স্টেশন থেকে চার-পাঁচ কিলোমিটারের পথ সামতাবেড়ের বাড়িটা রূপনারায়ণ নদের তীরে। ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দের বন্যায় পাশাপাশি সব গাঁয়ের মাটির বাড়ি নিশ্চিহ্ন হয়ে
গেলেও শরৎচন্দ্রের মাটির বাড়িটা রূপনারায়ণের কূলে থেকেও আশ্চর্যজনকভাবে রক্ষা পেয়ে যায়।
এরপর শরৎচন্দ্র শিবপুরে চলে আসেন। এই কারণে বর্তমানে শিবপুর ব্যাতাইতলা বাজার থেকে চ্যাটার্জিহাট পর্যন্ত রাস্তা শরৎচন্দ্রের নামে
নামকরণ করা হয়েছে।
১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দে শরৎচন্দ্র ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়া শুরু করেন। চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি স্বাস্থ্য উদ্ধারের উদ্দেশ্যে দেওঘরে তিন চার মাস কাটিয়ে কলকাতা ফিরে এলে আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই সময় তার যকৃতের ক্যান্সার ধরা পড়ে, যা তার পাকস্থলী পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছিল। বিধানচন্দ্র রায়, কুমুদশঙ্কর রায় প্রমুখ চিকিৎসক তার অস্ত্রোপচারের পক্ষে মত দেন। চিকিৎসার জন্য তাকে প্রথমে দক্ষিণ কলকাতার সাবার্বান হসপিটাল রোডের একটি ইউরোপীয় নার্সিং হোমে ও পরে ৪ নম্বর ভিক্টোরিয়া টেরাসে অবস্থিত পার্ক নার্সিং হোমে ভর্তি করা হয়।
১৯৩৮ খ্রিষ্টাব্দের ১২ জানুয়ারি শল্য চিকিৎসক ললিতমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় তার দেহে অস্ত্রোপচার করেন, কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। চার দিন পর ১৬ জানুয়ারি সকাল দশটায় শরৎচন্দ্র শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
উপন্যাস | গল্প | গ্রন্থিত অপ্রকাশিত রচনা | ||
অরক্ষণীয়া গৃহদাহ চন্দ্রনাথ চরিত্রহীন দত্তা দেনা-পাওনা দেবদাস (১৯১৭) নব-বিধান নিষ্কৃতি পথের দাবী পণ্ডিতমশাই পরিনীতা পল্লী-সমাজ বামুনের মেয়ে বিপ্রদাস বিরাজবউ বৈকুন্ঠের উইল বড়দিদি শুভদা (অধ্যায় ১) শুভদা (অধ্যায় ২) শেষ প্রশ্ন শেষের পরিচয় (অসমাপ্ত উপন্যাস) শ্রীকান্ত (চতুর্থ পর্ব) শ্রীকান্ত (তৃতীয় পর্ব) শ্রীকান্ত (দ্বিতীয় পর্ব) শ্রীকান্ত (প্রথম পর্ব)
বিজয়া
তরুণের বিদ্রোহ |
অনুপমার প্রেম অনুরাধা অভাগীর স্বর্গ আঁধারে আলো আলো ও ছায়া একাদশী বৈরাগী কাশীনাথ ছবি ছেলেধরা দর্পচূর্ণ পথ-নির্দেশ পরেশ বছর-পঞ্চাশ পূর্বের একটা কাহিনী বাল্য-স্মৃতি বিন্দুর ছেলে বিলাসী বোঝা মন্দির মহেশ মামলার ফল মেজদিদি রামের সুমতি লালু ১ লালু ২ লালু ৩ সতী স্বামী হরিচরণ হরিলক্ষ্মী |
'সাহিত্যের
মাত্রা' অপ্রকাশিত খণ্ডরচনা আগামীকাল আত্মকথা আসার আশায় কানকাটা ক্ষুদ্রের গৌরব জলধর-সম্বর্ধনা জাগরণ দিন-কয়েকের ভ্রমণ-কাহিনী নারীর লেখা নূতন প্রোগ্রাম বর্তমান রাজনৈতিক প্রসঙ্গ বর্তমান হিন্দু-মুসলমান সমস্যা বাংলা নাটক বাংলা বইয়ের দুঃখ বাল্য-স্মৃতি বেতার-সঙ্গীত ভাগ্য-বিড়ম্বিত লেখক-সম্প্রদায় মহাত্মাজী মহাত্মার পদত্যাগ মুসলিম সাহিত্য-সমাজ যুব-সঙ্ঘ রবীন্দ্র-জয়ন্তী উপলক্ষে মানপত্র রস-সেবায়েৎ রসচক্র শুভেচ্ছা সত্য ও মিথ্যা সত্যাশ্রয়ী সধবার একাদশী সমাজ-ধর্মের মূল্য সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা (এক) সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা (দুই) সাহিত্য সম্মিলনের রূপ সাহিত্যের আর একটা দিক |
||
অপ্রকাশিত পাণ্ডুলিপি |
||||
'বামুনের মেয়ে'র
নাট্যরুপ 'বিপ্রদাস'-এর পরিত্যক্ত এক পৃষ্ঠা 'শেষের পরিচয়' - এর অপ্রকাশিত অংশ 'শ্রীকান্ত'র পরিত্যক্ত অংশ অন্তর্যামী |
একটি অসমাপ্ত গল্প কোরেল দু'টি আবেদন দুটি অসমাপ্ত প্রবন দেশসেবা |
বারোয়ারি উপন্যাস বিচার ভালমন্দ মাতৃভাষা এবং সাহিত্য ৫৭তম জন্মদিনে প্রতিভাষণ |