সৌদামিনী
দেবী
দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কন্যা ও
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের
বড় বোন।
দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের
সন্তানদের মধ্যে প্রথম সন্তানটি কন্যা, ১৮৩৮ খ্রিষ্টাব্দে এই কন্যার জন্মের পরেই
মৃত্যুবরণ করেন। এরপর জন্মগ্রহণ করেন চারটি পুত্র সন্তান। এরপর ১৮৪৭ খ্রিষ্টাব্দে
জন্মগ্রহণ করেন, দ্বিতীয় কন্যা সৌদামিনী দেবী। দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম কন্যার
অকাল মৃত্যুর কারণে, সৌদামিনী দেবীই দেবেন্দ্রনাথের জ্যেষ্ঠা কন্যা হিসেবে অভিহিতা
হয়েছেন।
দেবেন্দ্রনাথের কন্যাদের ভিতরে একমাত্র সৌদামিনী দেবীকেই তিনি কিছুদিন স্কুলে
পাঠাইয়েছিলেন। এই স্কুলটির নাম ছিল 'বেথুন স্কুল'। কিছুদিন পর তাঁকে স্কুলের পড়া
বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং ১৮৫৬ খ্রিষ্টাব্দের দিকে সারদাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়ের সাথে
তাঁর বিবাহ দেওয়া হয়। ১৮৫৯ খ্রিষ্টাব্দে এঁদের প্রথম পুত্র সারদাপ্রসাদ
গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম হয়। এরপর ইরাবতী এবং ইন্দুমতী নামে তাঁর আরও দুটি কন্যা সন্তান
জন্মগ্রহণ করেন।
১৮৮৩ খ্রিষ্টাব্দের ৯ ডিসেম্বর তাঁর স্বামী সারদাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়ের মৃত্যুর হয়।
এরপর তিনি পুত্রকন্যাদের নিয়ে ঠাকুরবাড়িতেই কাটান। অবশ্য ১৮৭৫ খ্রিষ্টাব্দে
দেবেন্দ্রনাথের পত্নী সারদাদেবীর মৃত্যুর পর, বৃহৎ ঠাকুর পরিবারের তিনিই গৃহকর্তীর
দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯২০ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগষ্ট তিনি মৃত্যবরণ করেন।
পিতা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে তাঁর একমাত্র রচনা 'পিতৃস্মৃতি'। কিন্তু ঠাকুরবাড়ির
সাঙ্গীতিক পরিবেশে তিনিও সঙ্গীতানুরাগিণী হয়ে উঠছিলেন। তাঁর তাঁর রচিত গানের নমুনা
খুব বেশি পাওয়া যায় না। ঠাকুরবাড়িতে তাঁর রচিত একটি ব্রহ্মসঙ্গীত বেশ জনপ্রিয়তা
পেয়েছিল। এই গানটি হলো−
প্রভু পূজিব
তোমারে।
তথ্যসূত্র:
সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান
রবিজীবনী (১-৯ খণ্ড)। প্রশান্তকুমার পাল