সুরেশদা কবিকে ভৈরব রাগের প্রচলিত রূপ এড়িয়ে নতুন সুরের রূপ সৃষ্টি করতে অনুরোধ করেন। কবি সেই নিয়ে মেতে উঠলেন, এমনকি ঘুমের মধ্যেও রাগ-রাগিণীর স্বপ্ন দেখতে লাগলেন, নতুন ভৈরব রাগের উদ্ভাবন করলেন অরুণ ভৈরব, উদাসী ভৈরব, রুদ্র ভৈরব ইত্যাদি।'
এই সময় ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের
অক্টোবর মাসে লুপ্ত রাগের পুনরুদ্ধার এবং তা প্রচারের জন্য 'হারামণি' নামক একটি
নতুন ধরনের ধারাবহিক অনুষ্ঠান শুরু করেন। ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের ৮ অক্টোবরের (রবিবার,
২১ আশ্বিন ১৩৪৬)এই অনুষ্ঠানটি প্রথম প্রচারিত হয়েছিল কলকাতা বেতার কেন্দ্ররের
সান্ধ্য অনুষ্ঠানে।
১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের ১০ই জানুয়ারি কলকাতা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত হয়েছিল-
জগৎ ঘটক-
এর প্রবাহ নামক
গীতি-আলেখ্য। এই গীতি-আলেখ্যের পরিকলপনাকারী ছিলেন সুরেশচন্দ্র।
ভারত বিভাগের কিছু আগে তিনি চট্টগ্রামের আর্য সঙ্গীত সমিতির অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন
করেন। এরপর কিছুদিন তিনি আকাশবাণীতে মিউজিক প্রডিউসারের দায়িত্ব পালন করেন। শেষ
জীবনে তিনি দিল্লীতে মিউজিক ডেপুটি প্রডিওসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৬৫ খ্রিষ্টাব্দের ৫ অক্টোবর (১৭ আশ্বিন ১৩৭২) তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
সুরেশচন্দ্রের রচিত গ্রন্থ