ছন্দিতা
গীতিআলেখ্য


কাজী নজরুল ইসলাম ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দের দিকে সংস্কৃত ছন্দে গান রচনায় আগ্রহী ওঠেন। এই সূত্রে তিনি  শুরুর দিকে, ১০টি গান রচনা করেন। এ সকল গানের সংকলনই হলো 'ছন্দিতা' । ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ জুলাই (শনিবার ১০ শ্রাবণ ১৩৪৮), রাত ৮টা থেকে ৮.৪০ পর্যন্ত 'ছন্দিতা' কলকাতা বেতার থেকে প্রচারিত হয়েছিল।

The Indian Listener পত্রিকার Vol VI, No. 14, 7 july 1941 -সংখ্যার ৭১ পৃষ্ঠায় এই গীতি-আলেখ্যের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এই বিবরণ থেকে জানা যায়, সংস্কৃত ছন্দের মাত্রা অনুসরণে নজরুল কিছু নতুন তাল তৈরি করেছিলেন এবং এই তালেই কিছু নতুন গান তৈরি করেছিলেন।

এই অনুষ্ঠানে যন্ত্রানুষঙ্গে ছিল যন্ত্রী সংঘ। ধারাবিবরণে ছিলেন এস. সি চক্রবর্তী। শিল্পীরা ছিলেন শৈল দেবী, ইলা ঘোষ ও চিত্তরঞ্জন রায়।

১৩৬৫ খ্রিষ্টাব্দের ২৫শে বৈশাখ 'ছন্দিতা' শেষ সওগাত' কাব্যগ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল। এই গানগুলো হলো-
১. স্বাগতা কনক চম্পক বর্ণা (স্বাগতা ছন্দ) [তথ্য]
২. মহুয়া- বনে-বন-পাপিয়া (প্রিয়া ছন্দ)[তথ্য]
৩. বন কুসুম তনু তুমি কি মধুমতী (মধুমতী ছন্দ) [তথ্য]
৪. মত্ত ময়ূর ছন্দে নাচে কৃষ্ণ প্রেমানন্দে (মত্ত ময়ূর ছন্দ) [তথ্য]
৫. ভ্রমর নূপুর পরিহিত কৃষ্ণ কুন্তলা (রুচিরা) [তথ্য]
৬. দীপক মালা গাঁথ গাঁথ সই (দীপক মালা ছন্দ) [তথ্য]
৭..জল ছল ছল এসো মন্দাকিনী (মন্দাকিনী) [তথ্য]
৮. আজো ফাল্গুনে বকুল কিংশুকের বনে (মঞ্জুভাষিণী ছন্দ) [তথ্য]
৯. মঞ্জু মধুছন্দা নিত্যা তব সঙ্গী (মণিমালা ছন্দ) [তথ্য]
১০. তারকা নূপুর নীল নভে ছন্দ শোন ছন্দিতার (ছন্দ বৃষ্টি প্রপাত ছন্দ) [তথ্য]

সূত্র: