রাগ: কলাবতী, তাল: প্রিয়া মহুয়া বনে বন-পাপিয়া
একলা ঝুরে নিশি জাগিয়া॥
ফিরিয়া কবে প্রিয় আসিবে
ধরিয়া বুকে কহিবে প্রিয়া॥
শুনি নীরবে, গগনে বসি’
কহ যে কথা বিরহী শশী,
তব রোদনে বঁধু, এ মনে
যমুনা বহে কূল-প্লাবিয়া॥
ভাবার্থ: গানটি বিরহ পর্যায়ের। প্রিয়া-বিহনে বিরহিণী বন-পাপিয়া মহুয়া বনে সারারাতি ধরে একা একা কাঁদে।
সে প্রতীক্ষায় থাকে কবে তার প্রিয়া ফিরে এসে তাকে বুকে টেনে নেবে। তার
বিরহ-বিলাপ আকাশের চাঁদ শুনে, তার ক্রন্দনে উদ্বেলিত হয়ে যমুনা বহে যায়।
গানটি সংস্কৃত প্রিয়া ছন্দের আদলে, নজরুল গানটি রচনা করেছিলেন। তিনি প্রিয়া
ছন্দের ৪-১-২ বিন্যাসে গানটিতে যখন 'প্রিয়া তাল' হিসেবে ব্যবহার করেছেন,
তখন ভাবের চেয়ে তালরক্ষার বিষয়টি প্রধান হয়ে উঠেছিল। তাই গানটি ভাব মনকে
ততটা করুণ-রসে সিক্ত হয়ে ওঠে না। এই কারণে গানটি অনেকটাই যেনো ভাবপ্রধান না
হয়ে, তাল-প্রধান হয়ে উঠেছে।
রচনাকাল ও স্থান:
গানটির
রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না।
১৯৪১
খ্রিষ্টাব্দের ২৬শে জুলাই (শনিবার, ১০ শ্রাবণ ১৩৪৮) কলকাতা
বেতার কেন্দ্র থেকে ছন্দিতা নামক অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৪২ বৎসর ২ মাস।