ছায়ানট
কাজী নজরুল ইসলাম
আশা
হয়তো তোমার পাব দেখা,
যেখানে ঐ নত আকাশ চুমছে বনের সবুজ রেখা॥ঐ সুদূরের গাঁয়ের মাঠে,
আলোর পথে, বিজন ঘাটে ;
হয়তো এসে মুচকি হেসে
ধরবে আমার হাতটি একা॥ঐ নীলের ঐ গহন-পারে ঘোমটা-হারা তোমার চাওয়া,
আনলে খবর গোপন-দূতী দিক-পারের ঐ দখিন হাওয়া।।বনের ফাঁকে দুষ্টু তুমি,
আস্তে যাবে নয়না চুমি,
সেই সে কথা লিখছে হেথা
দিগ্বলয়ের অরুণ-লেখা॥বরিশাল
আশ্বিন ১৩২৭
১৯২০ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে দুর্গাপূজা উপলক্ষে নবযুগ পত্রিকার অফিস ছুটি হয়ে যায়। এই ছুটি কাটানোর জন্য অক্টোবরের ১-২ তারিখে (রবি-সোম, ১৫-১৬ আশ্বিন) নজরুল এবং মুজাফ্ফর আহমদ বরিশালে শের-এ-বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের ভাগ্নে ওয়াজির জালী ও ইউসুফ আলীর বাড়িতে যান। এই সময় এই কবিতটি রচনা করেছিলেন। কবিতাটিতে সুরারোপিত করে গানে পরিণত করা হয়েছিল।
কবিতা হিসেবে- প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল মোসলেম ভারত পত্রিকার'পৌষ ১৩২৭' (ডিসেম্বর ১৯২০-জানুয়ারি ১৯২১) সংখ্যায়।