নজরুলের রচিত রেকর্ডে
প্রকাশঠিত শ্রুতি নাটক। নাটকটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু
জানা যায় না।
১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর
(ভাদ্র-আশ্বিন ১৩৪৩) মাসে এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি থেকে প্রকাশিত ৭টি রেকর্ডে
এই নাটকটি প্রকাশিত হয়েছিল। ৭টি রেকর্ডের দাম ছিল- ১৫
টাকা ১২ আনা। রেকর্ড নম্বর ছিল এন ৯৭৬৬ থেকে ৯৭৭২। এর
প্রযোজক ছিলেন- ধীরেন দাস।
১৯৩৬
খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে গ্রামোফোন কোম্পানি লিমিটেড-এর রেকর্ড বুলেটিন থেকে
জানা যায়- নাটকটির বিভিন্ন ভূমিকায় ছিলেন-
- বিদ্যাপতি:
কৃষ্ণচন্দ্রে দে (অন্ধগায়ক)
- রাজা শিবসিংহ (রবিরায়)
- ধনঞ্জয় (রঞ্জিত রায়)
- রাণী লছমী (প্রভা)
- অনুরাধা (সরযুবালা)
- সঙ্গীতাংশ (হরিমতী)
- বিজয়া (নিভাননী)
- গঙ্গা (চারুবালা)
- যোগমায়া (ঊষাবতী)
রেকর্ড বুলেটিনটি প্রকাশিত হয়েছিল চট্টগ্রামের অন্দরকিল্লার
গ্রামোফোন হাউস থেকে।
এর পাণ্ডুলিপিতে ২১টি গান
আছে। এর ভিতরে নজরুলের রচিত গান ৪টি। অবশিষ্ট গানগুলো ছিল
বিদ্যাপতির রচিত।
পাণ্ডুলিপিতে
'জয়-জগৎ-জননী,ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর' গানটি ছিল। কিন্তু রেকর্ডে এই গানটি বাদ দেওয়া
হয়েছিল এবং নতুন গান 'হে নিঠুর ! তোমাতে নাই আশার আলো' যুক্ত করা হয়েছিল। ফলে
পাণ্ডুলিপি ও রেকর্ড মিলিয়ে নতুন গান পাওয়া যায় ৪টি। রেকর্ডে
অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। ৩টি গান।
- আমার শ্যামা মায়ের কোলে চ'ড়ে
[তথ্য]
এন ৯৭৬৬। শিল্পী: কৃষ্ণচন্দ্র দে। সুর: কৃষ্ণচন্দ্র দে। উল্লেখ্য রেকর্ডে কৃষ্ণচন্দ্র দে
রেকর্ডে শুধু স্থায়ীটুকু গেয়েছিলেন।
- মা! আমার মনে আমার বনে [তথ্য]
এন ৯৭৬৬। শিল্পী: কৃষ্ণচন্দ্র দে।
- হে নিঠুর ! তোমাতে নাই আশার আলো [তথ্য]
এন ৯৭৭১। শিল্পী: কৃষ্ণচন্দ্র দে।
- জয়-জগৎ-জননী,ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর [তথ্য]
পাণ্ডুলিপিতে ছিল। রেকর্ডে গৃহীত হয় নি।