শিরোনাম:
ও লো জেলেনী, আমার ভাত নাইরে ঘরে।
বিষয়: নজরুল সঙ্গীত (লেটো পালা:
জেলে ও জেলেনী)।
জেলো : ও লো জেলেনী, আমার ভাত নাইরে ঘরে।
কি খাবা গো, যাবো যে মরে।
আমি যাবো সাগরে॥
সেথা মাছ ধরবো রে,
মাছ বিচে টাকা আনবো রে,
গয়না আনবো রে॥
জেলেনী : আমি যাবো তোর সাথে রে,
একলা ঘরে কেমন করে থাকবো রে
ও জেলো রে॥
জেলো : ও লো জেলেনী, তু একলা থাক ঘরে,
তব গাঁয়ে থাকবি রে,
বাড়ির পাশে রাঙা বুড়ির বাড়ি রে,
সে তুকে দেখবে রে॥
আমি মাছ ধরতে যাবো সাগরে॥
জেলেনী : ও জেলো তুই যাস্ না সাগরে।
তোর বিহিনে আমি থাকবো কেমুন কোরে রে,
ও জেলো তুই যাস্ না সাগরে॥
জেলো : ও জেলেনী, তুই থাক রে একলা
তুই থাকরে ঘরে।
আমি ঠিক ফিরে আসবো রে।
আকাল লেগেছে হায় খাবার নাই ঘরে।
তুই গোবর কুড়ুবি রে, ঘটি দিবি রে
তা বেচবি রে,
ছাঁকি জালে চিংড়ি পুটি ধরবি রে,
রাঙা বুড়িকে নিয়ে ঘরে রইবি রে
আমি আবার ফিরে আসবো রে।
আমি একা যাবো রে
তোর যৈবুন দেখে যদি কেউ আমায় মেরে দেয় রে
তখুন কি হবে রে;
তুকে নিয়ে পালিয়ে যাবে রে
তাই বলি তু ঘরে থাক রে॥
জেলেনী : ও জেলে তু যারে সাগরে,
আমি একলা থাকবো রে,
রাঙা বুড়ি লোক ভালো রে।
তুর যৈবুন আমি আগলে রাখবো রে,
ও তু তাড়াতাড়ি ফিরে আসিস রে॥
- রচনাকাল: ১৯১০-১৯১২ খ্রিষ্টাব্দ (১৩১৭-১৩১৯ বঙ্গাব্দ)।
বরধ্মান জেলার
চুরুলিয়া গ্রামে, নজরুলের ১১ থেকে ১৩ বৎসর বয়সের রচনা।
- গ্রন্থ:
- 'জেলে ও জেলেনী'
পালার গান। পঞ্চম দৃশ্য।
প্রথম গান।
জেলেনীর গান।
নজরুল লেটো ও লোক-ঐতিহ্য। ওয়াকিল আহমদ। পৃষ্ঠা: ৫২-৫৬
- নজরুল-সংগীত সংগ্রহ [রশিদুন্ নবী সম্পাদিত। কবি নজরুল ইন্সটিটিউট।
তৃতীয় সংস্করণ দ্বিতীয় মুদ্রণ, আষাঢ় ১৪২৫। জুন ২০০৩। লেটোগান। গান সংখ্যা ২৯৬৫]
- বিষয়াঙ্গ: জেলে ও জেলেনী পালার পঞ্চম গান। ভণিতা নাই
।
সূত্র:
- নজরুল লেটো ও লোক-ঐতিহ্য। ওয়াকিল আহমদ। নজরুল
ইন্সটিটিউট। বৈশাখ ১৪০৮।
- নজরুল সঙ্গীত-সংগ্রহ। নজরুল ইন্সটিউট, ঢাকা ফেব্রুয়ারি ২০১১।