বিষয়:
নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম :
আজও মা তোর পাইনি প্রসাদ আজও মুক্ত নহি
আজও মা তোর পাইনি প্রসাদ আজও মুক্ত নহি।
আজও অন্যে আঘাত দিলে কঠোর ভাষা কহি॥
১
মোর আচরণ, আমার কথা
আজও অন্যে দেয় মা ব্যথা
আজও আমার দাহন দিয়ে শত জনে দহি॥
শত্রুমিত্র মন্দভালোর যায়নি আজও ভেদ
কেহ ব্যথা দিলে, প্রাণে আজও জাগে খেদ।
আজও মাগো দুখশোকে
অশ্রু ঝরে আমার চোখে,
আমার আমার ভাব মা আজও জাগে রহি’ রহি’ ॥
১. আজও অন্যে কষ্ট দিলে / কষ্ট ভাষা
কহি॥
- ভাবসন্ধান: মাতৃরূপিণী কালী ভক্তের আত্ম-সমালোচনা ও অনুশোচনামূলক
অভিব্যক্তি এই গানটিতে উপস্থাপিত হয়েছে।
এই ভক্ত তাঁর আত্মোপলব্ধিতে মনে করেন- তিনি তাঁর কাজ, কথা ও আচরণের
মাধ্যমে অন্যকে প্রতিনিয়ত আঘাত দিয়ে চলেছেন। তাই তিনি মায়ের অনুগ্রহ লাভ
করতে পারেন নি। ভক্ত মনে করেন, অন্যের আঘাতে তিনি প্রত্যুত্তর দেন কঠোর ভাষায়,
তাঁর আচরণে অন্যে আঘাত পায়, তাঁর দেওয়া আঘাতের দহনে অগণন মানুষ দগ্ধ হয়। তাই এই
ভক্ত অনুশোচনার দহনে নিজেই দগ্ধ হন।
ভক্ত মনে করেন, এখনো তিনি শত্রু-মিত্র, মন্দ-ভালোর দ্বন্দ্বের নিরসন ঘটাতে
পারেন নি। কেউ ব্যথা দিলে এসব প্রভেদ না বুঝেই তাঁর মনে আক্ষেপ জাগে। তাই
দুঃখশোকে তাঁর চোখ থেকে নেমে আসে অশ্রুধারা। তিনি ভাবেন- তাঁর যা কিছু আছে, তা
শুধু তাঁরই। এই ভাবনায় তিনি সর্বদাই তাড়িত হন।
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু
জানা যায় নি। ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই (আষাঢ়-শ্রাবণ ১৩৪৩) মাসে, টু্ইন
রেকর্ড কোম্পানি গানটির প্রথম রেকর্ড করেছিল। এই
সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৭ বৎসর ১ মাস।
-
গ্রন্থ:
-
রাঙা জবা। কাজী নজরুল ইসলাম। প্রথম সংস্করণ। হরফ প্রকাশনী, কলিকাতা [১৪
এপ্রিল ১৯৬৬)। ১লা বৈশাখ ১৩৭৩] গান সংখ্যা ৩৯। পৃষ্ঠা: ৪৭।
- নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ [নজরুল ইনস্টিটিউট ফেব্রুয়ারি ২০১২] । গান সংখ্যা
১০৩৬। পৃষ্ঠা: ৩১৬
- রেকর্ড:
টুইন [জুলাই ১৯৩৬ (আষাঢ়-শ্রাবণ ১৩৪৩)]।
এফটি ৪৪৭৪। শিল্পী: জীবনকৃষ্ণ দাস
- স্বরলিপি ও স্বরলিপিকার:
আহসান মুর্শেদ
[নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপি, বিয়াল্লিশতম খণ্ড, আষাঢ় ১৪২৫] গান সংখ্যা ২। পৃষ্ঠা:
২০-২৩ [নমুনা]
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: ধর্মসঙ্গীত। সনাতন হিন্দুধর্ম। শাক্ত। শ্যামাসঙ্গীত। মাতৃরূপণী। অনুশোচনা
- সুরাঙ্গ: স্বকীয় বৈশিষ্ট্যের সুর