বিষয়: নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম : কেন হেরিলাম নব ঘনশ্যাম কালারে কাল্ কালিন্দী-কূলে
কেন হেরিলাম নব ঘনশ্যাম কালারে কাল্
কালিন্দী-কূলে।
(সে যে) বাঁশরির তানে সকরুণ গানে ডাকিল প্রেম-কদম্ব মূলে॥
কেন কলস ভরিতে গেনু যমুনা-তীরে,
মোর কলস সাথে গেল ভাসি, লাজ-কুল-মান আকুল নীরে।
কলসির জল মোর নয়নে ভরিয়া সই আসিনু ফিরে॥
সখি হে তোদের সে রাই নাই, গোকুলেই রাই গোকুলেই নাই,
এ-কূলে নাই ও-কূলে নাই, গোকুলের রাই গোকুলে নাই।
সে যে হারাইয়া গেছে শ্যামের রূপে লো নবীন নীরদে বিজলি প্রায়।
সে রবি-শশী সম ডুবিয়া গেছে লো সুনীল রূপের গগন-গায়॥
হরি-চন্দন-পঙ্কে লো সখি শীতল ক'রে দে জ্বালা,
দুলায়ে দে গলে বল্লভ-রূপী শ্যাম পল্লব মালা।
নীল কমল আর অপরাজিতার, শেজ্ পেতে দে লো কোমর বিথার
পেতে দে শয্যা পেতে দে, নীল শয্যা পেতে দে পেতে দে!
আমার শ্যামের স্মৃতির নীল শিখী-পাখা, চূড়া বেঁধে কেশে গেঁথে দে!
পরাইয়া দে লো সখি অঙ্গে নীলাম্বরী, জড়াইয়া কালো বরণ আমি যেন মরি ॥
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু
জানা যায় না। সঙ্গীত বিজ্ঞান প্রবেশিকা পত্রিকার 'কার্তিক ১৩৩২' (অক্টোবর-নভেম্বর
১৯৩১) সংখ্যায় গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের এই সময় নজরুলের বয়স
ছিল ৩২ বৎসর ৫ মাস।
- গ্রন্থ:
-
সুর-সাকী
- প্রথম সংস্করণ [আষাঢ় ১৩৩৯ বঙ্গাব্দ। জুলাই ১৯৩২]
- নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংস্করণ, চতুর্থ খণ্ড।
বাংলা একাডেমী, ঢাকা। [জ্যৈষ্ঠ ১৪১৮, মে ২০১১। সুর-সাকী। ৫৫।
কীর্তন পৃষ্ঠা: ২৫৪-২৫৫]
- নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ [নজরুল ইনস্টিটিউট, মাঘ ১৪১৮। ফেব্রুয়ারি
২০১২। রাগ: গৌড় সারং। তাল: একতাল। গান সংখ্যা ১২২২। পৃষ্ঠা: ৩৭২]
- পত্রিকা:
- সঙ্গীতবিজ্ঞান প্রবেশিকা [কার্তিক ১৩৩৮ (অক্টোবর-নভেম্বর ১৯৩১)]।
কীর্তন। [নমুনা]
- দুন্দুভি [২৪ শে সেপ্টেম্বর ১৯৩২ (শনিবার ৮ আশ্বিন ১৯৩৯)]
- রেকর্ড:
- টুইন [মার্চ ১৯৩২ (ফাল্গুন-চৈত্র ১৩৩৮)। এফটি ৮৬১। শিল্পী: আশ্চর্যময়ী
দাসী]
- স্বরলিপি ও স্বরলিপিকার:
আহসান মুর্শেদ
[নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপি,
একচল্লিশতম খণ্ড, অগ্রহায়ণ ১৪২৪] গান সংখ্যা ৬। পৃষ্ঠা: ৩৫-৩৯ [নমুনা]
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: ধর্মসঙ্গীত [সনাতন ধর্ম, বৈষ্ণব]
- সুরাঙ্গ: কীর্তন