বিষয়: নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম:
আসে রজনী, সন্ধ্যামণির প্রদীপ জ্বলে
আসে রজনী, সন্ধ্যামণির প্রদীপ জ্বলে
তিমির দু'কূলে গগনে, গোধূলি-ধূসর সাঁঝ-পবনে
তারার মানিক অলকে ঝলে॥
পূজা আরতি লয়ে চাঁদের থালায়
আসিল সে অস্ত-তোরণ নিরালায়।
ললাটের টিপ জ্বলে সন্ধ্যা-তারা
গিরি-দরি বনে ফেরে আপন-হারা
থামে ধীরে ধীরে বিরহীর নয়ন-জলে॥
- ভাবসন্ধান: মহাবিশ্বের সকল উপকরণ নিয়ে বিস্তৃত যে প্রকৃতি,
সন্ধ্যাতারা (শুক্রগ্রহ) তার একটি উপাদান। কবি কল্পনায় সন্ধ্যাতারা যেন
বহুরূপী। এই বহুরূপী রূপই প্রকাশ করেছেন তাঁর এই গানে।
দিনের শেষে গোধুলি ধূসর সাঁঝের বাতাসে মিশে, যখন অন্ধকারে আকাশ প্লাবিত করে
রাত্রি নেমে আসে, তখন শুকতারা দ্যূতিময় সন্ধ্যামণির প্রদীপ হয়ে চরাচরে আলো
ছাড়িয়ে দেয়। সে নিঃশব্দ চরণে, চাঁদের থালায় আরতির নৈবেদ্য সাজিয়ে
সূর্যাস্তের অস্ততোরণে এসে দাঁড়ায়।
কবি কল্পনায়, সে যেন রাত্রি দেবীর ললাটের উজ্জ্বল টিপ, যেন নদী-গিরি-অরণ্যে
ঘুরে ফেরে উদাসিনী হয়ে। তার এই চলা যেন শেষ হয় ধীরে ধীরে, বিরহী অশ্রুতে।
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে
সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। 'গুলবাগিচা'
গীতি-সংকলনের প্রথম সংস্করণে [১৩ আষাঢ় ১৩৪০, ২৭ জুন ১৯৩৩] গানটি
প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৪ বৎসর ১ মাস।
- গ্রন্থ:
-
গুলবাগিচা
- প্রথম সংস্করণ [১৩ আষাঢ় ১৩৪০, ২৭ জুন ১৯৩৩]। পিলু-কার্ফা। পৃষ্ঠা: ৪৮
- নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংকলন। পঞ্চম খণ্ড। বাংলা একাডেমী। ঢাকা।
জ্যৈষ্ঠ ১৪১৮ মে, ২০১১। গুল-বাগিচা। গান সংখ্যা ৪৩। পিলু-কার্ফা। পৃষ্ঠা ২৪৯]
- পত্রিকা:
ভারতবর্ষ। আশ্বিন ১৩৪১
(সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ১৯৩৩)।
স্বরলিপি: জগৎ ঘটক।
[নমুনা]
- রেকর্ড:
এইচএমভি। মে ১৯৩৪
(বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ ১৩৪১)। এন ৭২২৮। পারুল সেন [শ্রবণ নমুনা]
-
স্বরলিপিকার ও স্বরলিপি:
-
সুরকার: কাজী নজরুল ইসলাম
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: প্রকৃতি
- সুরাঙ্গ: স্বকীয় বৈশিষ্ট্য
- তাল:
কাহারবা
- গ্রহস্বর:
- স [জগৎ ঘটক]
- সন্। [রশিদুন্ নবী]