বিষয়: নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম:
বাদল-মেঘের মাদল-তালে
রাগ: সারং মিশ্র, তাল: কাওয়ালি
বাদল-মেঘের মাদল-তালে ময়ূর নাচে দু’লে দু’লে।
আকাশে নাচে মেঘের পরী বিজ্লি-জরীন্ ফিতা পড়ে খুলে’॥
কদম্ব-ডালে ঝুলনিয়া ঝুলায়ে
বনের বেণী কেয়াফুল দুলায়ে,
তাল তমাল বনে কাজল বুলায়ে – বর্ষারানী নাচে এলোচুলে॥
তরঙ্গ-রঙ্গ নাচে নটিনী
ভরা-যৌবন ভাদর-তটিনী,
পরি’ ফুলমালা নাচে বনমালা – সবুজ সুধার লহর তু’লে॥
-
ভাবার্থ: এই গানে বর্ষাকে উপস্থাপিত করা হয়েছে নৃত্যশীলা বর্ষাবালিকার
রূপকতায়। তার নৃত্যের ছন্দের সাথে সঙ্গত করে মেঘ-মাদল।
সে নৃত্যের ছন্দে দুলে দুলে নাচে বর্ষার ময়ূর। আন্দোলিত মেঘমালা থেকে বিচ্ছুরিত
বিদ্যুৎ-কে উপস্থাপন করা হয়েছে নৃত্যশীলা মেঘ পরীদর খুলে
পরা বিজ্লি-জরীন্ ফিতার সাথে।
তমাল বনে কাজল মেঘের আভা বুলায়ে নাচে বর্ষারাণী। তার নাচের
সাথে দোল খায় কদম ও কেয়া ফুলের বেণী।
নটিনী হয়ে নাচে তরঙ্গ-রঙে ভরা যৌবনা তটিনী । আর বনভূমিতে
ছড়িয়ে পড়া
শ্যামল সুরের সঙ্গীত-লহরীর সাথে
বনমালা হয়ে
নাচে ফুলমালা।
-
রচনাকাল ও স্থান:  গানটির
রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না।
১৩৪১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে (সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দ)
গানটি
গানের মালা
প্রথম সংস্করণে অন্তর্ভুক্ত হয়ে
প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের
বয়স ছিল ৩৫ বৎসর ৪ মাস।
- গ্রন্থ:
- গানের মালা
- প্রথম সংস্করণ আশ্বিন ১৩৪১ বঙ্গাব্দ (সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দ)।
৩৫। সারং মিশ্র-কাওয়ালি
- নজরুল রচনাবলী। জন্মশতবর্ষ সংকলন ষষ্ঠ খণ্ড। বাংলা একাডেমী, ঢাকা। জ্যৈষ্ঠ ১৪১৯, জুন
২০১২। গানের মালা। ৩৫।
মিশ্র সারং-কাওয়ালি। পৃষ্ঠা ২১৩]
- নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ [নজরুল ইনস্টিটিউট ফেব্রুয়ারি ২০১২। গান সংখ্যা ১৬১০। রাগ:
সারং-মিশ্র, তাল: কাওয়ালি। পৃষ্ঠা: ৪৮১-৪৮২]
-
নজরুলের হারানো গানের খাতা [নজরুল ইনস্টিটিউট, ঢাকা। আষাঢ় ১৪০৪/জুন
১৯৯৭। গান সংখ্যা ৫। for
Gouri (Twin)/কীর্ত্তন/ পৃষ্ঠা
৩১।]
- রেকর্ড:
টুইন [আগষ্ট ১৯৩৫ (শ্রাবণ-ভাদ্র ১৩৪২)। শিল্পী: মিস পদ্মরাণী। রেকর্ডটি বাতিল
হয়ে যায় ]
- সুর: নজরুল ইসলাম
- পর্যায়:
- বিষায়াঙ্গ: প্রকৃতি (বর্ষা)
- সুরাঙ্গ: স্বকীয় বৈশিষ্ট্য
- তাল: কাওয়ালি