যৌবন-তটিনী ছুটে চলে ছল্ছল্।
ধরণীর তরণী টলমল টলমল্॥
কূলের বাঁধন খোল্
আয় কে দিবি রে দোল্,
প্রাণের সাগরে রোল ওঠে ঐ কলকল্॥
তটে তটে ঘট-কঙ্কণে নট-মল্লারে ওঠে গান
মুখে হাসি বুকে শ্মশান,
আজিও তরুণী ধরা রঙে-রূপে ঝলমল,
রূপে-রসে ঢলঢল্॥
'নজরুল ইসলাম একখানি অপেরা লিখেছেন। প্রথমে তার নাম দিয়েছিলেন 'মরুতৃষ্ণা'। সম্প্রতি তার নাম বদলে 'আলেয়া' নামকরণ হয়েছে। গীতি-নাট্যখানি সম্ভবত মনোমহনে অভিনীত হবে। এতে গান আছে ত্রিশখানি। নাচে গানে অপরূপ হয়েই আশা করি এ অপেরাখানি জনসাধারণের মন হরণ করেবে।'
এই বিচারে ধারণা করা যায়, গানটি নজরুল রচনা করেছিলেন, ১৩৩৬ বঙ্গাব্দের জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় মাসের দিকে। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩০ বৎসর ১ মাস।