বিষয়: নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম: রেশমি চুড়ির তালে কৃষ্ণচূড়ার ডালে
রেশমি চুড়ির তালে কৃষ্ণচূড়ার ডালে
‘পিউ কাহাঁ পিউ কাহাঁ’ ডেকে ওঠে পাপিয়া॥
আঙিনায় ফুল-গাছে
প্রজাপতি নাচে,
ফেরে মুখের কাছে আদর যাচিয়া॥
দুলে দুলে বনলতা
কহিতে চাহে কথা,
বাজে তারি আকুলতা – কানন ছাপিয়া॥
শ্যামলী-কিশোরী মেয়ে
থাকে দূর নভে চেয়ে,
কালো মেঘ আসে ধেয়ে – গগন ব্যাপিয়া॥
- ভাবার্থ: গানটি শেষ বসন্তের। পুষ্পিত মধু বসন্তের শেষে প্রকৃতিতে
বৈশাখীর ঝড়ের পূরবাভাষ পায় শ্যামল-কিশোরীরূপী প্রকৃতি। প্রকৃতিতে বিদায়ী
বসন্তের বার্তা দৃশ্যমান হয়ে ওঠে।
গানটির শুরুতে রয়েছে বসন্তের রূপচিত্র। কৃষ্ণচূড়ার ডালে রেশমি চূড়ির মতো তার
রঙিন ফুলগুলো আন্দোলিত হয়। তারই সাথে পাপিয়া তার প্রিয়ার সন্ধানে ডেকে যায় ‘পিউ
কাহাঁ পিউ কাহাঁ’ বলে। বসন্তের আঙিনায় পুষ্পের আদরের প্রত্যাশ্যায় প্রজাপতি নেচে
বেড়ায়। তার সাথে দুলে দুলে বনলতা যেন সোহাগের কথা বলতে চায়। ভাব বিনিময়ের এই
আকুলতা ছড়িয়ে পড়ে বসন্তের বন-বনান্তরে।
শেষ বসন্তে শ্যামল-কিশোরীরূপিণী প্রকৃতি আভাষ পায় আগত গ্রীষ্মের ধেয়ে আসা কালো
মেঘের। প্রকৃতি জানে বসন্তের অমোঘ পরিণতির কথা। তাই সে শুধু চেয়ে থাকে গগনব্যপী
আগত গ্রীষ্মের কালো মেঘের পানে।
- রচনাকাল ও স্থান:
গানটির রচনাকাল সম্পর্কে
সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। গানটি
গীতি-শতদল সঙ্গীত
সঙ্কলনের প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪১ বঙ্গাব্দের বৈশাখ (এপ্রিল
১৯৩৪) মাসে। এই
সময় নজরুলের বয়স ৩৪ বৎসর ছিল ১১ মাস।
- গ্রন্থ:
-
গীতি-শতদল
- প্রথম সংস্করণ [বৈশাখ ১৩৪১। এপ্রিল ১৯৩৪। গৌড় সারং- কাওয়ালি]।
- নজরুল রচনাবলী, পঞ্চম খণ্ড [বাংলা একাডেমী। জ্যৈষ্ঠ ১৪১৮ মে, ২০১১
। গীতি-শতদল। গান সংখ্যা ২৪। গৌড় সারং- কাওয়ালি। পৃষ্ঠা
২৯৭-২৯৮]
- নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ [নজরুল ইনস্টিটিউট ফেব্রুয়ারি ২০১২। গান সংখ্যা
১৭৩৩। রাগ: গৌড় সারং, তাল: কাওয়ালি । পৃষ্ঠা: ৫১৬]
- রেকর্ড:
মেগাফোন [জুলাই ১৯৩৪ (আষাঢ়-শ্রাবণ ১৩৪০)]। জেএনজি ১২৬। শিল্পী: মিস রাজলক্ষ্মী (ছোট)
]
- স্বরলিপিকার ও স্বরলিপি:
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: প্রকৃতি
- সুরাঙ্গ:
নৃত্যের গান। রাগাশ্রয়ী।
- রাগ:
গৌড়সারং
- তাল:
কাহারবা
- গ্রহস্বর:
সপ