বিষয়:নজরুল সঙ্গীত
শিরোনাম: যে দুর্দিনের নেমেছে বাদল
রাগ: ইমন-বেলাওল, তাল: তেওড়া
যে দুর্দিনের নেমেছে বাদল তাহারি বজ্র শিরে ধরি’
ঝড়ের বন্ধু আঁধার নিশীথে ভাসায়েছি মোর ভাঙা তরী॥
মোদের পথের ইঙ্গিত ঝলে বাঁকা বিদ্যুতে কালো-মেঘে,
মরু-পথে জাগে নব অঙ্কুর মোদের চলার ছোঁওয়া লেগে,
মোদের মন্ত্রে গোরস্থানের আঁধারে ওঠে গো প্রাণ জেগে,
দীপ-শালাকার মতো মোরা ফিরি ঘরে ঘরে আলো সঞ্চারি’॥
নব জীবনের ‘ফেরাত’-কূলে গো কাঁদে ‘কারবালা’ তৃষ্ণাতুর,
ঊর্ধ্বে শোষণ-সূয, নিম্নে তপ্ত বালুকা ব্যথা-মরুর।
ঘিরিয়া য়ুরোপ – ‘এজিদের’ সেনা এপার ওপার নিকট দূর,
এরি মাঝে মোরা ‘আব্বাস’ সব পানি আনি প্রাণপণ করি’॥
যখন জালিম ‘ফেরাউন’ চাহে ‘মুসা’ ও সত্যে মারিতে ভাই,
নীর দরিয়ার মোরা তরঙ্গ, বন্যা আনিয়া তারে ডুবাই,
আজো ‘নজরুদ’ ‘ইবরাহিমেরে’ মারিতে চাহিছে সর্বদাই,
আনন্দ-দূত মোরা সে আগুনে ফোটাই পুষ্প-মঞ্জুরী॥
ভরসার গান শুনাই আমরা ভয়ের ভূতের এই দেশে,
জরা-জীর্ণের যৌবন দিয়া সাজাই নবীন বর-বেশে।
মোদের আশার ঊষার রঙে গো রাতের অশ্রু যায় ভেসে,
মশাল জ্বালিয়া আলোকিত করি ঝড়ের নিশীথ-শর্বরী॥
নূতন দিনের নব যাত্রীরা চলিবে বলিয়া এই পথে
বিছাইয়া যাই আমাদের প্রাণ, সুখ, দুখ, সব আজি হতে।
ভবিষ্যতের স্বাধীন-পতাকা উড়িবে যে দিন জয়-রথে
আমরা হাসিব দূর তারা-লোকে ওগো তোমাদের সুখ স্মরি’॥
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। 'ছাত্র' পত্রিকার 'শ্রাবণ
১৩৩৬ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায় গানটটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩০ বৎসর
২ মাস।
- গ্রন্থ:
-
নজরুল গীতিকা
- প্রথম সংস্করণ [ভাদ্র ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ, ২ সেপ্টেম্বর ১৯৩০।
জাতীয় সঙ্গীত। ৪। ইমন-বেলাওল-তেওরা। পৃষ্ঠা ২২-২৩ ]
- নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংস্করণ। তৃতীয় খণ্ড [বাংলা একাডেমী, ঢাকা
ফাল্গুন ১৪১৩/মার্চ ২০০৭] নজরুল গীতিকা। জাতীয় সংগীত। ২০। ইমন-বেলাওল-তেওরা। পৃষ্ঠা: ১৮৩-১৮৪]
- সন্ধ্যা
- প্রথম সংস্করণ [ভাদ্র ১৩৩৬ বঙ্গাব্দ। ২ সেপ্টেম্বর ১৯৩০।
জাতীয় সঙ্গীত। ৪। তরুণের গান]
- নজরুল রচনাবলী, জন্মশতবর্ষ সংস্করণ। চতুর্থ খণ্ড [বাংলা একাডেমী, ঢাকা মে ২০১১।
তরুণের গান।। পৃষ্ঠা: ৬৪-৬৫]
- পত্রিকা
- ছাত্র: [শ্রাবণ ১৩৩৬। জুলাই-আগষ্ট ১৯২৯। তরুণের গান]