সন্ধ্যা
[নজরুল-সঙ্গীতের একটি কাব্য ও সঙ্গীত সংকলন । গ্রন্থটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৩৩৬ বঙ্গাব্দে। গ্রন্থটির প্রকাশক ছিলেন শ্রীগোপালদাস মজুমদার। গ্রন্থটিতে মোট ২৪টি কবিতা ও গান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বাংলা একাডেমী কর্তৃক প্রকাশিত নজরুল-রচনাবলী চতুর্থ খণ্ডে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।] 

উৎসর্গ
মাদারিপুর 'শান্তির-সেনা'র
কর-শতদলে

বীর সেনানায়কের
শ্রীচরণাম্বুজে

এই গ্রন্থে মোট ২৪টি কবিতা অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।

সুচি

  1. শরৎচন্দ্র। কালানুক্রমিকের বিচারে এটি নজরুলের সঙ্গীতজীবনের দ্বিতীয় পর্বের ১০৯ সংখ্যক গান। আশ্বিন নওরোজপাদটীকায় উল্লেখ ছিল-  "স্বনামধন্য ঔপন্যাসিক শ্রীযুক্ত শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মহাশয়ের দ্বিপঞ্চাশ্ৎ বর্ষ জন্মোৎসব উপলক্ষে রচিত।" রচনার স্থান ও তারিখ ২৯ ভাদ্র ভাদ্র ১৩৩৪।
  2. বাংলার “আজীজ” [চট্টগ্রামের পরোলোকগত স্কুল-ইন্সপেক্টর খান বাহাদুর আব্দুল আজিজ বিএ -এর স্মরণে রচিত। মাসিক মোহাম্মদী কার্তিক ১৩৩৪]
  3. সুরের দুলাল [কল্লোল মাঘ ১৩৩৪। পাদটীকায় লেখা ছিল- 'দিলীপকুমার রায়ের ইউরোপ হইতে স্বদেশ প্রত্যাগমন-উপলক্ষে রচিত।]
  4. গান: চল চল চল [তথ্য] [ঢাকা মুসলিম সাহিত্য-সমাজের মুখপত্র 'শিখা', দ্বিতীয় বার্ষিকী ১৩৩৫ (ফেব্রুয়ারি ১৯২৮)। এর পাদটীকায় উল্লেখ ছিল-"দ্বিতীয় বার্ষিকী অধিবেশনের উদ্বোধনী-সঙ্গীত। সওগাত পত্রিকার ফাল্গুন ১৩৩৫ সংখ্যায় পুনর্মূর্দ্রিত হয়েছিল।]
  5. সন্ধ্যা [ছাত্র। আষাঢ় ১৩৩৫]
  6. তরুণের গান  [মোয়াজ্জিন শ্রাবণ ১৩৩৫]
  7. রীফ–সর্দার [সওগাত আশ্বিন ১৩৩৫।
  8. আমি গাই তারই গান [ছাত্র। আশ্বিন-কর্তিক ১৩৩৫]
  9. যৌবন জলতরঙ্গ  [সওগাত কার্তিক ১৩৩৫।
  10. ভোরের পাখি [হরগাছা রংপুর ১২ অগ্রহায়ণ ১৩৩৫। পাদটীকায় উল্লেখ ছিল-"নিখিল-বঙ্গ মুসলিম-যুবক সম্মিলনের উদ্বোধনী সঙ্গীত"
  11. গান: ভোরের সানাই (বাজলো কি রে ভোরের সানাই)। মোয়াজ্জিন পত্রিকার 'কার্তিক ১৩৩৫ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায় গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। পাদটীকায় উল্লেখ ছিল নিখিল বঙ্গ মুসলিম। যুবক সম্মিলনের উদ্বোধন সঙ্গীত। উল্লেখ্য ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ই অক্টোবর (আশ্বিন) কলকাতার আলবার্ট হলে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছিল 'নিখিল বঙ্গ মুসলিম যুবক সম্মেলন'। এই অনুষ্ঠানে নজরুল গানটি পরিবেশন করেছিলেন।
  12. তরুণ তাপস [ছাত্র। শ্রাবণ ১৩৩৬]
  13. জাগরণ [সাপ্তাহিক জাগরণ পত্রিকার জন্য লিখেছিলেন। ৩১শে মার্চে মোতাহার হোসেনকে লেখা নজরুলের চিঠি থেকে জানা যায়, একটি ছোটো কবিতার উল্লেখ পাওয়া যায়-  ‌'জাগরণ‌‌' পত্রিকার জন্য। চিঠির বাক্য অনুসারে জানা যায়- এই পত্রিকার জন্য মোতাহার হোসেন নজরুলের কাছে এই পত্রিকার জন্য একটি লেখা চেয়েছিলেন। নজরুল তখনও এই পত্রিকার নাম জানতেন না। মোতাহার হোসেনের অনুরোধে কবিতাটি পাঠিয়েছিলেন। চিঠিতে নজরুল এ বিষয়ে লিখেছেলন-
    '‌জাগরণ‌-এর জন্য লেখা চাওয়ার অর্থ বুঝলাম না। '‌‌‌জাগরণ' বলে কাগজ বেরুচ্ছে নাকি, না বেরুবে? কার কাগজ? চিঠি লিখবার আগের একটা ছোট্ট কবিতা লিখছিলাম- সেইটেই দিচ্ছি এই সাথে।‌'

    তবে নজরুল এই পত্রিকার জন্য জাগরণ নামে একটি কবিতা রচনা করেছিলেন। কবিতাটি পরে সন্ধ্যা কাব্যগ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।

  14. জীবন-বন্দনা
  15. কালবৈশাখী
  16. নগদ কথা
  17. জীবন
  18. যৌবন
  19. গান: নিশীথ অন্ধকারে [একি বেদনার উঠিয়াছে ঢেউ দূর সিন্ধুর [তথ্য]
  20. অন্ধ স্বদেশ- দেবতা
  21. পাথেয়
  22. দাড়ি-বিলাপ
  23. তর্পণ
  24. না–আসা দিনের কবির প্রতি