বিষয়: নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম:
মধুকর মঞ্জির বাজে বাজে
মধুকর মঞ্জির বাজে বাজে
গুন্ গুন্ মঞ্জুল গুঞ্জরণে।
মৃদুল দোদুল নৃত্যে
বন-বালিকা মাতে কুঞ্জবনে॥
বাজাইছে সমীর দখিনা
পল্লবে মর্মর বীণা,
বনভূমি ধ্যান-আসীনা
সাজিল রাঙা কিশলয়-বসনে॥
ধূলি ধূসর প্রান্তর পরেছিল গৈরিক সন্ন্যাস-সাজ
নব-দুর্বাদল শ্যাম হলো আনন্দে আজ।
লতিকা-বিতানে ওঠে ডাকি'
মুহু মুহু ঘুম হারা পাখি
নব নীল অঞ্জন মাখি'
উদাসী আকাশ হাসে চাঁদের সনে॥
- ভাবার্থ: গানটি প্রকৃতি পর্যায়ের বসন্ত ঋতুর।
বসন্তের আগমনে ভ্রমরের মনোহর গুন্ গুন গুঞ্জরণের পুষ্পশোভিত বসন্তরূপী বনবালিকা নেচে
ওঠে। তার নৃত্যের ছন্দের সাথে ভ্রমরের গুঞ্জন যেন নূপুরের ছন্দ হয়ে তারই পায়ে দোল
খায়।
বসন্তের দখিনা বাতাসের স্পর্শে পল্লবমর্মরে ওঠে বীণার সুরধ্বনি। সে সুরের অনুরণনে
বনবালিকা রাঙা কিশলয়ের রঙিন সজ্জায় সৌন্দর্যের ধ্যানে নিমগ্ন হয়।
যে প্রকৃতি শীতের রুক্ষ প্রান্তর হয়ে ওঠে ধূলিধূসরিত গৈরিক সন্ন্যাসী। বসন্তের
স্পর্শে সেই প্রান্তরে নব দুর্বাদল হয়ে ওঠে সজীব শ্যামল, লতাকুঞ্জে প্রণয়ের
আকাঙ্ক্ষায় ঘুমহারা পাখি অবিরাম ডেকে যায়, নব নীল কাজলবর্ণে রঞ্জিত উদাসী আকাশের
আন্দোৎসবে উৎফুল্লিত হয়ে উঠে বাসন্তী চাঁদ।
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দের
জুন (জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় ১৩৪৪) মাসে
এইচএমভি
গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশ
করেছিল।
এই সময় নজরুলের বয়স ছিল
৩৮ বৎসর ১ মাস।
- রেকর্ড:
এইচএমভি [জুন ১৯৩৭ (জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় ১৩৪৪)। এন ৯৯০১। শিল্পী: রেণু বসু। সুর:
নজরুল ইসলাম]
- স্বরলিপিকার ও স্বরলিপি:
সুধীন দাশ।
নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপি (নবম খণ্ড)।
প্রথম প্রকাশ [কবি নজরুল ইন্সটিটিউট। ২ পৌষ, ১৩৯৯ বঙ্গাব্দ/ ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দ।
১৯ সংখ্যক গান] [নমুনা]
- পর্যায়
- বিষয়াঙ্গ: প্রকৃতি (বসন্ত)
- সুরাঙ্গ: স্বকীয় বৈশিষ্ট্য
- তাল:
কাহারবা