বিষয়: নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম: তোরা মা বলে ডাক
তোরা মা বলে ডাক তোরা প্রাণ ভরে ডাক মা
বলে রে
রইবে না আর দুঃখ শোক।
আমার মুক্ত কেশী মায়ের নামে মুক্তি লভে সর্বলোক॥
নাম জপে যে বরাভয়ার
ত্রিভুবনে ভয় কি রে তার।
সে অন্তবিহীন অন্ধকারে দেখতে পায় আশার আলোক॥
- ভাবসন্ধান:
মন্মথ
রায়ের রচিত 'সুরথ উদ্ধার' নাটকে
নজরুলের রচিত এই গানে দেবী দুর্গার নাম-বন্দনার মহিমা উপস্থাপন করা হয়েছে।
জনপদবাসীদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে- একবার তাঁকে মা বলে ডাকলেই সকল দুঃখ শোক দুর হয়ে
যাবে। মুক্ত কেশী মায়ের নামেই সর্বলোক সকল পাপ-তাপ, দুঃখ-বেদনা থেকে মুক্তি লাভ করে।
এই দেবী বরাভয়ার (আর্শীবাদ ও অভয় প্রদায়িনী দেবী দুর্গা), তাই ত্রিভুনে ভয় পাওয়ার
মতো কোনো কিছু নেই। তাঁরই নামে ভক্ত অন্তহীন আশাহত অন্ধকারে, আশার আলোকবর্তিকা দেখতে
পান।
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে
সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বর (কার্তিক-অগ্রহায়ণ ৩৪৩) মাসে, এইচএমভি
রেকর্ড কোম্পানি
মন্মথ রায়ের রচিত 'সুরথ উদ্ধার' নাটক প্রকাশ করে। এই নাটকে গানটি ব্যবহৃত
হয়েছিল। এই সময় নজরুলের
বয়স ছিল ৩৭ বৎসর ৫ মাস।
- গ্রন্থ:
- নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ [নজরুল ইনস্টিটিউট ফেব্রুয়ারি ২০১২। গান সংখ্যা ১৯৩৯। পৃষ্ঠা:
৫৮৪]
- সুরথ-উদ্ধার পালার গান। ৬ (ভৈরবের গান)। [নজরুল রচনাবলী জন্মশতবর্ষ
সংস্করণ, অষ্টম খণ্ড। বাংলা একাডেমি, ঢাকা। দ্বিতীয় মুদ্রণ, ফাল্গুন ১৪২৪/ফেব্রুয়ারি
২০১৮। পৃষ্ঠা: ২৯৮]
- পত্রিকা: নজরুল
ইন্সটিটিউট পত্রিকা। দ্বিতীয় সংকলন, অগ্রহায়ণ ১৩৯২। 'সুরথ-উদ্ধার'
নাটকের গান। আব্দুস সাত্তার। 'সুরথ-উদ্ধার' পালার গান ৬ (ভৈরবের গান)। পৃষ্ঠা:
১১৪
- রেকর্ড: এইচএমভি [নভেম্বর ১৯৩৬ (কার্তিক-অগ্রহায়ণ ১৩৪৩)। সুরথ উদ্ধার।
মন্মথ রায় রচিত নাটক। ভৈরবের গান। এন ৯৮১২। শিল্পী: মৃণালকান্তি ঘোষ।
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: ধর্মসঙ্গীত। সনাতন হিন্দুধর্ম। শাক্ত। দুর্গা। নামবন্দনা