বিষয়: নজরুলসঙ্গীত।
শিরোনাম: আমার মোহাম্মদের নামের ধেয়ান হৃদয়ে যার রয়
আমার
মোহাম্মদের নামের ধেয়ান হৃদয়ে যার রয়
ওগো হৃদয়ে যার রয়।
খোদার সাথে
হয়েছে তার গোপন পরিচয়॥
ঐ নামে যে ডুবে আছে
নাই দুখ-শোক
তাহার কাছে
ঐ নামের প্রেমে দুনিয়াকে সে দেখে
প্রেমময়॥
যে খোশ্-নসীব
গিয়াছে ঐ নামের স্রোতে ভেসে'
জেনেছে সে
কোরআন-হাদিস-ফেকা এক নিমেষে।
মোর নবীজীর বর-মালা,
করেছে যার হৃদয় আলা
বেহেশ্তের সে আশ্
রাখে না, তার নাই দোজখে ভয়॥
- ভাবসন্ধান: এই গানের নবি হলেন মুলত
মুর্শিদ, আর তাঁর নাম হলো- তাঁর গভীর পরিচয় জ্ঞাপক
প্রতীকী শব্দ। ভক্তি মার্গে শুধু নবির নামের ধ্যান যাঁর অন্তরের
থাকে, খোদার সাথে তাঁর গোপন পরিচয় ঘটে। তাই নবীর মাধ্যমেই আল্লার সান্নিধ্য পাওয়া সম্ভব। এই বিচারে
নাত-এ-রসুল পর্যায়ের এই গানটি হয়ে উঠেছে নাম বন্দনা-ভিত্তিক মু্র্শিদি অঙ্গের।
এই নামের মাঝে যিনি আত্ম-নিমগ্ন হতে পারেন, তাঁর কোনো দুঃখ-শোক থাকে না। শুধু
নামের গুণেই তাঁর কাছে জগৎ হয়ে ওঠে প্রেমময়। এই নামের গুণে পার্থিব খোশ্-নসীবও (পরম
সৌভাগ্য) ম্লান হয়ে যায়।
কারণ নামরূপী নবিকে জানলে- কোরান-হাদিস এবং ফেকাহ (ইসালমের প্রামাণিক ব্যখ্যা)
সবই মুহুর্তে জানা যায়। তাই নবির নামও হয়ে ওঠে খোশ্-নসীবের বরমালা। আর
তাঁর নাম
যাঁর হৃদয়ে থাকে, তাঁর কাছে বেহেস্তের আশা হয়ে ওঠে আশাহীন, দোজখের
ভয় হয়ে ওঠে অভয়।
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে
কিছু জানা যায় না।
১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দের ১২ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার ২৬ অগ্রহায়ণ ১৩৪২) টুইন রেকর্ড কোম্পানির সাথে নজরুলের গান রেকর্ডের বিষয় চুক্তি হয়েছিল।
এই চুক্তিতে গানটি অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৬ বৎসর ৬ মাস।
- রেকর্ড:
- ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দের ১২ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার ২৬ অগ্রহায়ণ ১৩৪২) টুইন রেকর্ড কোম্পানির সাথে নজরুলের গান রেকর্ডের বিষয় চুক্তি হয়েছিল।
- টুইন।
ফেব্রুয়ারি ১৯৩৬ (মাঘ -ফাল্গুন ১৩৪২)।
এফ.টি ৪২৬৩। শিল্পী: আব্বাসউদ্দীন আহমদ।
[শ্রবণ
নমুনা]
- স্বরলিপিকার ও স্বরলিপি:
সুধীন দাশ। [নজরুল-সঙ্গীত
স্বরলিপি, ষষ্ঠ খণ্ড (নজরুল ইন্সটিটিউট, ফাল্গুন ১৪০৩। ফেব্রুয়ারি ১৯৯৭)-এর ৩য় গান। পৃষ্ঠা: ২৭-৩০।]
[নমুনা]
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: ধর্মসঙ্গীত। ইসলামী গান। নাত-এ-রসুল। নাম-বন্দনা
- সুরাঙ্গ: স্বকীয় বৈশিষ্ট্য
- তাল:
কাহারবা
- গ্রহস্বর: র্স