হায় চির-ভোলা! হিমালয় হতে অমৃত আনিতে গিয়া
ফিরিয়া এলে যে নীলকণ্ঠের মৃত্যু-গরল পিয়া॥
কেন এত ভালো বেসেছিলে তুমি এই ধরণির ধূলি?
দেবতারা তাই দামামা বাজায়ে স্বর্গে লইল তুলি'
'দেশবন্ধু যখন মারা যান তখন কবি এই বাড়িতেই ছিলেন। দেশবন্ধুর মৃত্যু সংবাদ শুনে কৰি কয়েক মুহূর্ত নিশ্চল থেকে দশ মিনিটের মধ্যে একটা 'অর্ঘ্য' বলে গান লিখে সুর দিয়ে বিদ্যামন্দিরে এলেন-
গানটি এই-
"হায় চির ভোলা; হিমালয় হতে
অমৃত আনিতে গিয়া..." ... এই গানটি লেখেন ১৩৩২ সালের ৩রা আষাঢ়। দেশবন্ধুর শবাধারে রচনাটি মালার সঙ্গে অর্ঘ্যস্বরূপ জুড়ে দেওয়া হয়েছিল নৈহাটি স্টেশনে।'
উল্লেখ্য, ১৮ই জুন (বৃহস্পতিবার ৪ আষাঢ় ১৩৩২)
চিত্তরঞ্জন দাশের মরদেহ
দার্জিলিং থেকে ট্রেনযোগে নৈহাটি আসে। নজরুল এই গানটি
চিত্তরঞ্জন দাশের শবাধারে মালার
সঙ্গে অর্ঘ্যস্বরূপ জুড়ে দিয়েছিলেন।