বিষয়: নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম:
সুন্দর অতিথি এসো, এসো, কুসুম-ঝরা বনপথে
সুন্দর অতিথি এসো, এসো, কুসুম-ঝরা বনপথে,
তোমার আশায় মুকুলগুলি চেয়ে আছে প্রভাত হ'তে॥
তোমার আসার
অনুরাগে
পাতায় পাতায়
শিহর লাগে
কণ্ঠে কুহুর কুজন জাগে ভাসলো আকাশ আলোর স্রোতে॥
চলতে যদি বেদনা পায় তব কোমল চরণ-কমল
বন-বীথিকার পথ-ধুলি ঝরা পল্লব পাপড়ি-দল।
পেয়ে আজি আসার
আভাস
উতল হ'ল
মন্দ বাতাস
চেয়ে আছে উদাসী আকাশ আসবে কবে বনরথে॥
- পাঠভেদ:
- চেয়ে আছে উদাসী আকাশ আসবে কবে সোনার রথে
- চেয়ে আছে উদাসী আকাশ আসবে কবে বনরথে
- আদি রেকর্ড:
এইচএমভি [ডিসেম্বর ১৯৩৫ (অগ্রহায়ণ-পৌষ ১৩৪২)। এন
৭৪৪৭। শিল্পী: কল্যাণী গুপ্ত।
- ভাবসন্ধান: এই গানে বসন্তকে সুন্দর অতিথি হিসেবে আবাহন করা হয়েছে-
শীতের কুসুম-ঝরা বনপথে। শীতের শেষে বনের অপ্রস্ফুটিত মুকুলগুলো যেন বসন্তকে বরণ
করে নেওয়ার প্রত্যাশায় বসন্তে প্রস্ফুটিত হওয়ার প্রতীক্ষায় রয়েছে। সে আসবে বলেই
প্রেমানুরাগে শীতের জীর্ণ বনের পাতায় পাতায় লাগে নবযৌবনের শিহরণ। বসন্তের গান
গাওয়া পাখির সুমধুর ধ্বনিতে ভরে ওঠে বনভূমি। আকাশ ভরে ওঠে যৌবনের বর্ণিল
আলোকধারায়।
কবির মনে সংশয় জাগে, হয়তো শীতের পথ-ধূলি, পত্র-পুষ্প ঝরা বন-বীথিকার কঠিন পথ ধরে
আসতে বসন্তের কোমল চরণ-কমল আঘাত পাবে। তবু বসন্তের আগমনের আভাস পেয়ে শীতের
মৃদু-মন্দ বাতাস উতলা হয়ে হয়ে ওঠে। আর শীতের উদাসী আকাশ প্রতীক্ষায় থাকে, কখন
বসন্ত আসবে তার অতূল সৌন্দর্য-বৈভব নিয়ে- পত্র-পুষ্প শোভিত পাখির সুমধুর সঙ্গীত
মুখরিত বনরথ বাহিত হয়ে।
- রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু
জানা যায় না। ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর (অগ্রহায়ণ-পৌষ ১৩৪২) মাসে,
এইচএমভি
রেকর্ড কোম্পানি থেকে গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। এই
সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৬ বৎসর ৬ মাস।
- গ্রন্থ: নজরুল-সংগীত সংগ্রহ [রশিদুন্ নবী সম্পাদিত। কবি নজরুল
ইন্সটিটিউট। তৃতীয় সংস্করণ দ্বিতীয় মুদ্রণ, আষাঢ় ১৪২৫। জুন ২০১৮। গান সংখ্যা
২৯০।
- রেকর্ড:
এইচএমভি [ডিসেম্বর ১৯৩৫ (অগ্রহায়ণ-পৌষ ১৩৪২)। এন
৭৪৪৭। শিল্পী: কল্যাণী গুপ্তা]
- স্বরলিপিকার ও স্বরলিপি:
- পর্যায়
- বিষয়াঙ্গ: প্রকৃতি
- সুরাঙ্গ: স্বকীয় বৈশিষ্ট্যের গান