বিষয়: নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম:
অনাদিকাল হতে অনন্তলোক গাহে তোমারি জয়।
অনাদিকাল হতে অনন্তলোক গাহে তোমারি জয়।
আকাশ-বাতাস রবি-গ্রহ তারা চাঁদ, হে প্রেমময়॥
সমুদ্র-কল্লোল নির্ঝর-কলতান-
হে বিরাট, তোমারি উদার জয়গান;
ধ্যান গম্ভীর কত শত হিমালয় গাহে তোমারি জয়॥
তব নামের বাজায় বীণা বনের পল্লব
জনহীন প্রান্তর স্তব করে, নীরব।
সকল জাতির কোটি উপাসনালয় গাহে তোমারি জয়॥
আলোকের উল্লাসে, আঁধারের তন্দ্রায়
তব জয়গান বাজে অপরূপ মহিমায়,
কোটি যুগ-যুগান্ত সৃষ্টি প্রলয় গাহে তোমারি জয়॥
-
ভাবসন্ধান: সৃষ্টির আদি থেকে স্রষ্টার সৃষ্টি-লীলা বহমান। এই ধারায়
সৃষ্টি হয়েছে অনন্ত বিশ্বসংসার। এই গানটিতে উপস্থাপিত হয়েছে-
অনাদিকাল থেকে অনন্তলোকে বিরাজিত সেই আরাধ্য পরম প্রভুর জয়-বন্দনা। কবি এই গানে
সপ্রমে এবং বিনম্র প্রণতিতে পরমপ্রভুর সকাশে নিজেকে নিবেদন করেছেন পরম
ভক্ত হয়ে। এই পরমপ্রভুর জয়গানে কবি শুধু একা নন, তাঁর সকল সৃষ্টিই একইভাবে
জয়গানে মুখর। এই গানে তিনি সমবেত জয়সঙ্গীতের অংশভাগী নিজেকে নিবেদন করেছেন।
কবি অনুভব করেছেন- আকাশ-বাতাস, রবি-গ্রহ তারা চাঁদে ধ্বনিত হয় পরমস্রষ্টার
প্রেমময় সঙ্গীত ধ্বনি। সমুদ্রের কল্লোল ধ্বনিতে, নদীর কলগানে, হিমালয়-তুল্য
পর্বতমালার ধ্যনগম্ভীর মৌনতায়, বন-বনান্তরের প্রল্লবে বাদিত স্তববীণায়, জনহীন
প্রান্তরে অনাহত নাদে পরমপ্রভুর জয়গান ধ্বনিত হয়। অগণন উপাসনালয়ে ধ্বনিত হয়
তাঁরই প্রার্থনা। এই পরমপ্রভুর জয়ধ্বধ্বনি উদ্ভাসিত হয় জ্ঞানালোকের
উল্লাসে, অজ্ঞানতার অন্ধ-মোহে, অপরূপ মহিমায়। কোটি যুগ-যুগান্ত সৃষ্টি প্রলয়ে
গীত হয় শুধু সেই প্রেমময় প্রভুরই জয় গান।
-
রচনাকাল
ও স্থান:
গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না।
প্রবর্তক পত্রিকার কার্তিক ১৩৪৪ (অক্টোবর-নভেম্বর ১৯৩৭) সংখ্যায় গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৮ বৎসর ৫ মাস।
-
পত্রিকা: প্রবর্তক। কার্তিক ১৩৪৪ (অক্টোবর-নভেম্বর ১৯৩৭)
-
রেকর্ড:
টুইন রেকর্ড। ডিসেম্বর ১৯৩৭ (অগ্রহায়ণ-পৌষ ১৩৪৪)। এফটি ১২১৯৬।
শিল্পী: সাধক সংঘ
- এর জুড়ি গান: মধুর আরতি তব বিশ্ব সভাতে [তথ্য]
-
স্বরলিপিকার ও স্বরলিপি:
সুধীন দাশ। [নজরুল-সঙ্গীত
স্বরলিপি, সপ্তদশ খণ্ড। প্রথম সংস্করণ। নজরুল ইন্সটিটিউট আষাঢ়, ১৪০৩/ জুন, ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দ।
প্রথম গান। রেকর্ডে সাধক সংঘের শিল্পীদের গাওয়া গানের সুরাবলম্বনে
গানটির স্বরলিপি করা হয়েছে।]
[নমুনা]
-
সুরকার: সুবল দাশগুপ্ত
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: ধর্মসঙ্গীত (সাধারণ)
- সুরাঙ্গ: স্বকীয় বৈশিষ্ট্য