বিষয়: 
নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম 
: আল্লার নাম জপিও ভাই দিবসে 
ও রেতে
		
			
				
					            
					আল্লার নাম জপিও ভাই দিবসে ও রেতে
            
					সকল কাজের মাঝে রে ভাই তাঁহার রহম পেতে
কোরাস:  
					আল্লাহ্, আল্লাহ্, আল্লাহ্, আল্লাহ্, আল্লাহ্॥
             
					হাত করবে কাজ রে ভাই মন জপবে নাম
       
					ঐ   নাম জপ্তে লাগে না ভাই টাকা কড়ি দাম,
            
					নাম জপো ভাই মাঠে ঘাটে হাটের পথে যেতে।
কোরাস:  
					আল্লাহ্, আল্লাহ্, আল্লাহ্, আল্লাহ্, আল্লাহ্॥
        
					ঐ  আল্লার নাম যদি রে ভাই তুমি থাকো ধ'রে
        
					ঐ  নামও তোমায় থাকবে ধ'রে দুঃখ বিপদ ঝড়ে,
        
					ঐ  নামেরে সঙ্গী করো নাইতে শুতে খেতে।
কোরাস:  
					আল্লাহ্, আল্লাহ্, আল্লাহ্, আল্লাহ্,আল্লাহ্॥
            
					তোমার দেহ মন হবে রে ভাই নূরেতে রওশন
            
					তখন আমির ফকির চাইবে সবাই তোমার দরশন
            
					মাতোয়ারা হও যিকির করো খোদার প্রেমে মেতে।
কোরাস:  
					আল্লাহ্, আল্লাহ্, আল্লাহ্, আল্লাহ্, আল্লাহ্॥
				
			
		
	- ভাবসন্ধান: ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে আল্লাই একমাত্র প্রভু। কবি এই 
	গানে মুসলমানদের উদ্দেশ্যে- আল্লাহর করুণা পাওয়ার জন্য  দিনে-রাতে, সকল 
	কাজের মধ্যে আল্লাহকে স্মরণ করার জন্য অনুরোধ করেছেন। সমবেত কণ্ঠে আল্লাহর নাম 
	জপের নমুনা হিসেবে তিনি জিকির হিসেবে- পাঁচটি আল্লাহু শব্দ ব্যবহার করেছেন। এই 
	সমবেত জপটি প্রতিটি অন্তরার শেষে যুক্ত করা হয়েছে।
 
 ইমানদার মুসলমান কাজ করবেন হাতে, আর আল্লার জপ করবেন মনে। কবি মুসলমানদের স্মরণ 
	করিয়ে দিয়ে বলেছেন- এই নাম জপের জন্য ধন-সম্পদ লাগে না। তাই মাঠে, ঘাটে, হাটে, 
	চলার পথে সবাই যেনো তাঁর নাম জপ করেন।
 
 কবি মনে করেন যদি আল্লার নামজপ ধরে রাখা যায়, তাহলে ওই নামই দুঃখ বিপদ ঝড়-ঝঞ্চা 
	থেকে সবাইকে রক্ষা করবে। তাই মুসলমানেরা যেন স্নানে, শয়নে, ভোজনে এই নামকেই 
	সঙ্গী করে জীবন অতিবাহিত করে।
 
 কবি মনে করেন- এই নাম জপই দেহে মনে আল্লাহর আলোর রৌশানাই ছড়িয়ে দেয়। আর যদি 
	তেমনটা ঘটে, তবে আমির ফকির সবাই জপকারীর দর্শন লাভের জন্য লালায়িত হয়ে উঠবে। 
	তাই কবি সবাইকে আল্লার প্রেমের মত্ত হয়ে তাঁর নামজপে মাতোয়ার হতে উদ্বুদ্ধ 
	করেছেন এই গানে।
 
- রচনাকাল ও স্থান: 
	গানটির রচনাকাল সম্পর্কে জানা যায় না।
	১৯৪০ 
		খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল   
		
	(চৈত্র ১৩৪৬-বৈশাখ ১৩৪৭) মাসে টুইন রেকর্ড কোম্পানি গানটির প্রথম রেকর্ড 
	প্রকাশ করেছিল।  এই সময় নজরুল ইসলামের বয়স ছিল ৪১ বৎসর ১০ মাস।
	
 
- 
	রেকর্ড। টুইন। এপ্রিল ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দ (চৈত্র
	 
	১৩৪৬-বৈশাখ ১৩৪৭)। এফটি ১৩২৬১। শিল্পী: গোলাম হায়দার অ্যান্ড পার্টি। 
	সুর: গোলাম হায়দার। 
 
 এর জুড়ি গান-
	- 
	
	আল্লাজী আল্লাজী রহম কর তুমি যে রহমান  [তথ্য]
	
 
 
- স্বরলিপি ও স্বরলিপিকার: 
সুধীন দাশ।
		 নজরুল সঙ্গীত স্বরলিপি 
চতুর্দশ খণ্ড
(নজরুল ইন্সটিটিউট)। আষাঢ় ১৪০৩ (জুন ১৯৯৬)। চতুর্থ সংখ্যক গান। রেকর্ডে গোলাম হায়দার অ্যান্ড 
	পার্টির গাওয়া গানের সুরানুসারে স্বরলিপি করা হয়েছে। 
		[নমুনা]
 
- সুরকার:  গোলাম হায়দার
- পর্যায়:
		- বিষয়াঙ্গ: ধর্মসঙ্গীত। ইসলাম। পরমসত্তা। হামদ। আল্লার নাম।
- সুরাঙ্গ: 
		
		
		ভাটিয়ালি। 
- তাল:
		
		কাহারবা 
- গ্রহস্বর: সা