বিষয়:
নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম
:
আজি নাহি কিছু মোর মান-অপমান ব’লে
আজি নাহি কিছু মোর মান-অপমান ব’লে।
সকলি দিয়াছি মোর ঠাকুরের রাঙা চরণের তলে॥
মোর দেহ-প্রাণ, জাতি কুল মান,
লজ্জা ও গ্লানি আর অভিমান;
(আমি) দিছি চিরতরে জলাঞ্জলি গো কালো যমুনার জলে॥
মোরে যদি কেহ ভালোবাসে আজ জল আসে আঁখি ভ’রে।
মোর ছল ক’রে সে যে ভালোবাসে মোর শ্যামসুন্দরে।
মোরে না বুঝিয়া কেহ করিলে
আঘাত
কেঁদে বলি, ওরে ক্ষমা করো নাথ্
বৃন্দাবনে যে প্রেম মধুর হয় আঘাত নিন্দাছলে॥
-
ভাবসন্ধান: কৃষ্ণের কাছে ভক্তের আত্মনিবেদন- বৃন্দাবনের প্রেম-লীলার ছলে উপস্থাপন
করা হয়েছে এই গানে।
কৃষ্ণের কছে ভক্ত তাঁর সকল কিছু চিরতরে বিসর্জন দিয়েছেন যমুনার জলে। তাই তাঁর কাছে
দেহ-মনপ্রাণ, জাতি-কূল, লজ্জা-গ্লানি, মান-অপমান বলে কিছু নেই। তাঁকে যদি কেউ
ভালোবাসে, তাকে কিছু দেবার নেই বলে তাঁর চোখ ভরে জল আসে। মনে হয়ে তার ভিতর দিয়ে ছল
করে সে ভালবাসে তার শ্যামসুন্দরকে। আর যদি কেউ তাঁকে না বুঝে আঘাত করে, তিনি ভাবেন-
শ্যামই তাঁকে আঘাত করেছেন। তাই শ্যামের কাছে কেঁদে বলেন- আঘাতকারীকে তিনি যেন ক্ষমা
করে দেন। কারণ বৃন্দাবনে নিন্দাছলে দেওয়া আঘাত যেমন প্রেমমধুর হয়ে ওঠে, তেমন
জগৎসংসারের যে কোন আঘাতই কৃষ্ণের আঘাত বলেই তাঁর কাছে মধুময় হয়ে ওঠে।
-
রচনাকাল ও স্থান:
গানটির রচনাকাল সম্পর্কে
সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দের
মার্চ (বৈশাখ -জ্যৈষ্ঠ ১৩৫৫) মাসে গানটি প্রথম এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি থেকে প্রকাশিত
হয়েছিল। এই সময় নজরুল ইসলামের বয়স ছিল ৪৮ বৎসর ১১ মাস। উল্লেখ্য এই সময়
নজরুল বাকরহিত দশায় পৌঁছেছিলেন।
-
রেকর্ড: এইচএমভি। মে ১৯৪৭ (বৈশাখ -জ্যৈষ্ঠ ১৩৫৫)। এন ২৭৮২০। শিল্পী:
মৃণালকান্তি ঘোষ। [শ্রবণ
নমুনা]
-
স্বরলিপিকার ও স্বরলিপি: সালাউদ্দিন আহ্মেদ
[নজরুল-সঙ্গীত
স্বরলিপি, অষ্টাদশ খণ্ড। প্রথম সংস্করণ। নজরুল ইন্সটিটিউট আশ্বিন ১৪০৪/অক্টোবর
১৯৯৩। দ্বিতীয় গান।] [নমুনা]
- পর্যায়:
- বিষয়াঙ্গ: ধর্মসঙ্গীত। সনাতন হিন্দুধর্ম। বৈষ্ণব। কৃষ্ণ।
আত্মনিবেদন। মীরাবাঈ
- সুরাঙ্গ: স্বকীয় বৈশিষ্ট্য