ভাষাংশ | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনাসংগ্রহের সূচি


কালমৃগয়া

তৃতীয় দৃশ্য


 

        কুটীর
অন্ধ ঋষি ও ঋষিকুমার
        বেদপাঠ

    অন্তরিক্ষোদর কোশো ভূমিবুধ্নে ন জীর্য্যতি দিশো হস্য স্রক্তয়ো দ্যৌরস্যোত্তরং বিলং স এষ কোশোবসুধানস্তস্মিন্ বিশ্বমিদং শ্রিতম্
  
তস্য প্রাচী দিগ্ জুহূর্নাম সহমানা নাম দক্ষিণা রাজ্ঞী নাম প্রতীচী সুভূতা নামোদীচী তাসাং বায়ুর্ব্বৎসঃ স য এতমেবং বায়ু দিশাং বৎসং বেদ ন পুৎত্র রোদং রোদিতি সোহহমেতমেবং বায়ুং দিশাং বৎসং বেদ মা পুত্ররোদং রুদম্
 

             জয়জয়ন্তী ঝাঁপতাল
অন্ধ ঋষি।

জল এনে দে, রে বাছা, তৃষিত কাতরে।

  শুকায়েছে কণ্ঠ তালু, কথা নাহি সরে
             [মেঘগর্জন]
         দেশ
ঢিমে তেতালা
না না কাজ নাই, যেয়ো না বাছা,—
গভীরা রজনী ঘোর, ঘন গরজে,
তুই যে এ অন্ধের নয়নতারা।
আর কে আমার আছে!
কেহ নাই, কেহ নাই—
তুই শুধু রয়েছিস হৃদয় জুড়ায়ে—
তোরেও কি হারাব বাছা রে,
সে তো প্রাণে স'বে না
!

         খাম্বাজ
ঢিমে তেতালা
ঋষিকুমার।     আমা-তরে অকারণে, ওগো পিতা, ভেবো না।
  অদূরে সরযূ বহে, দূরে যাব না।
পথ যে সরল অতি,
চপলা দিতেছে জ্যোতি,
তবে কেন, পিতা, মিছে ভাবনা।
অদূরে সরযূ বহে, দূরে যাব না

                       [প্রস্থান]