বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
এসো এসো এসো প্রাণের উৎসব
পাঠ ও পাঠভেদ:
এসো এসো এসো প্রাণের উৎসবে,
দক্ষিণবায়ুর বেণুরবে॥
পাখির প্রভাতি গানে এসো এসো পুণ্যস্নানে
আলোকের অমৃতনির্ঝরে॥
এসো এসো তুমি উদাসীন।
এসো এসো তুমি দিশাহীন।
প্রিয়েরে বরিতে হবে, বরমাল্য আনো তবে—
দক্ষিণা দক্ষিণ তব করে॥
দুঃখ আছে অপেক্ষিয়া দ্বারে—
বীর, তুমি বক্ষে লহো তারে।
পথের কণ্টক দলি এসো চলি,এসো চলি
ঝটিকার মেঘমন্দ্রস্বরে॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
পাঠভেদ:
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
২২ মাঘ ১৩৩২ [৫
ফেব্রুয়ারি ১৯২৬]। [সূত্র : রচনাকাল/প্রকাশকাল। স্বরবিতান-১]
গানটি রবীন্দ্রনাথের ৬৪ বৎসর
৯ মাস বয়সের রচনা।
প্রবাসী নামক একটি দীর্ঘ কবিতার একটি অংশ হলো- এই গানটি। এ প্রসঙ্গে শান্তিদেব ঘোষের 'রবীন্দ্রসঙ্গীত' নামক গ্রন্থে যে উল্লেখ পাওয়া যায়, তা হলো- ''১৩৩৩ সালে, প্রবাসী পত্রিকার পঁচিশ বৎসর পূর্তিতে আশীর্বাদস্বরূপ গুরুদেব একটি বড় কবিতা লিখেছিলেন- 'পরবাসী, চলে এসো ঘরে, অনুকূল সমীরণ ভরে'। এই কবিতার প্রথম অংশ ও মধ্যের অংশটিকে আলাদা করে নিয়ে, কিছু কথার অদলবদল করে দুটি গান তৈরি করেন। প্রথম গানটি হল- ইমন-কল্যাণ রাগে, 'পরবাসী চলে এসো ঘরে', আর দ্বিতীয় অংশটিতে সুরযোজনা করলেন মিশ্র রামকেলীতে, তার প্রথম লাইন হল, 'এসো এসো এসো প্রাণের উৎসবে, দক্ষিণবায়ুর বেণুরবে'।
এই বিচারে রবীন্দ্রনাথ মূল 'প্রবাসী' নামক
কবিতাটি- ১৩৩৩ সালের
প্রবাসী পত্রিকার জন্য
১৩৩২ সালেরই মাঘ মাসে রচনা করেছিলেন।
কিন্তু পরে এই কবিতাট ভেঙে এবং কিছু রদবদল করে তিনি দুটি গানে রূপ দিয়েছিলেন। এবং
বিবরণ শুনে মনে হয়- তিনি এই কাজটি করেছিলেন ১৩৩৩ সালের
প্রবাসী
পত্রিকার প্রকাশের পর। তা যদি হয়, তা হলে- কবিতা থেকে গান দুটির জন্ম হয় ১৩৩৩ সালে।
অখণ্ড সংস্করণ, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দ)। আনুষ্ঠানিক পর্যায়ের ১৮ সংখ্যক গান।
বৈকালী (১৩৮১ সংস্করণ)
স্বরবিতান প্রথম খণ্ডের (সংস্করণ ভাদ্র ১৪১৩) ৪০ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ১১৬-১১৮।
পত্রিকা:
বিচিত্রা (আষাঢ় ১৩৩৭)। দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
রাগ: কালাংড়া। তাল: কাহারবা। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬। পৃষ্ঠা: ৩৯]
রাগ: ভৈরবী, কালেংড়া। তাল: কাহারবা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৭২।]