স্বরবিতান প্রথম খণ্ড
রবীন্দ্রসঙ্গীতের স্বরলিপিসমূহের সংকলিত গ্রন্থমালার প্রথম খণ্ড।

গ্রন্থটির প্রথম মুদ্রণ-সহ টি সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে। এগুলো হলো-

এই গ্রন্থের ভাদ্র ১৩৭৭ সংস্করণের ১৫১ পৃষ্ঠায় মুদ্রিত প্রজ্ঞাপনে সংস্করণের বিষয়টি যেভাবে  উল্লেখ করা হয়েছে, তা তুলর ধরা হল।

স্বরবিতান প্রথম খণ্ড প্রকাশিত হয় ভাদ্র ১৩৪২ সালে। ভাদ্র ১৩৫৪ সালে মুদ্রিত এই গ্রন্থের দ্বিতীয় সংস্করণের সম্পাদনার মুখ্য দায়িত্ব বহন করেন শ্রীঅনাদিকুমার দস্তিদার। 'নিবিড় অমা-তিমির হতে' গানটির স্বরলিপি স্বরবিতান পঞ্চম খণ্ডেও মুদ্রিত থাকায় উহা উক্ত সংস্করণ হইতে বর্জিত হয় এবং 'অনেক দিনের শূন্যতা মোর' গানটি স্বরলিপিসহ অন্তর্ভুক্ত হয়। ভাদ্র ১৩৫৪ সালে মুদ্রিত দ্বিতীয় সংস্করণে গ্রন্থের সূচনায় বিশ্বভারতী গ্রন্থনবিভাগের তৎকালীন সম্পাদক চারুচন্দ্র ভট্টাচার্য মহাশয়ের একটি বিজ্ঞপ্তি প্রচারিত হয়। উহার অংশবিশেষ নিম্নে উদ্ধৃত হইল:

   'রবীন্দ্রসংগীতচর্চার জন্য সম্প্রতি দেশব্যাপী যে আগ্রহ পরিলক্ষিত হইতেছে, গত কয়েক বৎসরে মুদ্রণকার্য-সংক্রান্ত নানা বাধায়, নিয়মিত স্বরলিপি-সংগ্রহ প্রকাশ করিয়া সে আগ্রহ পরিতৃপ্ত করিবার আয়োজন বিশ্বভারতী করিতে পারেন নাই। রবীন্দ্রসংগীত স্বরলিপি-সংগ্রহ যাহাতে ভবিষ্যতে নিয়মিত প্রকাশিত হইতে পারে, সম্প্রতি সে-বিষয়ে যথাসাধ্য ব্যবস্থা করা হইয়াছে। সাময়িক পত্রিকায় প্রকাশকালে, গ্রন্থের পূর্বতন সংস্করণে, বা লোকমুখে যে-সকল ভ্রান্তি প্রবেশ করিয়াছিল তাহার সংস্কার; গ্রন্থাকারে অপ্রকাশিত স্বরলিপি সংগ্রহ; নূতন-স্বরলিপি রচনা এবং সেগুলি সাময়িক পত্রে ও গ্রন্থাকারে প্রকাশ; এই সকল বিষয়ে ব্যবস্থা করিবার জন্য বিশ্বভারতী গ্রন্থনবিভাগ একটি সমিতি গঠন করিয়াছেন; শ্রীইন্দিরাদেবী চৌধুরাণী, শ্রীঅনাদিকুমার দস্তিদার, শ্রীশৈলজারঞ্জন মজুমদার ও শ্রীশান্তিদেব ঘোষ এই সমিতির সদস্য নির্বাচিত হইয়াছেন। এই সমিতির তত্ত্বাবধানে যে-সকল স্বরলিপি প্রকাশিত হইবে, আশা করি সকলে তাহাই অনুসরণ করিবেন।...'

ভাদ্র ১৩৫৬ সালে পুনর্মুদ্রিত এই গ্রন্থের সূচনায়ও উল্লিখিত বিজ্ঞপ্তি সামান্য পাঠান্তরে প্রচারিত হয়।

তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয় ভাদ্র ১৩৬১ সালে। এই সংস্করণে 'কেন পান্থ এ চঞ্চলতা' গানের পরিপূরক 'যাত্রাবেলায় রুদ্র রবে' গানটির দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি স্বরবিতান পঞ্চম খণ্ড (জ্যৈষ্ঠ ১৩৪৯) হইতে সংকলিত হয়।

এই গ্রন্থের অধিকাংশ গানের স্বরলিপি দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত। ২২-সংখ্যক গানের স্বরলিপি করেন রমা কর। ১, ২, ৮, ১৭, ২১, ৪৩, ৪৪ ও ৫১-সংখ্যক গানের স্বরিলিপি শ্রীঅনাদিকুমার দস্তিদার -কৃত। ৪৬ ও ৪৭ -সংখ্যক গানের স্বরলিপিকার শ্রীশান্তিদেব ঘোষ। ৪৮, ৪৯ ও ৫০ -সংখ্যক গানের স্বরলিপি করিয়াছেন শ্রীশৈলজারঞ্জন মজুমদার। ৩ ও ১২ -সংখ্যক গানের গীতরীতি সম্পর্কে বিশেষ অবহিত হওয়া আবশ্যক।

বর্তমান গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত গান ও স্বরলিপি সম্পর্কে এ যাবৎ গৃহীত তথ্যাদি, এবং সুরভেদ, ছন্দোভেদ, পাঠভেদ ও রচনাকাল-প্রকাশকাল বর্তমান সংস্করণে সন্নিবিষ্ট হইল। উল্লিখিত তথ্যাদি সংগ্রহ ও সংকলন করিয়াছেন শ্রীপ্রফুল্লকুমার দাস।
                          ভাদ্র ১৩৭৭                                                  
রণজিৎ  রায়         
অধ্যক্ষ, বিশ্বভারতী গ্রন্থনবিভাগ

নিচে ভাদ্র ১৩৭৭  বঙ্গাব্দে

এই গ্রন্থের গৃহীত গানগুলির তালিকা নিচে দেওয়া হলো।

অনেক দিনের শূন্যতা মোর ভরতে হবে [পূজা-২৭২] [তথ্য] [নমুনা]
আজ শ্রাবণের আমন্ত্রণে [প্রকৃতি-৫৬] [তথ্য] [নমুনা: মূল স্বরলিপি, সুরান্তর]
আঁধার রাতে একলা পাগল যায় কেঁদে [পূজা-৫৮৬] [তথ্য] [নমুনা]
আধেক ঘুমে নয়ন চুমে স্বপন দিয়ে যায় [বিচিত্র-৯৩] [তথ্য] [নমুনা]
আপনি আমার কোন্‌খানে [পূজা-৫৮২] [তথ্য] [নমুনা]
আমার অন্ধপ্রদীপ শূন্য-পানে চেয়ে আছে [বিচিত্র-১৭] [তথ্য] [নমুনা]
আমার ভুবন তো আজ হল কাঙাল [প্রেম-২৭৪] [তথ্য] [নমুনা: মূল স্বরলিপি, সুরান্তর]
আমার মন বলে, চাই, চাই গো। [প্রেম-৩৪৩] [তথ্য] [ নমুনা]
আহ্বান আসিল মহোৎসবে [প্রকৃতি-৫৩] [তথ্য] [নমুনা]
এ পথে আমি- যে গেছি বার বার [প্রেম-২৭৬ ] [তথ্য] [নমুনা]
এসো এসো প্রাণের উৎসবে[আনুষ্ঠানিক-১৮]
[তথ্য] [নমুনা: মূল, সুরান্তর]
ও চাঁদ, চোখের জলের লাগল জোয়ার [প্রেম-২৪২]
[তথ্য] [নমুনা]
ওকে বাঁধিবি কে রে [প্রেম-১৬৫] [তথ্য] [নমুনা]
ওগো বধূ সুন্দরী [প্রকৃতি-১৯৯] [তথ্য] [নমুনা: মূল, সুরান্তর]
কাছে থেকে দূর রচিল [প্রেম-২৬৯] [তথ্য] [নমুনা: মূল, সুরান্তর]
কাহার গলায় পরাবি গানের[প্রেম-৩] [তথ্য] [নমুনা: মূল স্বরলিপি, সুরান্তর]
কী পাইনি তার হিসাব মিলাতে [বিচিত্র-৪৪] [তথ্য] [নমুনা]
কেন পান্থ এ চঞ্চলতা [প্রকৃতি-৯৩] [তথ্য] [নমুনা]
কোথায় ফিরিস পরম শেষের অন্বেষণে [বিচিত্র-১০৫]
[তথ্য]
কোন্ গহন অরণ্যে তারে [প্রেম-২৬৮] [তথ্য] [নমুনা: মূল গান, সুরান্তর]
কোন্ পুরাতন প্রাণের টানে [প্রকৃতি-৫৪] [তথ্য] [নমুনা: মূল স্বরলিপি, সুরান্তর]
চাঁদের হাসির বাঁধ ভেঙেছে[প্রেম-৯৪] [তথ্য] [নমুনা]
চেনা ফুলের গন্ধস্রোতে [প্রকৃতি-২৬৯] [তথ্য] [নমুনা]
জয়যাত্রায় যাও গো [প্রেম-৭৮] [তথ্য] [নমুনা: মূল স্বরলিপি, সুরান্তর]
ডাকব না, ডাকব না (না না না, ডাকব না, ডাকব না) [প্রেম-১৮৩] [তথ্য] [নমুনা]
ডাকিল মোরে জাগার সাথি [পূজা-৫২৯] [তথ্য] [নমুনা]
তুমি কি এসেছ মোর দ্বারে [পূজা-৯১] [তথ্য] [নমুনা]
তোমার আমার এই বিরহের অন্তরালে[পূজা-১৩৪]
[তথ্য] [নমুনা]
তোমার গীতি জাগালো স্মৃতি [প্রেম-২৫৩] [তথ্য] [নমুনা]
দিন যদি হল অবসান[পূজা-৬০১] [তথ্য] [মূল, সুরান্তর]
দূরদেশী সেই রাখাল ছেলে [বিচিত্র-৮৫] [তথ্য] [নমুনা:মূল স্বরলিপি, সুরান্তর]
না বলে যায় পাছে সে [প্রেম-১৪৮] [তথ্য] [নমুনা: মূল স্বরলিপি, সুরান্তর]
নিশীথে কী কয়ে গেল মনে [প্রেম-১২৭] [তথ্য] [নমুনা: মূল স্বরলিপি, সুরান্তর]
পরবাসী চলে এসো ঘরে [বিচিত্র-১০৯] [তথ্য] [নমুনা]
ফুল বলে, ধন্য আমি মাটির পরে [পূজা-৫০২] [তথ্য] [নমুনা]
বাজো রে বাঁশরি, বাজো [নাট্যগীতি-১১১, শাপমোচন] [তথ্য] [নমুনা: মূল স্বরলিপি, সুরান্তর]
বেদনায় ভরে গিয়েছে পেয়ালা [প্রেম-৮৫] [তথ্য] [নমুনা]
মন রে ওরে মন [পূজা-৫৫৬] [তথ্য] [নমুনা]
মম মন-উপবনে চলে অভিসারে [প্রকৃতি-১১৭] [তথ্য] [নমুনা: মূল সুর, সুরান্তর]
মিলনরাতি পোহালো[প্রেম-১৬১] [তথ্য] [নমুনা]
মোর স্বপন-তরীর কে তুই নেয়ে [প্রেম-১২৮] [তথ্য] [নমুনা]
যাত্রাবেলায় রুদ্র রবে [পূজা-৬১৬] [তথ্য] [নমুনা]
যৌবনসরসীনীরে মিলনশতদল [প্রেম-৩৭৫] [তথ্য] [মূল স্বরলিপি সুরান্তর]
রাঙিয়ে দিয়ে যাও গো এবার [বিচিত্র-১৬, শাপমোচন] [তথ্য] [নমুনা]
লুকালে বলেই খুঁজে বাহির করা [প্রেম-৩২৫ [তথ্য] [নমুনা]
সে আমার গোপন কথা [প্রেম-১১৭] [তথ্য ]  [নমুনা: মূল স্বরলিপি, সুরান্তর]
সেদিন দুজনে দুলেছিনু বনে [প্রেম-১৮৯, শাপমোচন] [তথ্য] [নমুনা]
স্বপ্নে দোঁহে ছিনু কী মোহে [প্রেম-১৬০] [তথ্য] [নমুনা]
হিংসায় উন্মত্ত পৃথ্বী [পূজা-৪০৬] [তথ্য] [নমুনা: মূল স্বরলিপি, সুরান্তর]
হৃদয়ে মন্দ্রিল ডমরু গুরু গুরু [প্রকৃতি -১০৩ [তথ্য] [নমুনা: মূল স্বরলিপি, সুরান্তর]
হে নবীনা [প্রেম-৯৭] [তাসের দেশ] [তথ্য] [নমুনা]