বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত
শিরোনাম: 
 রাঙিয়ে দিয়ে যাও যাও যাও গো এবার যাবার আগে 
পাঠ ও পাঠভেদ:
	- গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৪১২)-এর পাঠ: বিচিত্র : ১৬ 
	
		
		 রাঙিয়ে দিয়ে যাও যাও   যাও গো এবার যাবার আগে ―
			তোমার আপন রাগে, তোমার গোপন রাগে,
			তোমার তরুণ হাসির অরুণ রাগে,
			অশ্রুজলের করুণ রাগে॥
			রঙ যেন মোর মর্মে লাগে, আমার সকল কর্মে লাগে,
			সন্ধ্যাদীপের আগায় লাগে, গভীর রাতের জাগায় লাগে॥
			যাবার আগে যাও গো আমায় জাগিয়ে দিয়ে,
			রক্তে তোমার চরণ-দোলা লাগিয়ে দিয়ে।
			আঁধার নিশার বক্ষে যেমন তারা জাগে.
			পাষাণগুহার কক্ষে নিঝর-ধারা জাগে,
			মেঘের বুকে যেমন মেঘের মন্দ্র জাগে,
			বিশ্ব-নাচের কেন্দ্রে যেমন ছন্দ জাগে,
			তেমনি আমায় দোল দিয়ে যাও যাবার পথে আগিয়ে দিয়ে,
			কাঁদন-বাঁধন ভাগিয়ে দিয়ে॥
		
	
 
	- তথ্যানুসন্ধান
	- ক. রচনাকাল ও স্থান: 
	 ২৯ ফাল্গুন ১৩৩৩ বঙ্গাব্দ 
[১৩ মার্চ ১৯২৭]। শান্তিনিকেতন। রবীন্দ্রনাথের ৬৫ বৎসর 
১১ মাস বয়সের রচনা।
- খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
	- গ্রন্থ
	- 
	গীতবিতান 
		
	- অখণ্ড সংস্করণ, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দ), বিচিত্র 
			১৬ । 
 
- ঋতুরঙ্গ (১৩৩৪ বঙ্গাব্দ)। 
- নটরাজ (১৩৩৮ বঙ্গাব্দ)। শেষের রঙ। গান। রবীন্দ্ররচনাবলী অষ্টাদশ খণ্ড 
		(বিশ্বভারতী)। পৃষ্ঠা ২৪৬।
- শাপমোচন (১৩৩৯ বঙ্গাব্দ)। 
	- ১৫ ও ১৬ চৈত্র (২৯ ও ৩০ মার্চ ১৯৩৩) তারিখে 
		কলকাতার 'এম্পায়ার' থিয়েটারে শাপমোচন অভিনয়কালে এই গানটি যুক্ত করা হয়। 
		 সখীদের গান। 
- রবীন্দ্ররচনাবলী দ্বাবিংশ (২২) খণ্ড। (বিশ্বভারতী)। পৃষ্ঠা : 
		৯২।
 
- 
	
				 
			স্বরবিতান
				প্রথম খণ্ডের 
			(সংস্করণ ভাদ্র ১৪১৩) ১৫ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ৪৩-৪৬। 
	[স্বরলিপি]
- স্বরলিপি-সংবলিত শাপমোচন, বাণী অংশ- ১৫, স্বরলিপি অংশ- ৫৯-৬২।
 
- পত্রিকা:
	- বিচিত্রা (আষাঢ় ১৩৩৪)। শেষের রঙ। নটরাজ-ঋতুরঙ্গশালা । 'বিচিত্রা'-র জ্যৈষ্ঠ 
	১৩৩৫ সংখ্যায় দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি-সহ প্রকাশিত হয়।
- বসুমতী (পৌষ ১৩৩৪ বঙ্গাব্দ)। ঋতুরঙ্গ -এর সাথে গানটি প্রকাশিত হয়েছিল।
 
-  প্রকাশের 
		কালানুক্রম: নটরাজ ঋতুরঙ্গশালা রচিত হয় ১৯৩৩ 
		বঙ্গাব্দে। এই গ্রন্থটি  বিচিত্রা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়- 
		আষাঢ় ১৩৩৪ বঙ্গাব্দ সংখ্যায়। এই সময় এই গানটিও 'নটরাজ 
		ঋতুরঙ্গশালা'র সাথে প্রকাশিত হয়েছিল।  এরপর  নটরাজ 
		ঋতুরঙ্গশালা'-কে রবীন্দ্রনাথ কিছু পরিবর্তন করেন। পরিবর্তিত এই সংস্করণটির 
		নামকরণ করেন- 'ঋতুরঙ্গ'। 'বসুমতী' পত্রিকার পৌষ ১৩৩৪ বঙ্গাব্দ সংখ্যায় 
		'ঋতুরঙ্গ' প্রকাশিত হয়। এই গ্রন্থের সাথে- এই গানটিও প্রকাশিত হয়েছিল। 
		বর্তমানে   রবীন্দ্ররচনাবলী 
		১৮তম (অষ্টাদশ খণ্ড, বিশ্বভারতী)।
	 পৃষ্ঠা ২১১-১২। ) 
		খণ্ডে এই গানটি 'নটরাজ'-এর সাথে পাওয়া যায়।  
	 আরও পরে 
		রবীন্দ্রনাথ এই গানটি 'শাপমোচন'-এ ব্যবহার করেছেন। 
		[ রবীন্দ্ররচনাবলী 
		দ্বাবিংশ (২২) খণ্ড। (বিশ্বভারতী)। পৃষ্ঠা : ৯২।]
 
 
-  গ.সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলী: