বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
তুমি কি
এসেছ মোর দ্বারে
পাঠ ও পাঠভেদ:
তুমি কি এসেছ মোর দ্বারে
খুঁজিতে আমার আপনারে।
তোমারি যে ডাকে
কুসুম গোপন হতে বাহিরায় নগ্ন শাখে শাখে,
সেই ডাকে ডাকো আজি তারে ॥
তোমারি সে ডাকে বাধা ভোলে,
শ্যামল গোপন প্রাণ ধূলি-অবগুণ্ঠন খোলে
সে ডাকে তোমারি
সহসা নবীন উষা আসে হাতে আলোকের ঝারি,
দেয় সাড়া ঘন অন্ধকারে ॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: রবীন্দ্রনাথের তিনটি পাণ্ডুলিপিতে গানটি পাওয়া যায়। পাণ্ডুলিপি তিনটি হলো-
[RBVBMS 027] [নমুনা]
[RBVBMS 028] [নমুনা]
[RBVBMS 298] [নমুনা]
তথ্যানুসন্ধান:
ক. রচনাকাল ও স্থান:
গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায় না। গানটি
নটীরপূজা নাটকের অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল মাসিক
বসুমতী
পত্রিকায় বৈশাখ ১৩৩৩ সংখ্যায়। এই বিচারে অনুমান করা যায় যে,
রবীন্দ্রনাথ গানটি ১৩৩২ বঙ্গাব্দের শেষের দিকে রচনা করেছিলেন। এই সময়
রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৬৪ বৎসর।
[রবীন্দ্রনাথের
৬৪ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
তৃতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ (বিশ্বভারতী, শ্রাবণ ১৩৩৯ বঙ্গাব্দ)। ১৩২১ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 'গীতি-মাল্য' থেকে গৃহীত হয়েছিল। পৃষ্ঠা: ৪৩১-৪৩২। [নমুনা]
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, মাঘ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ)। গান সংখ্যা ৫৯। পৃষ্ঠা: ৩৮-৩৯। [নমুনা: ৩৮, ৩৯]
অখণ্ড সংস্করণ, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৮০ বঙ্গাব্দ)। পর্যায়: পূজা ৯১। উপবিভাগ: বন্ধু ৫৯। পৃষ্ঠা: ৪২।
প্রথম সংস্করণ [বিশ্বভারতী (১৩৩৩ বঙ্গাব্দ) প্রথম অঙ্ক। শ্রীমতীর গান। পৃষ্ঠা: ২৪] [নমুনা]
রবীন্দ্ররচনাবলী অষ্টাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী, বৈশাখ ১৩৯৪)। পৃষ্ঠা: ১৬২।
বিশ্বভারতী ১৩৮১ সংস্করণ। ৩৬ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ৩৯। [নমুনা]
স্বরবিতান
প্রথম
খণ্ডের
(সংস্করণ
ভাদ্র ১৪১৩) দশম
গান। পৃষ্ঠা: ৩১-৩৩।
পত্রিকা:
প্রকাশের কালানুক্রম:
নটীর পূজা নাটকের
সাথে গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৩৩ বঙ্গাব্দে।
এছাড়া
মাসিক বসুমতী পত্রিকায় (বৈশাখ ১৩৩৩ বঙ্গাব্দ) প্রকাশিত 'নটীর
পূজা'-এর
সাথে গানটি প্রকাশিত হয়েছিল।
১৩৩৯
বঙ্গাব্দে গীতবিতানের তৃতীয় খণ্ডের
প্রথম সংস্করণ গানটি গৃহীত হয়েছিল। এরপর
১৩৪৮ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত গীতবিতানের প্রথম খণ্ডের দ্বিতীয়
সংস্করণে পূজা পর্যায়ের
অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। ১৩৭১ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত
গীতবিতানে গানটি পূজা
পর্যায়ে গৃহীত হয়েছিল।
১৩৮০
বঙ্গাব্দের
পৌষ মাসে অখণ্ড গীতবিতানের তৃতীয় এবং সর্বশেষ সংস্করণে গানটি
পূজা পর্যায়ের ৯১ সংখ্যক গান অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।