বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
যখন
পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে
পাঠ
ও পাঠভেদ:
যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে,
আমি বাইব না মোর খেয়াতরী এই ঘাটে,
চুকিয়ে দেব বেচা কেনা,
মিটিয়ে দেব গো, মিটিয়ে দেব লেনা দেনা,
বন্ধ হবে আনাগোনা এই হাটে—
তখন আমায় নাইবা মনে রাখলে,
তারার পানে চেয়ে চেয়ে নাইবা আমায় ডাকলে।
যখন জমবে ধুলা তানপুরাটার তারগুলায়,
কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়, আহা,
ফুলের বাগান ঘন ঘাসের পরবে সজ্জা বনবাসের,
শ্যওলা এসে ঘিরবে দিঘির ধারগুলায়—
তখন আমায় নাইবা মনে রাখলে,
তারার পানে চেয়ে চেয়ে নাইবা আমায় ডাকলে।
তখন এমনি করেই বাজবে বাঁশি এই নাটে,
কাটবে দিন কাটবে,
কাটবে গো দিন আজও যেমন দিন কাটে, আহা,
ঘাটে ঘাটে খেয়ার তরী এমনি সে দিন উঠবে ভরি—
চরবে গোরু খেলবে রাখাল ওই মাঠে।
তখন আমায় নাইবা মনে রাখলে,
তারার পানে চেয়ে চেয়ে নাইবা আমায় ডাকলে।
তখন কে বলে গো সেই প্রভাতে নেই আমি।
সকল খেলায় করবে খেলা এই আমি— আহা,
নতুন নামে ডাকবে মোরে, বাঁধবে নতুন বাহু-ডোরে,
আসব যাব চিরদিনের সেই আমি।
তখন আমায় নাইবা মনে রাখলে,
তারার পানে চেয়ে চেয়ে নাইবা আমায় ডাকলে॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: RBVBMS 111[প্রথমাংশ, শেষাংশ]
পাঠভেদ:
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান: এই গানটির খসড়া পাওয়া যায় পাণ্ডুলিপি MS. NO 111 - এর ৫৭ ও ৫৯ পৃষ্ঠায়। গানটির সাথে রচনাকাল বা স্থান হিসেবে উল্লেখ আছে- '২৫ চৈত্র ১৩২২, শান্তিনিকেতন'। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৫৪ বৎসর ১২ মাস।
পত্রিকা:
প্রবাহিনী (বিশ্বভারতী ১৩৩২ বঙ্গাব্দ)। অবসান ১৫। পৃষ্ঠা: ৮৮-৯০। [নমুনা: প্রথমাংশ, দ্বিতীয়াংশ, শেষাংশ]