বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
যে
আমি ওই ভেসে চলে কালের ঢেউয়ে
পাঠ ও পাঠভেদ:
যে আমি ওই ভেসে চলে কালের ঢেউয়ে আকাশতলে
ওরই পানে দেখছি আমি চেয়ে।
ধুলার সাথে, জলের সাথে, ফুলের সাথে, ফলের সাথে,
সবার সথে চলছে ও যে ধেয়ে॥
ও যে সদাই বাইরে আছে, দুঃখ সুখে নিত্য নাচে―
ঢেউ দিয়ে যায়, দোলে যে ঢেউ খেয়ে।
একটু ক্ষয়ে ক্ষতি লাগে, একটু ঘায়ে ক্ষত জাগে―
ওরই পানে দেখছি আমি চেয়ে॥
যে আমি যায় কেঁদে হেসে তাল দিতেছে মৃদঙ্গে সে,
অন্য আমি উঠতেছি গান গেয়ে।
ও যে সচল ছবির মতো, আমি নীরব কবির মতো―
ওরই পানে দেখছি আমি চেয়ে।
এই-যে আমি ওই আমি নই, আপন-মাঝে আপনি যে রই,
যাই নে ভেসে মরণধারা বেয়ে―
মুক্ত আমি, তৃপ্ত আমি, শান্ত আমি, দৃপ্ত আমি,
ওরই পানে দেখছি আমি চেয়ে॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: RBVBMS 112 [নমুনা]
পাঠভেদ:
শান্ত আমি,
দীপ্ত আমি : কথার অংশ,
গীতিবীথিকা
(বৈশাখ ১৩২৬)
গীতবিতান (আশ্বিন ১৩৩৮)
শান্ত আমি, দৃপ্ত আমি
: স্বরলিপি, গীতিবীথিকা
(বৈশাখ ১৩২৬)
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান: পলাতকা-র পাণ্ডুলিপি [RBVBMS 112]-র সাথে ১৮টি গান পাওয়া যায়। উক্ত পাণ্ডুলিপির ৯৮ পৃষ্ঠায় এই গানটি রয়েছে। এর সাথে স্থান ও রচনাকালের উল্লেখ নেই। প্রশান্তকুমার পাল তাঁর রবিজীবনী সপ্তম খণ্ডে (আনন্দ পাবলিশার্স, জুন ২০০৭, পৃষ্ঠা ৩৭১)− এই গানটিসহ আরও ১৫টি গানের রচনাকাল ১৩২৫ বঙ্গাব্দের ২৪ অগ্রহায়ণের পূর্বে (১৭ অগ্রহায়ণের পরে) রচিত বলে- অনুমান করেছেন। প্রশান্তকুমার পাল এই অনুমান করেছেন রানু (রানু অধিকারী)-কে লেখা একটি চিঠির সূত্রে। উল্লেখ্য, ২৪ই অগ্রহায়ণে রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতন থেকে রাণুকে লিখেছেলেন-
'২৪
অগ্রহায়ণ-এ রাণু-কে লিখিত চিঠি থেকে জানা যায়- '...এ দিকে রোজ আমার একটা
করে নতুন গান বেড়েই চলেছে। ...প্রায় পনেরোটা গান শেষ হয়ে গেল। [ভানুসিংহের
পত্রাবলী ২৯ পত্র]।
এই সময়
রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৫৭ বৎসর
৭ মাস।
[দেখুন:
৫৭ বৎসর
অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ
অখণ্ড, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, ১৩৮০), পর্যায়: বিচিত্র -৩০। পৃষ্ঠা: । [নমুনা: ]
গীতিবীথিকা (বৈশাখ ১৩২৬ বঙ্গাব্দ)।
প্রবাহিনী (বিশ্বভারতী ১৩৩২ বঙ্গাব্দ)। অবসান ১৯। পৃষ্ঠা: ৯০-৯১। [নমুনা: প্রথমাংশ, শেষাংশ]
স্বরবিতান চতুস্ত্রিংশ (৩৪, গীতিবীথিকা ) খণ্ডের (সংস্করণ বৈশাখ ১৩৭৭) ১৫ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা : ৫০-৫৩।
রেকর্ডসূত্র: নাই।
প্রকাশের কালানুক্রম: গানটি রবীন্দ্রনাথের ৫৭ বৎসর ১২ মাস বয়সে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।
স্বরলিপিকার: দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
সুর ও তাল:
স্বরবিতান চতুস্ত্রিংশ
খণ্ডে (সংস্করণ
বৈশাখ ১৩৭৭)
গৃহীত গানটির স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই।
উক্ত স্বরলিপিটি
৩।৩
মাত্রা ছন্দে
'দাদরা' তালে নিবদ্ধ।
[কাহারবা তালে নিবদ্ধ
রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
রাগ : বাউল। তাল: দাদরা। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা, সুধীর চন্দ, প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬], পৃষ্ঠা ৭৬।
রাগ : কীর্তন। তাল: দাদরা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা ১৩১।
বিষয়াঙ্গ:
সুরাঙ্গ:
গ্রহস্বর: র্গা।
লয়: মধ্য।