৫৭ বৎসর অতিক্রান্ত বয়স
২৫
বৈশাখ ১৩২৫ বঙ্গাব্দ থেকে ২৪ বৈশাখ ১৩২৬ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত (৭ মে ১৯১৮- ৬ মে ১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দ)
রবীন্দ্রনাথের বড় মেয়ে বেলাদেবী মৃত্যুবরণ করেন ১৩২৫ বঙ্গাব্দের ভাদ্র মাসে।
শান্তিদেব ঘোষ তাঁর রবীন্দ্রসঙ্গীত নামক গ্রন্থে লিখেছেন ...'কেন রে এই
দুয়ারটুকু পার হতে সংশয়' গানটি বড়ো মেয়ের মৃত্যুর সময় লেখা, ১৩২৫ সনে।' এই বিচারে
এই গানটির রচনাকাল দাঁড়ায়
[ভাদ্র ১৩২৫ বঙ্গাব্দ] কেন রে এই
দুয়ারটুকু পার হতে সংশয়
সীতাদেবী তাঁর পূণ্যস্মৃতি গ্রন্থে
লিখেছেন "২১ ফেব্রুয়ারি [বৃহস্পতিবার ৯ ফাল্গুন] রবীন্দ্রনাথ কলিকাতায় ফিরিয়া
গেলেন। বেলা দেবীর অবস্থা সংকটাপন্ন, টেলিগ্রাম আসিয়াছে। মীরাদেবীর মুখে
টেলিগ্রামের খবর শুনিয়া কবি শুধু বলিলেন, 'এ তো অনেক দিন থেকেই জানি, তবু মনকে
বোঝাতে চেষ্টা করছিলুম।' তৎক্ষণাৎ স্থির হইয়া গেল, দুপুরের গাড়িতেই তাঁহারা কলিকাতা
যাত্রা করিবেন।" প্রশান্তকুমার পাল এই লেখার সূত্রে অনুমান করেছেন গানটি এই সময়ের
রচিত। [সূত্র: রবিজীবনী [সপ্তম খণ্ড, জুন ১৯০৭]। প্রশান্তকুমার পাল]
১৩২১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত
হয়েছিল 'গীতপঞ্চাশিকা'
নামক সঙ্গীত সঙ্কলন।
১৩২৫ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ
মাস থেকে তিনি গীতিবীথিকার জন্য গান লেখা শুরু করেন।
পলাতকা-র পাণ্ডুলিপি
[ RBVB
MS 112
]'র সাথে ১৮টি গান পাওয়া যায়। প্রশান্তকুমার পাল তাঁর রবিজীবনী সপ্তম খণ্ডে (আনন্দ পাবলিশার্স, জুন ২০০৭, পৃষ্ঠা ৩৭১)− ১৫টি গানের রচনাকাল ১৩২৫ বঙ্গাব্দের ২৪ অগ্রহায়ণের পূর্বে (১৭ অগ্রহায়ণের পরে) রচিত বলে- অনুমান করেছেন। ২৪ই অগ্রহায়ণের বীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতন থেকে রাণুকে লিখেছিলেন-
১৪. যারা কথা দিয়ে তোমার কথা বলে [পূজা-১৪]
[তথ্য]
..এ দিকে রোজ আমার একটা করে নতুন গান
বেড়েই চলেছে। ...প্রায় পনেরোটা গান শেষ হয়ে গেল। [চিঠিপত্র ১৮, বিশ্বভারতী, মাঘ
১৪২০, পৃষ্ঠা ১১৩]।
ধারণা করা হয় এই ১৫টি গান
হলো -
১. অকারণে অকালে মোর পড়ল যখন ডাক [পূজা-৩৫১]
[তথ্য]
দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায় রইল না
[বিচিত্র-৩১]
[তথ্য]
২.
আকাশ জুড়ে শুনিনু ওই বাজে পূজা-৩৫০ ]
[তথ্য]
৩.
৪.
সে যে বাহির হল জানি
[প্রেম-২৮৯]
[তথ্য]
৫. তোমায় কিছু দেব ব'লে [পূজা-৫৯]
[তথ্য]
৬.
আমি আছি তোমার সভার দুয়ার-দেশ
[পূজা-৫৯৭]
[তথ্য]
৭.
ফাগুন হাওয়ায় রঙে রঙে পাগল
ঝোরা লুকিয়ে ঝরে [প্রকৃতি-২৮২]
[তথ্য]
৮.
আমি তোমায় যত শুনিয়েছিলাম গান।
[পূজা-৫]
[তথ্য]
৯. তোমারি ঝরনাতলার নির্জনে [পূজা-১৫]
[তথ্য]
১০. সুর ভুলে যেই ঘুরে বেড়াই কেবল কাজে [পূজা-২৫]
[তথ্য]
১১. গানের ভিতর দিয়ে যখন দেখি ভুবনখানি। [পূজা-২৬]
তথ্য]
১২. তোমার দ্বারে কেন আসি ভুলেই যে যাই [পূজা-২৪৩]
[তথ্য]
১৩. যে আমি ওই ভেসে চলে[বিচিত্র-৩০]
[তথ্য]
১৫. জীবনমরণের সীমানা ছাড়ায়ে [পূজা-১৩]
[তথ্য]
RBVBMS 111
পাণ্ডুলিপির ১২৭ পৃষ্ঠায়
রয়েছে 'The
lamp is trimed' কবিতার নিচে তারিখ উল্লেখ আছে ৩১ জানুয়ারি [১৮ মাঘ]।
উক্কত পাণ্ডুলিপিতে কয়েকটি গান লেখা হয়েছে- গানগুলো হলো-
RBVBMS 111
পাণ্ডুলিপিতে এরপর আরও কিছু গান পাওয়া যায়। ধারণা করা হয় এই গানগুলোও
এই সময়ে রচিত। গানগুলো হলো-
এরপর রবীন্দ্রনাথ খাতাটি উল্টিয়ে। উল্টানো খাতার পৃষ্ঠায় লেখা গানগুলো ছিল-
গানটি লেখার পর সম্পূর্ণ কেটে দেওয়া হয়েছে
[নমুনা]
অগ্রহায়ণ ১৩২৫
বঙ্গাব্দ থেকে বৈশাখ ১৩২৬ বঙ্গাব্দ এর মধ্যে একটি গানের সন্ধান পাওয়া যায়। এই গানটি
হলো-
নমি নমি চরণ [পূজা-৫০৩] [তথ্য]]
গীতি-বীথিকা প্রকাশিত হয় ১৩২ ৬
বঙ্গাব্দের বৈশাখ মাসে। উল্লিখিত ১৫টি গানের সাথে আরও ৩টি গান যুক্ত হয়েছিল।
রবীন্দ্রনাথ এই গান তিনটি ১৩২৫ বঙ্গাব্দের ফাল্গুন থেকে চৈত্র মাসে রচনা করেন।
ফাল্গুন, ১৩২৫ । মাটির প্রদীপখানি আছে
মাটির ঘরে
চৈত্র, ১৩২৫। পাখি আমার নীড়ের পাখি
চৈত্র, ১৩২৫। আমি তারেই খুঁজে বেড়াই
১৩২৬
বঙ্গাব্দের ২৪ বৈশাখ রবীন্দ্রনাথ ১টি গান লেখেন গানটি হলো—
আমার জীর্ণ পাতা যাবার বেলা