সবার সাথে চলতেছিল অজানা এই পথের অন্ধকারে,
কোন্ সকালের হঠাৎ আলোয় পাশে আমার দেখতে পেলেম তারে॥
এক নিমেষেই রাত্রি হল ভোর, চিরদিনের ধন যেন সে মোর,
পরিচয়ের অন্ত যেন কোনোখানে নাইকো একেবারে-
চেনা কুসুম ফুটে আছে না-চেনা এই গহন বনের ধারে
অজানা এই পথের অন্ধকারে॥
জানি আমি দিনের শেষে সন্ধ্যাতিমির নামবে পথের মাঝে-
আবার কখন পড়বে আড়াল, দেখাশোনার বাঁধন রবে না যে।
তখন আমি পাব মনে মনে পরিচয়ের পরশ ক্ষণে ক্ষণে;
জানব চিরদিনের পথে আঁধার আলোয় চলছি সারে সারে-
হৃদয়-মাঝে দেখব খুঁজে একটি মিলন সব-হারানোর পারে
অজানা এই পথের অন্ধকারে॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: পাওয়া যায়নি।
পাঠভেদ:
না-চেনা
এই গহন বনের ধারে : গীতপঞ্চাশিকা (আশ্বিন ১৩২৫)
: গীতবিতান (আশ্বিন
১৩৩৮)
অচেনা এই গহন বনের ধারে : স্বরলিপি, গীতপঞ্চাশিকা (আশ্বিন
১৩৪২)
জানি জানি দিনের শেষে
: স্বরলিপি, গীতপঞ্চাশিকা (আশ্বিন ১৩৪২)
জানি আমি দিনের শেষে : কথার অংশ, গীতপঞ্চাশিকা
(আশ্বিন ১৩২৫)
: গীতবিতান (আশ্বিন
১৩৩৮)
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান: প্রশান্তকুমার পাল তাঁর রবিজীবনী সপ্তম খণ্ডে ‘আজি বিজন ঘরে নিশীথরাতে’ গানটির বিষয়ে বলতে গিয়ে-পাণ্ডুলিপি Ms.111 –এর উল্লেখ করেছেন। এই পাণ্ডুলিপিতে যে গানগুলো এই সময়ের রচিত বলে অনুমান করা হয়েছে, তার ভিতরে এই গানটি আছে। এই বিচারে গানটির রচনাকাল দাঁড়ায়, 'আশ্বিন ১৩২৫'। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৫৭ বৎসর ৫ মাস।
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ. সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলি:
স্বরলিপি: [স্বরলিপি]
স্বরলিপিকার: দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
সুর ও তাল:
স্বরবিতান ষোড়শ (১৬, গীতপঞ্চাশিকা, আশ্বিন ১৪১৩) খণ্ডে গৃহীত স্বরলিপিটির সাথে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৩।৩ মাত্রা ছন্দে 'দাদরা' তালে নিবদ্ধ।
রাগ : পিলু। [রবীন্দ্রসঙ্গীতে রাগ-নির্ণয়, ভি.ভি. ওয়াঝলওয়ার, রবীন্দ্রনাথের প্রেমের গান, সংগীত-শিক্ষায়তন, বৈশাখ ১৩৯০], পৃষ্ঠা : ৭২।
রাগ : পিলু। তাল : দাদরা। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা, সুধীর চন্দ, প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬], পৃষ্ঠা: ৮১।
রাগ: সাহানা, পিলু। তাল : দাদরা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা: ১৪০।
বিষয়াঙ্গ:
সুরাঙ্গ:
গ্রহস্বর: সনা্।
লয়: মধ্য।