আমার সকল দুখের প্রদীপ জ্বেলে দিবস গেলে করব নিবেদন —
আমার ব্যথার পূজা হয় নি সমাপন॥
যখন বেলা-শেষের ছায়ায় পাখিরা যায় আপন কুলায়-মাঝে,
সন্ধ্যাপূজার ঘণ্টা যখন বাজে,
তখন আপন শেষ শিখাটি জ্বালবে এ জীবন—
আমার ব্যথার পূজা হবে সমাপন॥
অনেক দিনের অনেক কথা, ব্যাকুলতা, বাঁধা বেদন-ডোরে,
  মনের মাঝে উঠেছে আজ ভ'রে।
যখন পূজার হোমানলে উঠবে জ্বলে একে একে তারা,
আকাশ-পানে ছুটবে বাঁধন-হারা,
অস্তরবির ছবির সাথে মিলবে আয়োজন—
আমার ব্যথার পূজা হবে সমাপন॥
অখণ্ড সংস্করণ,তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৮০)। পূজা ২০১, উপ-বিভাগ: দুঃখ-১০।
রেকর্ডসূত্র: ১৯১৬ থেকে ১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দের ভিতরে গ্রামোফোন রেকর্ড কোম্পানি এই গানটির একটি রেকর্ড প্রকাশ করেছিল। গানটির শিল্পী ছিলেন হরেন্দ্রনাথ দত্ত। রেকর্ড নম্বর P 5979
।
	
	
		প্রকাশের 
		কালানুক্রম: 
	
		১৩২৫ বঙ্গাব্দে গানটি 
প্রথম প্রকাশিত 
হয়েছিল 'গীতপঞ্চাশিকা'র 
সাথে। এরপর গানটি ১৩৩২ বঙ্গাব্দে 
	প্রবাহিনী 
	 গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল। 
এরপর 
১৩৩৮ বঙ্গাব্দে গানটি 
		
গীতবিতান 
		-এর
দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ
 অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল।
			এরপর 
১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে 
		প্রকাশিত 
গীতবিতান 
		-এর 
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত 
			হয়েছিল পূজা পর্যায়ের 
উপবিভাগ 
দুঃখ-এর  
১০ সংখ্যক 
গান হিসেবে।
			
১৩৭১ বঙ্গাব্দের 
			আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের
			পূজা 
			পর্যায়ের ২০১ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
	
	
	স্বরবিতান  ষোড়শ 
	(১৬, 
	গীতপঞ্চাশিকা। 
	আশ্বিন 
১৪১৩) 
	খণ্ডে গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। 
উক্ত স্বরলিপিটি ৪।৪ মাত্রা ছন্দে 'কাহারবা' তালে নিবদ্ধ। 
            [স্বরলিপি]
	ডঃ দেবজ্যোতি দত্ত মজুমদার তাঁর 
	রবীন্দ্রসংগীতের ক্রমবিকাশ ও বিবর্তন গ্রন্থ-এই গানটির রাগ সম্পর্কে লিখেছেন-
    " 
'আমার সকল দুখের প্রদীপ' গানটি ভীমপলশ্রী রাগ অবলম্বনে রচিত। ভীমপলশ্রী রাগে কোমল 
গান্ধার ও কোমল নিষাদ ব্যবহৃত হয় ও অন্যসব স্বর শুদ্ধ। এই গানটির প্রথম লাইনে 
'নিবেদন' অংশে দেখা যাচ্ছে কোমল ধৈবতের ব্যবহার রয়েছে, যদিও ভীমপলশ্রীতে শুদ্ধ ধা 
লাগে। 'নিবেদন'-এর ভেতর যে একটি আকৃতি বা আত্মনিবেদনের ভাব আছে তা কোমল ধৈবতের 
প্রয়োগে অধিকর পরিস্ফুট হয়েছে। 
 
| ধণা | 
				 | ণা | 
				 | 
				 | ণধা | -র্সা | র্সণা | দা | 
				 | পা | 
				 | 
				 | 
				 | 
				 | 
				 | 
				 | 
| ক | র্ | ব | ০ | ০ | ০ | নি | বে | দ | ০ | ০ | ০ | ০ | ন্ | 
রাগ: মিশ্র ভীমপলশ্রী। তাল: কাহারবা [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬। পৃষ্ঠা: ৩১]।
রাগ: ভীমপলশ্রী। তাল: কাহারবা [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৫৯।]
গ্রহস্বর-সা।
লয়-মধ্য।