বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
আমার সকল দুখের প্রদীপ
পাঠ ও পাঠভেদ:
আমার সকল দুখের প্রদীপ জ্বেলে দিবস গেলে করব নিবেদন—
আমার ব্যথার পূজা হয় নি সমাপন ॥
যখন বেলা-শেষের ছায়ায় পাখিরা যায় আপন কুলায়-মাঝে,
সন্ধ্যাপূজার ঘণ্টা যখন বাজে,
তখন আপন শেষ শিখাটি জ্বালবে এ জীবন—
আমার ব্যথার পূজা হবে সমাপন ॥
অনেক দিনের অনেক কথা, ব্যাকুলতা, বাঁধা বেদন-ডোরে,
মনের মাঝে উঠেছে আজ ভ'রে।
যখন পূজার হোমানলে উঠবে জ্বলে একে একে তারা,
আকাশ-পানে ছুটবে বাঁধন-হারা,
অস্তরবির ছবির সাথে মিলবে আয়োজন—
আমার ব্যথার পূজা হবে সমাপন ॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
পাঠভেদ: পাঠভেদ আছে । স্বরবিতান ষোড়শ (১৬, গীতপঞ্চাশিকা। আশ্বিন ১৪১৩) খণ্ডের ১৯৪ পৃষ্ঠায় পাঠভেদ দেওয়া আছে। উক্ত পাঠভেদটি নিচে তুলে ধরা হলো।
কখন্ বেলা-শেষের ছায়ায়...
ঘণ্টা কখন্ বাজে, :
গীতপঞ্চাশিকা (আশ্বিন ১৩২৫)
: গীতবিতান (আশ্বিন ১৩৩৮)
আমার ব্যথার পূজা হবে সমাপন : স্বরলিপি, গীতপঞ্চাশিকা (আশ্বিন
১৩২৫)
ব্যথার পূজা হবে সমাপন
: কথার অংশ, গীতপঞ্চাশিকা (আশ্বিন ১৩২৫)
গীতবিতান (আশ্বিন ১৩৩৮)
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
পাণ্ডুলিপিতে এই গানের সাথে রচনাকাল ও স্থানের উল্লেখ নেই।
প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় তাঁর গীতবিতান
কালানুক্রমিক সূচী গ্রন্থে গানটির রচনাকাল হিসেবে উল্লেখ করেছেন- ১৩২৫
খ্রিষ্টাব্দের আশ্বিন মাস। এই সময়
রবীন্দ্রনাথের ৫৭ বৎসর ৫ মাস।
[
রবীন্দ্রনাথের ৫৭ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
গ্রন্থ:
অখণ্ড সংস্করণ,তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৮০)। পূজা ২০১, উপ-বিভাগ: দুঃখ-১০।
রেকর্ডসূত্র: ১৯১৬ থেকে ১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দের ভিতরে গ্রামোফোন রেকর্ড কোম্পানি এই গানটির একটি রেকর্ড প্রকাশ করেছিল। গানটির শিল্পী ছিলেন হরেন্দ্রনাথ দত্ত। রেকর্ড নম্বর P 5979
।
প্রকাশের
কালানুক্রম:
১৩২৫ বঙ্গাব্দে গানটি
প্রথম প্রকাশিত
হয়েছিল 'গীতপঞ্চাশিকা'র
সাথে। এরপর গানটি ১৩৩২ বঙ্গাব্দে
প্রবাহিনী
গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল।
এরপর
১৩৩৮ বঙ্গাব্দে গানটি
গীতবিতান
-এর
দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ
অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল।
এরপর
১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে
প্রকাশিত
গীতবিতান
-এর
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত
হয়েছিল পূজা পর্যায়ের
উপবিভাগ
দুঃখ-এর
১০ সংখ্যক
গান হিসেবে।
১৩৭১ বঙ্গাব্দের
আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের
পূজা
পর্যায়ের ২০১ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
স্বরবিতান ষোড়শ
(১৬,
গীতপঞ্চাশিকা।
আশ্বিন
১৪১৩)
খণ্ডে গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই।
উক্ত স্বরলিপিটি ৪।৪ মাত্রা ছন্দে 'কাহারবা' তালে নিবদ্ধ।
[স্বরলিপি]
ডঃ দেবজ্যোতি দত্ত মজুমদার তাঁর
রবীন্দ্রসংগীতের ক্রমবিকাশ ও বিবর্তন গ্রন্থ-এই গানটির রাগ সম্পর্কে লিখেছেন-
"
'আমার সকল দুখের প্রদীপ' গানটি ভীমপলশ্রী রাগ অবলম্বনে রচিত। ভীমপলশ্রী রাগে কোমল
গান্ধার ও কোমল নিষাদ ব্যবহৃত হয় ও অন্যসব স্বর শুদ্ধ। এই গানটির প্রথম লাইনে
'নিবেদন' অংশে দেখা যাচ্ছে কোমল ধৈবতের ব্যবহার রয়েছে, যদিও ভীমপলশ্রীতে শুদ্ধ ধা
লাগে। 'নিবেদন'-এর ভেতর যে একটি আকৃতি বা আত্মনিবেদনের ভাব আছে তা কোমল ধৈবতের
প্রয়োগে অধিকর পরিস্ফুট হয়েছে।
ধণা |
|
ণা |
|
|
ণধা |
-র্সা |
র্সণা |
দা |
|
পা |
|
|
|
|
|
|
ক | র্ | ব | ০ | ০ | ০ | নি | বে | দ | ০ | ০ | ০ | ০ | ন্ |
রাগ: মিশ্র ভীমপলশ্রী। তাল: কাহারবা [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬। পৃষ্ঠা: ৩১]।
রাগ: ভীমপলশ্রী। তাল: কাহারবা [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৫৯।]
গ্রহস্বর-সা।
লয়-মধ্য।