বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম:
তোমার দ্বারে কেন আসি ভুলেই যে যাই,
পাঠ ও
পাঠভেদ:
তোমার দ্বারে কেন আসি ভুলেই যে যাই, কতই কী চাই—
দিনের শেষে ঘরে এসে লজ্জা যে পাই॥
সে-সব চাওয়া সুখে দুখে ভেসে বেড়ায় কেবল মুখে,
গভীর বুকে
যে চাওয়াটি গোপন তাহার কথা যে নাই॥
বাসনা সব বাঁধন যেন কুঁড়ির গায়ে—
ফেটে যাবে, ঝরে যাবে দখিন-বায়ে।
একটি চাওয়া ভিতর হতে ফুটবে তোমার ভোর-আলোতে
প্রাণের স্রোতে—
অন্তরে সেই গভীর আশা বয়ে বেড়াই॥
তথ্যানুসন্ধান
পাণ্ডুলিপি: RBVBMS 112 [নমুনা]
পাঠভেদ: পাঠভেদ নেই।
ক. রচনাকাল ও স্থান:
পলাতকা-র পাণ্ডুলিপি [RBVBMS 112]-র সাথে ১৮টি গান পাওয়া যায়। উক্ত পাণ্ডুলিপির ৯৮ পৃষ্ঠায় এই গানটি রয়েছে। এর সাথে স্থান ও রচনাকালের উল্লেখ নেই। প্রশান্তকুমার পাল তাঁর রবিজীবনী সপ্তম খণ্ডে (আনন্দ পাবলিশার্স, জুন ২০০৭, পৃষ্ঠা ৩৭১)− এই গানটিসহ আরও ১৫টি গানের রচনাকাল ১৩২৫ বঙ্গাব্দের ২৪ অগ্রহায়ণের পূর্বে (১৭ অগ্রহায়ণের পরে) রচিত বলে- অনুমান করেছেন। প্রশান্তকুমার পাল এই অনুমান করেছেন রানু (রানু অধিকারী)-কে লেখা একটি চিঠির সূত্রে। উল্লেখ্য, ২৪ই অগ্রহায়ণে রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতন থেকে রাণুকে লিখেছেলেন-
'২৪
অগ্রহায়ণ-এ রাণু-কে লিখিত চিঠি থেকে জানা যায়- '...এ দিকে রোজ আমার একটা
করে নতুন গান বেড়েই চলেছে। ...প্রায় পনেরোটা গান শেষ হয়ে গেল। [ভানুসিংহের
পত্রাবলী ২৯ পত্র]।
এই সময়
রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৫৭ বৎসর
৭ মাস।
[৫৭ বৎসর
অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গীতবীথিকা [বৈশাখ ১৩২৬ বঙ্গাব্দ]। দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
প্রবাহিনী [বিশ্বভারতী ১৩৩২ বঙ্গাব্দ)। পূজা ১২। পৃষ্ঠা: ৬১-৬২] [নমুনা: প্রথমাংশ, শেষাংশ]
স্বরবিতান চতুস্ত্রিংশ
(৩৪,
গীতিবীথিকা ) খণ্ডের
১৪ সংখ্যক গান।
পৃষ্ঠা ৪৭-৪৯]
[নমুনা]
প্রকাশের কালানুক্রম: গানটি ১৩২৬ বঙ্গাব্দের প্রকাশিত গীতবীথিকা'র প্রথম সংস্করণে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এরপর ১৩৩২ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত প্রবাহিনী নামক গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল।
গ. সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলী: