বিষয়: 
		রবীন্দ্রসঙ্গীত। 
		গান সংখ্যা:
		শিরোনাম: 
		
      যারা কথা দিয়ে তোমার কথা বলে
পাঠ ও পাঠভেদ:
      যারা     
      কথা দিয়ে তোমার কথা বলে
		তারা     
      কথার বেড়া গাঁথে কেবল দলের পরে দলে 
      ॥ 
      
একের কথা আরে
বুঝতে নাহি পারে,
বোঝায় যত কথার বোঝা ততই বেড়ে চলে ॥
যারা কথা ছেড়ে বাজায় শুধু সুর
তাদের সবার সুরে সবাই মেলে নিকট হতে দূর।
বোঝে কি নাই বোঝে
থাকে না তার খোঁজে,
বেদন তাদের ঠেকে গিয়ে তোমার চরণতলে ॥
	পাণ্ডুলিপির 
	পাঠ:  RBVBMS 112  
	[নমুনা]
 
পাঠভেদ: স্বরবিতান চতুস্ত্রিংশ খণ্ডের (আষাঢ় ১৪১৩) ৭০ পৃষ্ঠায় গানটির নিম্নরূপ পাঠভেদ দেখানো হয়েছে।
		তারা 
সবার সুরে সবাই মেলে       : স্বরলিপি,
		
		
গীতিবীথিকা 
		 (বৈশাখ ১৩২৬)
তাদের 
সবার সুরে সবাই মেলে    :  কথার অংশ,
		
		
গীতিবীথিকা 
		 (বৈশাখ ১৩২৬)
		                                          
		: 
		গীতবিতান (আশ্বিন ১৩৩৮)
 
	
	ভাবসন্ধান: ভাষায় ঈশ্বরের কথা 
	বলা যেন দেয়াল গেঁথে গেঁথে ‘তাঁকে’ আড়াল করে ফেলা। এরকমের কথা-বলা লোকেরা দলের 
	পরে দলে আসে, কিন্তু পরস্পর পরস্পরের কথার কিছুই বুঝতে পারে না তারা। কথা বলে 
	বলে বোঝাবার এই চেষ্টাতে অন্তরালই তৈরি হয় শুধু, বোঝা হয় ভারি।
	বোধের জাগরণ তো কথায় নয়, সুরে! যারা সুরের সাহায্যে অনুভব করবার সাধনা করে, 
	তাদের ভিতরে পরস্পর দূরত্ব ঘুচে মিল হয়। বুদ্ধি দিয়ে বুঝবার আর বোঝাবার চেষ্টা 
	নয় যাদের, তাদের অন্তরের সংবেদন ঠিকঠাক ‘তাঁর’ চরণে পৌঁছে যায়।
 
তথ্যানুসন্ধান
	ক. রচনাকাল ও স্থান: 
	পলাতকা-র 
	পাণ্ডুলিপি
[RBVBMS 112
]-'র 
সাথে 
১৮টি গান পাওয়া যায়। 
	উক্ত পাণ্ডুলিপির ৯০ পৃষ্ঠায় এই গানটি রয়েছে। এর সাথে স্থান ও রচনাকালের উল্লেখ নেই। 
	প্রশান্তকুমার পাল তাঁর 
	রবিজীবনী সপ্তম খণ্ডে (আনন্দ 
	পাবলিশার্স, জুন ২০০৭, 
পৃষ্ঠা  ৩৭১)− 
	এই গানটিসহ আরও ১৫টি গানের রচনাকাল ১৩২৫ বঙ্গাব্দের ২৪ অগ্রহায়ণের পূর্বে (১৭ 
	অগ্রহায়ণের পরে) রচিত বলে- অনুমান করেছেন।
২৪ই অগ্রহায়ণে 
রবীন্দ্রনাথ
শান্তিনিকেতন থেকে রাণুকে লিখেছিলেন-
   '..এ দিকে রোজ আমার একটা করে নতুন গান 
	বেড়েই চলেছে। ...প্রায় পনেরোটা গান শেষ হয়ে গেল। [চিঠিপত্র ১৮, বিশ্বভারতী, মাঘ 
	১৪২০, পৃষ্ঠা ১১৩]।
এই সময় 
	
রবীন্দ্রনাথের 
	বয়স ছিল ৫৭ বৎসর ৭ মাস।
            
	[দেখুন: ৫৭ বৎসর 
	অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা] 
	
 
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ
গীতিবীথিকা (বৈশাখ ১৩২৬ বঙ্গাব্দ)। দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
প্রবাহিনী (বিশ্বভারতী ১৩৩২ বঙ্গাব্দ)। পূজা ৩। পৃষ্ঠা: ৫৪-৫৫। [নমুনা: প্রথমাংশ, দ্বিতীয়াংশ]
			
			
			স্বরবিতান চতুস্ত্রিংশ 
		(৩৪,
      		
			
			গীতিবীথিকা
			
			) খণ্ডের (আষাঢ় 
		১৪১৩) ১৬ সংখ্যক গান।
			
			পৃষ্ঠা: ৫৪-৫৬।
 
রেকর্ডসূত্র: নাই।
		
		প্রকাশের কালানুক্রম: 
		
		১৩২৬ বঙ্গাব্দের বৈশাখ মাসে প্রকাশিত 'গীতিবীথিকা'য় এই গানটি অন্তর্ভুক্ত 
	হয়েছিল। এরপর ১৩৩২ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ মাসে প্রকাশিত 'প্রবাহিনী' গ্রন্থে 
	প্রকাশিত হয়। 
১৩৩৮ বঙ্গাব্দে গীতবিতানের 
		দ্বিতীয় খণ্ড, 
	প্রথম সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়। এরপর ১৩৪৮ বঙ্গাব্দে গানটি গীতবিতানের 
		প্রথম খণ্ডের দ্বিতীয় সংস্করণে 
	অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৩৮০ বঙ্গাব্দে গীতবিতানের অখণ্ড সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত 
	হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল।
গ. সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলী:
স্বরলিপি: [স্বরলিপি]
		স্বরলিপিকার:
		
		
		দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর
		
            
			
			[দিনেন্দ্রনাথ 
			ঠাকুর-কৃত রবীন্দ্রসঙ্গীতের স্বরলিপির তালিকা]                 
সুর ও তাল:
			
			
			স্বরবিতান চতুস্ত্রিংশ 
		(৩৪,
      		
			
			গীতিবীথিকা
			
			) খণ্ডে (আষাঢ় 
		১৪১৩)   
গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই।
			
			উক্ত স্বরলিপিটি
			
			৪।৪ 
মাত্রা ছন্দে
			
			'কাহারবা'
			তালে নিবদ্ধ।
			
                
[কাহারবা তালে 
নিব্দ্ধ রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
রাগ : খাম্বাজ। তাল: কাহারবা। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা, সুধীর চন্দ, প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬], পৃষ্ঠা ৭৫।
			রাগ: খাম্বাজ। 
			তাল: কাহারবা। 
			
			 [রাগরাগিণীর এলাকায় 
	রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, 
	জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা ১৩১।
                
[খাম্বাজ রাগে 
নিবদ্ধ রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
বিষয়াঙ্গ:
সুরাঙ্গ: স্বকীয় বৈশিষ্ট্য।
গ্রহস্বর: না।
লয়: ঈষৎ দ্রুত।