বিষয়: 
		রবীন্দ্রসঙ্গীত। 
		শিরোনাম: 
		আজি বিজন ঘরে নিশীথরাতে 
		
		
		পাঠ ও পাঠভেদ:
		
গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৪১২)-এর পাঠ: পূজা (দুঃখ-১১) পর্যায়ের ২০২ সংখ্যক গান।
      আজি    বিজন ঘরে নিশীথরাতে         আসবে 
      যদি শূন্য হাতে—
              
      আমি      তাইতে কি 
      ভয় মানি!
              
      
      জানি      জানি,
      
      বন্ধু,
      
      জানি—
               
      
      তোমার    আছে তো হাতখানি 
      ॥
      
      চাওয়া-পাওয়ার পথে পথে               দিন কেটেছে কোনোমতে,
      
      এখন    সময় হল তোমার কাছে আপনাকে দিই আনি 
      ॥
             
      
      আঁধার থাকুক দিকে দিকে আকাশ-অন্ধ-করা,
              
      
      তোমার    পরশ থাকুক আমার-হৃদয়-ভরা।
      
      জীবনদোলায় দুলে দুলে      আপনারে ছিলেম ভুলে,
      
      এখন    জীবন মরণ  দু দিক দিয়ে নেবে আমায় টানি 
      ॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
	পাঠভেদ: 
	 দেখা হয় নি।
	তথ্যানুসন্ধান
		ক. রচনাকাল ও স্থান:
		এই গানটির মূল পাঠ পাওয়া যায়, রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপি
		
		RBVBMS 111
		-র  ১২৮ 
		পৃষ্ঠায়। কিন্তু এর সাথে 
রচনাকাল বা স্থানের উল্লেখ নেই। 
		এই পাণ্ডুলিপির ১২৭ পৃষ্ঠায় 'The 
Lamp is trimmed' 
		কবিতাটির সাথে তারিখ উল্লেখ আছে 
	'৩১ 
জানুয়ারি [১৮ মাঘ]'।
		
উল্লেখ্য, এ গানটি সম্পর্কে সীতাদেবী তাঁর পূণ্যস্মৃতি' গ্রন্থে লিখেছেন, 
		-শ্রীপঞ্চমীর দিন ছেলেরা দল বাঁধিয়া 
সুরুলে বনভোজন করিতে চলিল।..... সুরুলে তখন একখানি মাত্র বড়  দোতলা 
বাড়ি, ইহা লর্ড সিংহের নিকট হইতে বোধহয় রবীন্দ্রনাথ ক্রয় 
করিয়াছিলেন। ইহারই দালানে বসিয়া খানিকক্ষণ বিশ্রাম করা গেল।.... 
কবি নিজের দুই-একটি কবিতা পড়িয়া শুনাইলেন, তাহার পর শুরু হইল গানের পালা। পণ্ডিত 
ভীমরাও শাস্ত্রী কয়েকটি হিন্দী গান করিলেন, তাহার পর 'ফাল্গুনী' 
উজাড় করিয়া বসন্তের গান চলিল। 'আজি বিজন ঘরে নিশীথ রাতে
		আসবে যদি শূন্য হাতে' গানটি কবি সেই 
দিনই রচনা করিয়াছিলেন বোধহয়, সর্বশেষে
		সেই গানটি তিনি একলা গাহিয়া শুনাইলেন। [সূত্র : গীতবিতান কালানুক্রমিক সূচী/প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায়।]
		
		প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়, তাঁর 
		গীতবিতান কালানুক্রমিক সূচী গ্রন্থে গানটির রচনাকাল উল্লেখ করেছেন- আশ্বিন 
		১৩২৫। এই বিচারে গানটির রচনাকাল দাঁড়ায় 
		 ৫৭ 
		বৎসর ৫ মাস।
		
            
		[রবীন্দ্রনাথের ৫৭ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
 
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
অখণ্ড সংস্করণ,তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৮০)। পূজা ২০২, উপ-বিভাগ: দুঃখ-১১।
প্রবাহিনী (বিশ্বভারতী ১৩৩২ বঙ্গাব্দ)। পূজা ১৯। পৃষ্ঠা: ৬৫-৬৬। [নমুনা: প্রথমাংশ, শেষাংশ]
পত্রিকা: প্রকাশিত হয় নি।
রেকর্ডসূত্র: ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দে 'উত্তরায়ণ' ছায়াছবিতে গানটি ব্যবহৃত হয়েছিল। এই ছবিতে ব্যবহৃত গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন যুথিকা ঘোষ। গানটির রেকর্ড প্রকাশ করেছিল মেগাফোন রেকর্ড কোম্পানি। রেকর্ড নম্বর P 5624
।
			
			
			প্রকাশের 
		কালানুক্রম: ১৩২৫ বঙ্গাব্দে গানটি 
প্রথম প্রকাশিত 
			হয়েছিল 'গীতপঞ্চাশিকা'র 
সাথে। এরপর গানটি ১৩৩২ বঙ্গাব্দে 
			
			প্রবাহিনী
			 গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল। 
			
			
			এরপর 
			
			
			
			১৩৩৮ বঙ্গাব্দে গানটি 
			
			
			
			গীতবিতান 
			-এর
			
			দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ
			 অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল।
			এরপর 
			১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে 
			প্রকাশিত 
			
			গীতবিতান 
			-এর 
			প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত 
			হয়েছিল পূজা পর্যায়ের 
			উপবিভাগ 
			দুঃখ-এর  
			১১ সংখ্যক 
			গান হিসেবে।
			
			
			১৩৭১ বঙ্গাব্দের 
			আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের
			পূজা 
			পর্যায়ের ২০২ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
			
			
			
			 গানটি একইভাবে 
			অখণ্ড গীতাবিতানের তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের 
			পৌষ মাসে।  
 
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
স্বরলিপিকার: দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর
সুর ও তাল:
স্বরবিতান ষোড়শ (১৬, গীতপঞ্চাশিকা। আশ্বিন ১৪১৩) খণ্ডে গৃহীত গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৩।৩।৩।৩ মাত্রা ছন্দে 'একতাল'-এ নিবদ্ধ।
রাগ: বেহাগ। তাল: একতাল [রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা । সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬)। পৃষ্ঠা: ২৬]।
গ্রহস্বর-সা।
লয়-মধ্য।