বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:

শিরোনাম:
খোলো খোলো দ্বার,   রাখিয়ো না আর

পাঠ ও পাঠভেদ:

খোলো খোলো দ্বার,   রাখিয়ো না আর

    বাহিরে আমায় দাঁড়ায়ে।

দাও সাড়া দাও, এই দিকে চাও,

    এসো দুই বাহু বাড়ায়ে

কাজ হয়ে গেছে সারা,  উঠেছে সন্ধ্যাতারা।

আলোকের খেয়া   হয়ে গেল দে'য়া

    অন্তসাগর পারায়ে

ভরি লয়ে ঝারি এনেছ কি বারি,

    সেজেছ কি শুচি দুকূলে।

বেঁধেছ কি চুল, তুলেছ কি ফুল,

    গেথেছ কি মালা মুকুলে।

ধেনু এল গোঠে ফিরে, পাখিরা এসেছে নীড়ে,

পথ ছিল যত জুড়িয়া জগত

    আঁধারে গিয়েছে হারায়ে


২.

৩.

গ. রচনাকাল ও স্থান:  ১৩১৭ বঙ্গাব্দের কার্তিক মাসে রবীন্দ্রনাথ তাঁর 'রাজা' নাটক শেষ করেন। [সূত্র : চারুচন্দ্রকে লেখা চিঠি। রবীন্দ্রজীবনী ষষ্ঠ খণ্ড/প্রশান্তকুমার পাল/পৃষ্ঠ : ১৭৯]। ১৩১৭ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে এই নাটকটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। এই গ্রন্থে মোট ২৫টি গান পাওয়া যায়। এর ভিতরে এই গানটিও ছিল।


ঘ. প্রাসঙ্গিক পাঠ: ১৩১৭ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে প্রকাশিত রাজা নাটকে এই গানটি ব্যবহৃত হয়েছিল। এরপর রাজা নাটকটিকে পরিবর্তন করে তিনি 'অরূপরতন' তৈরি করেন। অরূপরতনের ১৩৪২ সংস্করণে এই গানটি সুরঙ্গমার গান হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।
 

ঙ. স্বরলিপিকার: দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর।


চ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
স্বরবিতান দ্বাচত্বারিংশ (৪২, অরূপরতন) খণ্ডে (চৈত্র ১৪১৩), গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৪৪ মাত্রা ছন্দে 'কাহারবা' তালে নিবদ্ধ

রাগ : ইমন। [রবীন্দ্রসঙ্গীতে রাগ-নির্ণয়। ভি.ভি. ওয়াঝলওয়ার। রবীন্দ্রনাথের প্রেমের গান। সংগীত-শিক্ষায়তন। বৈশাখ ১৩৯০। পৃষ্ঠা : ৬৮]
গ্রহস্বর: র্সা
লয়: মধ্য।