বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম:
যদি বারণ কর তবে গাহিব
না। পাঠ
ও পাঠভেদ:
গীতবিতান (বিশ্বভারতী,
কার্তিক ১৪১২)-এর পাঠ: প্রেম:
১২২
যদি বারণ কর
তবে গাহিব না।
যদি বারণ কর তবে গাহিব না
যদি শরম লাগে
মুখে চাহিব না॥
সহসা পায় বাধা তোমার
ফুলবনে যাইব না॥ যদি
থমকি থেমে যাও পথমাঝে আমি চমকি চলে যাব আন
কাজে। যদি তোমার নদীকূলে
ভুলিয়া ঢেউ তুলে, আমার
তরীখানি বাহিব না॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
পাঠভেদ:
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
১৩০৪
বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসের শুরুতে রবীন্দ্রনাথ শিলাইদহে যান। তারপর পাবনার ইছামতী,
যমুনা বরাল, বলেশ্বরী নদী ধরে সাজাদপুরের উদ্দেশ্যে পৌঁছান ৮ তারিখে। ৯
আশ্বিন সাজাদপুর থেকে পতিসরের দিকে যাত্রা করেন এবং পতিসরে ১০ আশ্বিনে পৌঁছান। ৯
আশ্বিন চলবিলের ভিতরে তাঁর বোট ঝড়বৃষ্টির মধ্যে পড়ে। এই সময় তিনি এই গানটি রচনা
করেন। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৩৬ বৎসর ৫ মাস।
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ
[বিশ্বভারতী, ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ। ১৩০৭ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত
'কল্পনা' নামক
কাব্যগ্রন্থ থেকে গৃহীত হয়েছিল। পৃষ্ঠা: ১৯১-১৯২] [নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
বীণাবাদিনী (মাঘ ১৩০৪ বঙ্গাব্দ) স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল,
তবে স্বরলিপিকারের নাম অনুল্লিখিত।
রেকর্ড:
গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশিত
হয় প্যাথে এইচ বোসেজ রেকর্ড কোম্পানি থেকে। গানটি গেয়েছিলেন রানীসুন্দরী। রেকর্ড
নম্বর: ৪৬০১৬/৪৬০২২। এরপর নিকেল রেকর্ডে গানটি গেয়েছিলেন রাধারাণী। এরপর
গ্রামোফোন কোম্পানী থেকে এই গানের একটি রেকর্ড প্রকাশিত হয়। রেকর্ড নম্বর ছিল
9-1285\9-12562।
পরবর্তী নম্বর ছিল
P1650।
প্রকাশের
কালানুক্রম:
গ.
সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলী:
স্বরলিপিকার:
জ্যোতিররিন্দ্রনাথ ঠাকুর
সম্পাদিত
বীণাবাদিনী (মাঘ ১৩০৪ বঙ্গাব্দ) পত্রিকায় স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল, তবে স্বরলিপিকারের নাম ছিল না। ধারণা করা হয়, এই গানটির স্বরলিপি জ্যোতিররিন্দ্রনাথ ঠাকুর করেছিলেন। অবশ্য প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় তাঁর গীতবিতান কালানুক্রমিক সূচি গ্রন্থে স্বরলিপিকারের নাম উল্লেখ করেছেন- ইন্দিরা দেবী।