বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত। 
		গান সংখ্যা:
		শিরোনাম: 
শ্রাবণের পবনে আকুল বিষণ্ণ 
সন্ধ্যায়
পাঠ ও পাঠভেদ:
শ্রাবণের পবনে আকুল বিষণ্ণ সন্ধ্যায়
সাথিহারা ঘরে মন আমার
প্রবাসী পাখি ফিরে যেতে চায়
দূরকালের অরণ্যছায়াতলে॥
কী জানি সেথা আছে কিনা আজও বিজনে বিরহী হিয়া
    
   
নীপবনগন্ধঘন অন্ধকারে―
 
    
   
সাড়া দিবে কি গীতহীন নীরব 
সাধনায়॥ 
হায়, জানি সে নাই জীর্ণ নীড়ে, 
  
জানি সে নাই নাই।
    
   
তীর্থহারা যাত্রী ফিরে ব্যর্থ 
বেদনায়―
 
      
ডাকে তবু হৃদয় মম মনে-মনে 
  
রিক্ত ভুবনে 
      
রোদন-জাগা সঙ্গীহারা অসীম 
শূন্যে শূন্যে॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
RBVBMS 180A [ছড়ার ছবি, প্রান্তিক, সেঁজুতিও অন্যান্য] [নমুনা]
	পাঠভেদ: 
	RBVBMS 180A 
	পাণ্ডুলিপিতে গানটির প্রথম 
	পংক্তিতে বন্ধনীর ভিতরে ছিল ‘আজি’।
	প্রবাসী পত্রিকার ‘কার্তিক ১৩৪৪ বঙ্গাব্দ’ সংখ্যায় প্রকাশিত গানের প্রথম পংক্তি 
	থেকে ‘আজি’ শব্দটি বাদ দেওয়া হয়েছিল। গানটির পরবর্তী সকল পাঠে ‘আজি’ শব্দটি 
	বর্জিত হয়েছে।
	
	বর্তমানে প্রচলিত গীতবিতানের বানানের সাথে পাণ্ডুলিপির বানানের হেরফের লক্ষ্য 
	করা যায়। পাণ্ডুলিপিতে লিখিত 
	এরূপ যে সকল শব্দের বানান পাওয়া যায়, তা হলো 'পাখী', 'কি', 'আজো',  'মনে 
	মনে' 'রোদন জাগা'।
	
	ভাবসন্ধান: 
	তথ্যানুসন্ধান 
		ক. রচনাকাল ও স্থান:  
		১৩৪৪ 
		বঙ্গাব্দের ৩০শে শ্রাবণ শান্তিনিকেতনে 'বর্ষামঙ্গল' উৎসব অনুষ্ঠিত হওয়ার 
		কথা ছিল। কিন্তু আশ্রমের অধ্যাপক নিত্যান্দ বিনোদ গোস্বামীর পুত্র 
		বীরেশ্বরের হঠাৎ মৃত্যু হয়। এই কারণে এই উৎসবটি স্থগিত করা হয়। এই উৎসব 
		উপলক্ষে রবীন্দ্র এই গানটি-সহ মোট ১৬টি নতুন গান রচনা করেন। 
		প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় তাঁর 'গীতবিতান কালানুক্রমিক সূচী' গ্রন্থে এই 
		গানগুলোর রচনাকাল সম্পর্কে লিখেছেন- 'গানগুলির রচনার তারিখ ১৫-৩০ শ্রাবণের 
		মধ্যে বলিয়া অনুমিত হয়।' [টেগোর রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ডিসেম্বর ২০০৩। পৃষ্ঠা: 
		২৭৮]। পরবর্তী সময়ে গীতবিতানের 'প্রেম' পর্যায়ের ২৬৬-সংখ্যক গান হিসেবে 
		অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
		
		
		এই সময় রবীন্দ্রনাথে বয়স ছিল- 
		
		      
		[রবীন্দ্রনাথের 
		৭৬ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
 
দ্বিতীয় খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ [বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ। প্রবাসী পত্রিকার 'মাঘ ১৩৪৪' সংখ্যা থেকে গৃহীত হয়েছিল। প্রেম বৈচিত্র্য ২৩৯। পৃষ্ঠা: ১০৮] [নমুনা]