বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
তুই ফেলে এসেছিস কারে
পাঠ ও পাঠভেদ:
তুই ফেলে এসেছিস কারে, মন, মন রে আমার।
তাই জনম গেল, শান্তি পেলি না রে মন, মন রে আমার॥
যে পথ দিয়ে চলে এলি সে পথ এখন ভুলে গেলি ―
কেমন করে ফিরবি তাহার দ্বারে মন, মন রে আমার॥
নদীর জলে থাকি রে কান পেতে,
কাঁপে রে প্রাণ পাতার মর্মরেতে॥
মনে হয় যে পাব খুঁজি ফুলের ভাষা যদি বুঝি
যে
পথ গেছে সন্ধ্যাতারার পারে মন, মন রে আমার॥
পাণ্ডুলিপির
পাঠ:
পাওয়া যায়নি।
পাঠভেদ:
তুই ফেলে এসেছিস কারে
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
রবীন্দ্রনাথ ফাল্গুনী নাটক শেষ করেছিলেন
ফাল্গুন মাসে। এর ভিতরে ১৬টি গান তিনি সুরুলে থাকাকালে
RBVBMS
131
-পাণ্ডুলিপিতে লিখেছিলেন। এরপর
প্রমথ চৌধুরী
সম্পাদিতর 'সবুজপত্র' পত্রিকার 'চৈত্র ১৩২১ বঙ্গাব্দ'
সংখ্যায় ফাল্গুনী নাটকটি মুদ্রিত হয়েছিল। এই সময় উল্লিখিত ১৬টি গান ছাড়া এই গানসহ
মোট ১৩টি
নতুন
গান যুক্ত হয়েছিল। এই নতুন গানগুলো রচনার
সুনির্দিষ্ট তারিখ বা স্থান পাওয়া যায় না।
যেহেতু 'সবুজপত্র' পত্রিকার 'চৈত্র ১৩২১ বঙ্গাব্দ'
সংখ্যায় প্রকাশিত 'ফাল্গুনী' নাটকে
গানগুলো স্থান পেয়েছিল। এই সূত্রে ধারণা করা হয়, এই গানগুলো ফাল্গুনী
নাটকের জন্য ফাল্গুন মাসেই রচিত হয়েছিল। এই সময় রবীন্দ্রনাথের
বয়স ছিল
৫৩ বৎসর ১০ মাস।
কাঁপে
রে প্রাণ পাতার মর্মরেতে
:
স্বরলিপি, স্বরবিতান
৭ (শ্রাবণ
১৩৫৫ বঙ্গাব্দ)
কাঁপে-যে
প্রাণ পাতার মর্মরেত
: গীতবিতান
৩ (আশ্বিন ১৩৫৫)
কথার অংশ,
স্বরবিতান
৭ (শ্রাবণ ১৩৫৫ বঙ্গাব্দ)
[রবীন্দ্রনাথের
৫৩ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
প্রথম সংস্করণের [ইন্ডিয়ান প্রেস, ১৩২২ বঙ্গাব্দ (১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দ)। চতুর্থ দৃশ্য
রাগ: ভৈরবী। তাল: দাদরা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৯৬।]