বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
প্রাণ চায় চক্ষু না চায়
পাঠ ও পাঠভেদ:
প্রাণ চায় চক্ষু না চায়, মরি একি তোর দুস্তরলজ্জা।
সুন্দর এসে ফিরে যায়, তবে কার লাগি মিথ্যা এ সজ্জা॥
মুখে নাহি নিঃসরে ভাষ, দহে অন্তরে নির্বাক্ বহ্নি।
ওষ্ঠে কী নিষ্ঠুর হাস, তব মর্মে যে ক্রন্দন তন্বী!
মাল্য যে দংশিছে হায়, তব শয্যা যে কণ্টকশয্যা
মিলনসমুদ্রবেলায় চির- বিচ্ছেদজর্জর মজ্জা॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: [RBVBMS 229] [নমুনা]
পাঠভেদ:
প্রাণ চায় চক্ষু না চায়
তোর শয্যা যে কণ্টক-শয্যা : কথার
অংশ,
কাব্যগীতি (১৩২৬)
গীতবিতান (আশ্বিন
১৩৩৮)
তব শয্যা যে কণ্টক-শয্যা : স্বরলিপি,
কাব্যগীতি (১৩২৬)
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
গানটির রচনকাল
সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায় না।
RBVBMS 229
পাণ্ডুলিপিতে লিখিত এই গানের সাথে রচনাকাল বা স্থানের নাম নেই।
পাণ্ডুলিপিতে এর আগে রচনা- 'ফুল তো আমার ফুরিয়ে গেছে'-এর সাথে স্থান ও তারিখ
উল্লেখ করা হয়েছে- '১৭ই আশ্বিন/প্রভাত/শান্তিনিকেতন'। এই পাণ্ডুলিপির পাতার
উল্টোপিঠে লেখা হয়েছিল 'প্রাণ চায় চক্ষু না চায়'। ঠিক তার পরেই রয়েছে 'দুঃখের
বরষায় চক্ষের জল যেই নামল'। এই গানটির সাথে স্থান ও তারিখ উল্লেখ আছে-
'শ্রাবণ/১৩২১/শান্তিনেকতন'।
আবার রবীন্দ্রনাথের গীতিসংকলন 'গান' গ্রন্থের
তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ১৩২১ বঙ্গাব্দের ৬ আশ্বিন তারিখে। এই
গ্রন্থের ৬৩ পৃষ্ঠায় গানটি মুদ্রিত হয়েছিল। এই বিচারে ধারণা করা যায়,
সম্ভবত এই গানটি ভাদ্র মাসের দিকে রচনা করেছিলেন।
প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়
তাঁর 'গীতবিতান কালানুক্রমিক সূচী' গ্রন্থে গানটির রচনার সময় উল্লেখ করেছেন ১১
আষাঢ়-শ্রাবণ'। এমন অদ্ভুদ তারিখটি সম্ভবত মুদ্রণ বিভ্রাটের কারণে ঘটেছে। সব
মিলিয়ে ধারণা করা যায়, এই গানটি
রচিত
হয়েছিল শ্রাবণ-আশ্বিন মাসের ভিতরে। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল
৫৩ বৎসর ৩-৪ মাস।