বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত
শিরোনাম: বিদায় করেছ যারে নয়নজলে
পাঠ
ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৪১২)-এর পাঠ: প্রেম : ৩৮৩
বিদায় করেছ যারে নয়নজলে,
এখন ফিরাবে তারে কিসের ছলে গো॥
আজি মধু সমীরণে নিশীথে কুসুমবনে
তারে কি পড়েছে মনে বকুলতলে॥
সে দিনও তো মধুনিশি প্রাণে গিয়েছিল মিশি,
মুকুলিত দশ দিশি কুসুমদলে।
দুটি সোহাগের বাণী যদি হত কানাকানি,
যদি ওই মালাখানি পরাতে গলে।
এখন ফিরাবে তারে কিসের ছলে গো
মধুরাতি পূর্ণিমার ফিরে আসে বার বার,
সে জন ফিরে না আর যে গেছে চলে
ছিল তিথি অনুকূল, শুধু নিমেষের ভুল―
চিরদিন তৃষাকুল পরান জ্বলে।
এখন ফিরাবে তারে কিসের ছলে গো॥
-
পাণ্ডুলিপর
পাঠ:
পাওয়া যায়নি।
-
পাঠভেদ:
-
বিদায় করেছ যারে
নয়নজলে
তারে কি পড়েছে মনে...
:
মায়ার খেলা (অগ্রহায়ণ
১২৯৫)
মধুরাতি পূর্ণিমার
গীতবিতান (আশ্বিন ১৩৩৮)
তাহারে পড়েছে মনে...
মধুরাতি পূর্ণিমার
:
কড়ি ও
কোমল (১২৯৩)
গানের বহি ও বাল্মীকি-প্রতিভা (১৩০০)
'এখন ফিরাবে তারে' স্থলে
এখন ফিরাবে তারে
(অন্তরার শেষে)
:
মায়ার খেলা (অগ্রহায়ণ
১২৯৫)
গীতবিতান (আশ্বিন ১৩৩৮)
(প্রথম আভোগের শেষে) :
কড়ি ও
কোমল (১২৯৩)
গানের বহি ও বাল্মীকি-প্রতিভা (১৩০০)
-
এটি একটি ভাঙা গান। ইন্দিরাদেবী তাঁর রবীন্দ্রসঙ্গীতের
ত্রিবেণী সংগম গ্রন্থে এই গানটির মূল গান হিসেবে উল্লেখ করেছেন 'বাজে ঝননন মোরে
পায়লিয়া [কানাড়া। ঝাঁপতাল]।
-
মূল গানটিকে তিনভাগে বিভক্ত করে
মায়াকুমারীগণের সংলাপ আকারে 'মায়ার
খেলা' গীতিনাট্যে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। (রবীন্দ্র
রচনাবলী, প্রথম খণ্ড, বিশ্বভারতী,
জ্যৈষ্ঠ ১৩৯৬ বঙ্গাব্দ,
পৃষ্ঠা ২৫০-২৫২)।
- তথ্যানুসন্ধান
- ক. রচনাকাল ও স্থান: ১২৯৩
বঙ্গাব্দে এই গানটি রচিত হয়। এই বিচারে
গানটি রবীন্দ্রনাথের
২৫ বৎসর বয়সের রচনা।
- প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
- গ্রন্থ
-
কাব্যগ্রন্থাবলী [আদি ব্রাহ্মসমাজ প্রেস, ১৩০৩।
- কড়ি
ও কোমল। শিরোনাম ভুল। কানেড়া। পৃষ্ঠা: ১২৭]
[নমুনা]
- মায়ার খেলা। মায়াকুমারীগণের
গান।
কানেড়া।
পৃষ্ঠা: ১৪৮]
[নমুনা]
-
গীতবিতান
-
গীতবিতান প্রথম খণ্ড (প্রথম সংস্করণ)।
মায়ার খেলা প্রথম সংস্করণ (১২৯৫ বঙ্গাব্দ)] থেকে গৃহীত হয়েছিল। মায়ার খেলা। মায়াকুমারীগণের
গান। কানাড়া-যৎ। পৃষ্ঠা: ৭১-৭২। [নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
অখণ্ড সংস্করণ, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৮০)।
- প্রেম (প্রেম
বৈচিত্র্য-৩৫৬) পর্যায়ের ৩৮৩ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: ৪১৯।
- মায়ার খেলা । ষষ্ঠ দৃশ্য। অমরের গান। পৃষ্ঠা: ৬৭৫-৭৬
মায়ার খেলা
(গীতিনাট্য)
-
প্রথম সংস্করণ
[অগ্রহায়ণ ১২৯৫] ষষ্ঠ দৃশ্য।
কানাড়া যৎ।মায়াকুমারীদের গান। পৃষ্ঠা: ৪৭-৪৮।
[নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
- রবীন্দ্ররচনাবলী
প্রথম খণ্ড (বিশ্বভারতী), জ্যৈষ্ঠ ১৩৯৬] মায়ার খেলা। ষষ্ঠ দৃশ্য। মায়াকুমারীর
গান। পৃষ্ঠা: ২৫০-২৫১।
স্বরবিতান অষ্টচত্বারিংশশ
(৪৮, মায়ার খেলা) খণ্ডের (আষাঢ় ১৪১৩ বঙ্গাব্দ)
বাণী অংশ : ২৫। স্বরলিপি অংশ : ১৩১-১৩৪।- রবিচ্ছায়া, বিবিধ (১২৯২ বঙ্গাব্দ)। মিশ্র
কাফি-একতালা
- কড়ি ও
কোমল, 'ভুল' শীর্ষক কবিতা
(১২৯২ বঙ্গাব্দ)।
- গানের
বহি (বিবিধ) পৃষ্ঠা ৫১-৫৩। কানাড়া-যৎ।
-
কাব্যগ্রন্থ অষ্টম খণ্ড। বিবিধ। কানেড়া-যৎা। (মজুমদার লাইব্রেরি, ১৩১০
বঙ্গাব্দ)। পৃষ্ঠা: ৩৬-৩৭ [নমুনা:
৩৬,
৩৭]
- রবীন্দ্র গ্রন্থাবলী
হিতবাদী (১৩১১বঙ্গাব্দ)।
- বাঙ্গালীর গান (১৩১২ বঙ্গাব্দ)।
- গান
১৯০৮,১৯০৯,১৯১৪ খ্রিষ্টাব্দ এবং ১৩২৭ বঙ্গাব্দ।
- কাব্যগ্রন্থ ২ (১৯১৫
খ্রিষ্টাব্দ)।
- প্রকাশের
কালানুক্রম
- পূর্বপ্রকাশ: কড়ি ও
কোমল(১২৯৩)।
[স্বরবিতান অষ্টচত্বারিংশ
(৪৮, মায়ার খেলা)
খণ্ড (আষাঢ়
১৪১৩
বঙ্গাব্দ),পৃষ্ঠা
১৭১ ]
- " 'বিদায় করেছ
যারে নয়ন জলে' এই গানটি 'মায়ার খেলা'তে মুদ্রিত হইয়াছে বলিয়া রচনাবলীতে
'কড়ি ও কোমল' হইতে পরিত্যক্ত হইল।" (রবীন্দ্র
রচনাবলী, দ্বিতীয় খণ্ড, বিশ্বভারতী, শ্রাবণ ১৩৯১ বঙ্গাব্দ, পৃষ্ঠা ৬৪৭)
- গ.
সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
- স্বরলিপিকার:
ইন্দিরাদেবী চৌধুরানী।
[
ইন্দিরাদেবী চৌধুরানী
-কৃত
রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
[স্বরলিপি]
- সুর ও তাল:
-
স্বরবিতান অষ্টচত্বারিংশ
(৪৮, মায়ার খেলা)
খণ্ডের (আষাঢ়
১৪১৩
বঙ্গাব্দ)
সুরভেদ/ছন্দভেদ
অংশে স্বরবিতানটির ১৩৩২ বঙ্গাব্দের ইন্দিরাদেবী -কৃত
স্বরলিপির সুরভেদ
দেখানো হয়েছে (পৃষ্ঠা ১৬০-১৬১)।
-
স্বরবিতান অষ্টচত্বারিংশ
(৪৮, মায়ার খেলা)
খণ্ডের (আষাঢ়
১৪১৩
বঙ্গাব্দ)
গৃহীত গানটির
স্বরলিপিতে রাগ-তালের কোন উল্লেখ নেই। গানটি ২।৩।২।৩ মাত্রা ছন্দে
ঝাঁপতাল তালে নিবদ্ধ।
[ঝাঁপতাল
তালে নিবদ্ধ রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
- রাগ : কানাড়া। [রবীন্দ্রসঙ্গীতে
রাগ-নির্ণয়। ভি.ভি. ওয়াঝলওয়ার। রবীন্দ্রনাথের প্রেমের গান।
সংগীত-শিক্ষায়তন। বৈশাখ ১৩৯০। পৃষ্ঠা : ৬৯]
- রাগ: দরবারি কানাড়া।
তাল: ঝাঁপতাল
[রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা।
সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস, ডিসেম্বর, ২০০৬)। পৃষ্ঠা: ৬৯]।
- রাগ: দরবারি কানাড়া,
সাহানা। তাল:
ঝাঁপতাল [রাগরাগিণীর
এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই ২০০১,
পৃষ্ঠা: ১২০।
- গ্রহস্বর: সা।
- লয়: মধ্য।