বিষয়: 
রবীন্দ্রসঙ্গীত। 
শিরোনাম: 
আমি চিনি গো চিনি তোমারে  ওগো বিদেশিনী।
পাঠ 
ও পাঠভেদ:  
	- গীতবিতান (বিশ্বভারতী, 
	কার্তিক ১৪১২)-এর 
	পাঠ:  প্রেম  (প্রেম 
বৈচিত্র্য-৫৯) পর্যায়ের 
৮৬ সংখ্যক গান।
	
		
আমি      চিনি গো চিনি    
তোমারে    ওগো বিদেশিনী।
তুমি    
   থাক সিন্ধুপারে    
ওগো বিদেশিনী॥
তোমায়   দেখেছি 
শারদপ্রাতে,    তোমায় দেখেছি মাধবী রাতে,
তোমায়   দেখেছি 
হৃদি-মাঝারে    ওগো বিদেশিনী।
আমি    
  আকাশে পাতিয়া কান    
শুনেছি    শুনেছি তোমারি গান,
আমি    
  তোমারে সঁপেছি 
প্রাণ    ওগো বিদেশিনী।
         
   ভুবন ভ্রমিয়া শেষে       আমি    
এসেছি নূতন দেশে,
আমি     অতিথি তোমারি 
দ্বারে    ওগো বিদেশিনী॥
		
	
MS. NO 290
		
		
		MS. NO 426 (i)
		 
	
	
	
	
	তথ্যানুসন্ধান
		- 
		
		ক. রচনাকাল ও স্থান:
		
		১৩০২ বঙ্গাব্দের ভাদ্র 
মাসের শেষ দিকে রবীন্দ্রনাথ উত্তরবঙ্গ সফর করেন। এই সফরে আশ্বিন মাসে তিনি শিলাইদহে 
কাটান। ২৫ আশ্বিন [শুক্রবার ১১ অক্টোবর ১৮৯৫ খ্রিষ্টাব্দ]  তিনি এই গানটি রচনা 
করেছিলেন। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৩৪ বৎসর ৬ মাস। 
 
 [৩৪ 
	বৎসর 
	অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
 
 উল্লেখ্য, 
		রবীন্দ্রনাথ এই গানটি 
		রচনা করেছিলেন বাল্যকালে শোনা একটি গানের অনুপ্রেরণায়। এ বিষয়ে 'গান 
		সম্বন্ধে প্রবন্ধ'-এ লিখেছেন- 'বহুবাল্যকালে একটা গান শুনিয়াছিলাম- 'তোমায় 
বিদেশিনী সাজিয়ে কে দিলে!' সেই গানের ওই একটিমাত্র পদ মনে এমন একটি অপরূপ চিত্র 
আঁকিয়া দিয়াছিল যে, আজও ওই লাইনটা মনের মধ্যে গুঞ্জন করিয়া বেড়ায়। একদিন ওই গানের 
ওই পদটার মোহে আমিও একটি গান লিখিতে বসিয়াছিলাম। স্বরগুঞ্জনের সঙ্গে প্রথম লাইনটা 
লিখিয়াছিলাম, 'আমি চিনি গো চিনি তোমারে ওগো বিদেশিনী!'
 [সংগীতচিন্তা। রবীন্দ্রনাথ 
ঠাকুর (বিশ্বভারতী, ২৫ বৈশাখ ১৩৯২)]
- 
		
		
		খ. প্রকাশ ও 
		গ্রন্থভুক্তি
		
			- 
			
			গ্রন্থ: 
			
			
				- গীতবিতান
 
- 
				গীতোৎসব (বিশ্বভারতী 
				১৩৩৮)
- 
		শতগান, 
১০ সংখ্যক গান, মিশ্র ঝিঁঝিট-একতাল। সরলাদেবী [সুবর্ণ সংস্করণ, ১৪১৮ বঙ্গাব্দ, ২০১১ 
		খ্রিষ্টাব্দ] সরলাদেবী-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত।
- 
				
				
				স্বরবিতান পঞ্চাশত্তম(৫০, শেফালি) খণ্ডের (চৈত্র ১৪১৩) ১৯ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা: 
৬৬-৬৭।
- 
স্বরলিপি 
				গীতি-মালা (১৩০৪)। ঝিঁঝিট-খাম্বাজ-আড় খেমটা। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ 
				ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি -সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
[নমুনা]
 
 
- পত্রিকা:
			
- গ.
			সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
				- 
	
				স্বরলিপিকার:
					- 
					দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর [মূল স্বরলিপি]।
- 
					জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর 
[সুরান্তর]
 
 
- 
সুর ও 
				তাল: 
 
	- 
	
				স্বরবিতান পঞ্চাশত্তম(৫০, 
	শেফালি) খণ্ডের (চৈত্র ১৪১৩) 
	গৃহীত 
গানটির রাগ-তালের উল্লেখ নেই। গানটি ৩।৩।৩।৩ মাত্রা ছন্দে একতালে নিবদ্ধ। 
	
 
- 
	রাগ : ঝিঁঝিট-খাম্বাজ। তাল: আড় 
খেমটা। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি। [স্বরলিপি গীতি-মালা (১৩০৪)]
 
- 
	রাগ : সরফর্দা। 
স্বরলিপিতে রাগ ও তাল "বেহাগ/কাওয়ালী" বলা হয়েছে। [রবীন্দ্রসঙ্গীতে 
রাগ-নির্ণয়। ভি.ভি. ওয়াঝলওয়ার। রবীন্দ্রনাথের প্রেমের গান। 
সংগীত-শিক্ষায়তন। বৈশাখ ১৩৯০। পৃষ্ঠা : ৭৫]
 
- 
	রাগ: খাম্বাজ। অঙ্গ: কীর্তন। 
	তাল: একতাল। 
	
	[রবীন্দ্রসংগীত: 
			রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬। 
			পৃষ্ঠা: ৩২]
 
- 
	অঙ্গ: কীর্তন। তাল: একতাল।
[রাগরাগিণীর 
			এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই ২০০১] পৃষ্ঠা:
			৬১।]
 
- 
				গ্রহস্বর : সা।
 
- 
লয় : ঈষৎ দ্রুত।