৩৪ বৎসর অতিক্রান্ত বয়স
২৫ বৈশাখ ১৩০২ বঙ্গাব্দ থেকে ২৪ বৈশাখ ১৩০৩ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত (৭ মে ১৮৯৫- ৬ মে ১৮৯৬ খ্রিষ্টাব্দ)
ওঠো রে মলিনমুখ [বিচিত্র-১১] 
	[তথ্য]
		১৩০২ বঙ্গাব্দের ১৬ই ভাদ্র 
	রবীন্দ্রনাথ সাতরা থেকে কলকাতায় ফিরে আসেন। 
	 ২৬ ভাদ্র [বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর  ১৮৯৫ 
	খ্রিষ্টাব্দ] 
		তারিখে জোড়াসাঁকো-তে রবীন্দ্রনাথ এই গানটি রচনা করেন। উল্লেখ্য 
	সমীর মজুমদারে সংগৃহীত রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপি 
	
	RBVBMS 426 (i)
	 [নমুনা]- 
	তে এই গানের নিচে স্থান ও তারিখ লেখা আছে- ২৬ ভাদ্র ১৩০২/যোড়াসাঁকো'। গানটির 
	উপরে লেখা ছিল মুলতান।
 
ঝরঝর বরিষে 
		বারিধারা [প্রকৃতি-২৮] [তথ্য]
		
		১৩০২ বঙ্গাব্দের
	ভাদ্র মাসের শেষ দিকে রবীন্দ্রনাথ উত্তরবঙ্গ সফর করেন। এই সফরে, তিনি আশ্বিন মাসের ১-৪ 
	তারিখের ভিতরে শিলাইদহে আসেন। এই সময় তিনি এই গানটি গানটি রচনা করেছিলেন।
 
বিশ্ববীণারবে বিশ্বজন মোহিছে [প্রকৃতি-১] 
[তথ্য]
		আশ্বিন মাসের ৪-৯ 
	তারিখের ভিতরে রবীন্দ্রনাথ 'বিশ্ববীণারবে বিশ্বজন মোহিছে' গানটি লেখা শুরু 
	করেন। 
	 RBVBMS 426 (i) 
	 -তে লিখিত 
		পাণ্ডুলিপি থেকে জানা  যায়, রবীন্দ্রনাথ এই গানটির বসন্তের অংশ রচিত 
		করেছিলেন ৪ আশ্বিন [২০ সেপ্টেম্বর ১৮৯৫ 
খ্রিষ্টাব্দ] এবং বর্ষা ও শরতের অংশ রচনা করেছিলেন '৯ আশ্বিনে [২৫ সেপ্টেম্বর ১৮৯৫ খ্রিষ্টাব্দ]। 
		
 
পাণ্ডুলিপির পাঠ দেখে মনে হয়, রবীন্দ্রনাথ ৪ঠা আশ্বিন 'বিশ্ববীণারবে বিশ্বজন মোহিছে' গানটির 'বসন্ত' অংশ রচনা করার পর, 'আষাঢ় এবং আশ্বিন' অংশ রচনায় মনোনিবেশ করেন নি। গানটির প্রথমাংশ এবং শেষাংশ রচনার ভিতরে ৫ দিনের একটি অবসর রয়েছে। এর ভিতরে তিনি রচনা করেন এই মোট চারটি গান। অন্য তিনটি গান হল—
৫ আশ্বিন [রবিবার ২১ সেপ্টেম্বর ১৮৯৫ খ্রিষ্টাব্দ] ওলো সই, ওলো সই [প্রেম-৮১] [তথ্য]
৫ আশ্বিন [রবিবার ২১ সেপ্টেম্বর ১৮৯৫ খ্রিষ্টাব্দ] মধুর মধুর ধ্বনি বাজে [বিচিত্র-১০] [তথ্য]
৮ আশ্বিন [মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ১৮৯৫ খ্রিষ্টাব্দ] বেলা গেল তোমার পথ চেয়ে [পূজা-১৪৮ [তথ্য]
৯ আশ্বিন [বুধবার ২৪ সেপ্টেম্বর ১৮৯৫ খ্রিষ্টাব্দ]-এর ভিতরে। আজি মোর দ্বারে [প্রেম ও প্রকৃতি ৫৪] [তথ্য]
'বিশ্ববীণারবে বিশ্বজন মোহিছে' গানটির বর্ষা ও শরতের অংশ রচনা করেছিলেন '৯ আশ্বিনে [২৫ সেপ্টেম্বর ১৮৯৫ খ্রিষ্টাব্দ]।
	এরপর এই মাসের অবশিষ্ট দিনগুলোতে রবীন্দ্রনাথ ৯টি গান রচনা করেন। এই গানগুলো 
	হলো
        ১২ আশ্বিন [শনিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ১৮৯৫ 
	খ্রিষ্টাব্দ]  কে দিল আবার আঘাত
        ১৩ আশ্বিন [রবিবার ২৯ সেপ্টেম্বর ১৮৯৫ 
	খ্রিষ্টাব্দ]  এসো গো নূতন জীবন
        ১৪ আশ্বিন [সোমবার ৩০ সেপ্টেম্বর ১৮৯৫ 
	খ্রিষ্টাব্দ]  পুষ্পবনে পুষ্প নাহি
        ১৫ আশ্বিন [মঙ্গলবার ১ অক্টোবর ১৮৯৫ 
	খ্রিষ্টাব্দ]  জাগি পোহালো বিভাবরী
        ১৬ আশ্বিন [বুধবার ২ অক্টোবর ১৮৯৫ 
	খ্রিষ্টাব্দ]  ওহে অনাদি অসীম
        ১৮ আশ্বিন [শুক্রবার ৪ অক্টোবর ১৮৯৫ 
	খ্রিষ্টাব্দ]  তোমার গোপন কথাটি
        ২৩ আশ্বিন [বুধবার ৯ অক্টোবর ১৮৯৫ 
	খ্রিষ্টাব্দ]  
	চিত্ত পিপাসিত রে [প্রেম-১] 
	[তথ্য]
        ২৫ আশ্বিন [শুক্রবার ১১ অক্টোবর ১৮৯৫ 
	খ্রিষ্টাব্দ]  আমি চিনি গো চিনি তোমারে
        ২৯ আশ্বিন [মঙ্গলবার ১৫ অক্টোবর ১৮৯৫ 
	খ্রিষ্টাব্দ]  আমরা লক্ষ্মীছাড়ার দল
এরপর কার্তিক মাসের ১ তারিখে ১টি গান রচনা করার পর ১৫ দিন রবীন্দ্রনাথ আর 
	কোনো গান রচনা করেন নি। এই গানটি হলো
        ১ কার্তিক [বৃহস্পতিবার ১৭ অক্টোবর 
	১৮৯৫ খ্রিষ্টাব্দ]  ওগো ভাগ্যদেবী পিতামহী
এরপর রবীন্দ্রনাথ শিলাইদহ 
	থেকে কলকাতায় ফিরে আসেন ১১ কার্তিকে। এরপর জোড়াসাঁকোর বাড়িতে তিনি কার্তিক 
	মাসেরর পুরো সময়টাই কাটান। এই সময়ে তিনি ৯টি নতুন গান রচনা করেন। গানগুলো হলো-
        ১৬ কার্তিক [শুক্রবার ১ নভেম্বর ১৮৯৫ 
	খ্রিষ্টাব্দ]  একি আকুলতা ভুবনে
        ১৮ কার্তিক [রবিবার ৩ নভেম্বর ১৮৯৫ 
	খ্রিষ্টাব্দ]  তুমি রবে নীরবে
        ২১ কার্তিক [বুধবার ৬ নভেম্বর ১৮৯৫ 
	খ্রিষ্টাব্দ]  সে আসে ধীরে
        ২২ কার্তিক [বৃহস্পতিবার ৭ নভেম্বর 
	১৮৯৫ খ্রিষ্টাব্দ]  কে উঠে ডাকি
        ২৩ কার্তিক [শুক্রবার ৮ নভেম্বর ১৮৯৫ 
	খ্রিষ্টাব্দ]  ওহে সুন্দর মম গৃহে আজি
        ২৪ কার্তিক [শনিবার ৯ নভেম্বর ১৮৯৫ 
	খ্রিষ্টাব্দ]  তুমি যেয়ো না এখনি
        ২৫ কার্তিক [রবিবার ১০ নভেম্বর ১৮৯৫ 
	খ্রিষ্টাব্দ]  আকুল কেশে আসে [তথ্য]
        ২৯ কার্তিক [বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর 
	১৮৯৫ খ্রিষ্টাব্দ]  হৃদয়শশী হৃদিগগনে
        ২৯ কার্তিক [বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর 
	১৮৯৫ খ্রিষ্টাব্দ]  
		কী 
		রাগিণী বাজালে হৃদয়ে 
		[প্রেম-৫৫] [তথ্য]
	
	কলকাতা থেকে অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম দিকে তিনি উত্তর বঙ্গে আসেন।
	২৩ অগ্রহায়ণ তারিখে সাজাহাতপুর থেকে নৌকাযোগে শিলাইদহ অভিমুখে যাত্রা করেন। এই 
	সময় নৌকাতে তিনি রচনা করেন উর্বশী নামক একটি কবিতা। এই কবিতাটি 
	চিত্রা কাব্যে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এই কবিতাটির প্রথম স্তবকটিতে সুরারোপ করে 
	গান পরিণত করেন। তবে কখন এই সুরারোপ করেছিলেন, তা জানা যায় না। এই গানটি 
	শাপমোচন কথিকাতে ব্যবহৃত হয়েছে। গানটি হলো
        ২৩ অগ্রহায়ণ [রবিবার ৪ ডিসেম্বর]  
	নহ মাতা  নহ কন্যা। [শিরোনাম উর্বশী]
ডিসেম্বর মাসের প্রথমার্ধেই রবীন্দ্রনাথ কলকাতা ফিরে আসেন। ১১ই মাঘ ষষ্ঠষষ্টিতম সাম্বৎসরিক ব্রাহ্মসমাজে তিনি দুটি গান রচনা করেন। এই গান দুটি হলো—
১. বিশ্বরাজালয়ে বিশ্ববীণা বাজিছে [আনুষ্ঠানিক-১৯] [তথ্য] [প্রারম্ভিক রচনাকাল ৪ আশ্বিন, ২০ সেপ্টেম্বর ১৮৯৫ খ্রিষ্টাব্দ]-এর বর্ধিত অংশ।
ৱ দ্বিতীয়
২. পাদপ্রান্তে রাখ সেবকে [পূজা-১২৫] [তথ্য]
২৫ মাঘ-এ রবীন্দ্রনাথ 
	নারীর দান শিরোনামে একটি কবিতা রচনা করেন। বর্তমানে এই কবিতাটি চিত্রা 
	কাব্যে পাওয়া যায়। পরে এই কবিতাটিতে তিনি সুরারোপ করেছিলেন। ভৈরবী-ঝাঁপতালে 
	রচিত এই গানটির স্বরলিপি স্বরবিতানে গৃহীত হয় নি। এই গানটি হলো—
        একদা প্রাতে কুঞ্জতলে।
৪ ফাল্গুন-এ রবীন্দ্রনাথ
	দুরাকাঙ্ক্ষা  শিরোনামে একটি কবিতা রচনা করেন। বর্তমানে এই কবিতাটি
	চিত্রা কাব্যে পাওয়া যায়। পরে এই কবিতাটিতে তিনি সুরারোপ করেছিলেন। 
	গৌড়সারং-একতাল-এ রচিত এই গানটির স্বরলিপি স্বরবিতানে গৃহীত হয় নি। এই গানটি হলো—
	         
	কেন নিবে গেল বাতি।
২৯ চৈত্র-এ রবীন্দ্রনাথ 
	একটি কবিতা রচনা করেন। এর শিরোনাম গান । বর্তমানে এই কবিতাটি চৈতালি 
	কাব্যে পাওয়া যায়। এই কবিতার মধ্যবর্তী স্তবক বাদ দিয়ে তিনি সুরারোপ করেছিলেন। 
	গীতবিতানে এই গানের রাগ-তাল হিসাবে কাফি-কাওয়ালি উল্লেখ আছে। এই গানের স্বরলিপি 
	স্বরবিতানের কোনো খণ্ডেই নেই। গানটি হলো-
        তুমি পড়িতেছ হেসে।
১৩০৩ বঙ্গাব্দের ১৪ 
	বৈশাখ-এ দ্বিপেন্দ্রনাথের কন্যা নলিনীর সাথে আশুতোষ চৌধুরীর ছোটো ভাই ডাঃ 
	সুহৃৎনাথ চৌধুরীর বিবাহ হয়। এই বিবাহ উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ একটি গান রচনা করেন। 
	প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় তাঁর গীতবিতান কালানুক্রমিক সূচী গ্রন্থে এই 
	গানের রচনার দিন উল্লেখ করেছেন ৯ বৈশাখ। আবার প্রশান্তকুমার তাঁর রবিজীবনী 
	চতুর্থ খণ্ডে গানটির রচনাকাল হিসাবে উল্লেখ করেছেন ১৩ বৈশাখ। 
	গানটি হলো–
	        
	উজ্জ্বল 
	করো হে আজি [আনুষ্ঠানিক-৩] [তথ্য]