বেলা গেল তোমার পথ চেয়ে।
শূন্য ঘাটে একা আমি, পার ক'রে লও খেয়ার নেয়ে ॥
ভেঙে এলেম খেলার বাঁশি, চুকিয়ে এলেম কান্না হাসি,
সন্ধ্যাবায়ে শ্রান্তকায়ে ঘুমে নয়ন আসে ছেয়ে ॥
ও পারেতে ঘরে ঘরে সন্ধ্যাদীপ জ্বলিল রে,
আরতির শঙ্খ বাজে সুদূর মন্দির-'পরে।
এসো এসো শ্রান্তিহরা, এসো শান্তি-সুপ্তি-ভরা,
এসো এসো তুমি এসো, এসো তোমার তরী বেয়ে ॥
'১৩৩৯ সালের মাঘ মাসে এই পত্রিকার ৬০৬ পৃষ্ঠায় একটি গান স্বরলিপিসহ ছাপ। হয়েছিল "দীননাথ বেলা গেল”-তার সুর পূরবী আর তাল পঞ্চম-সওয়ারী। স্বরলিপিকার উহা জানিয়েছেন যে গানটির রচয়িতা অজ্ঞাত।
বক্ষ্যমান গানটির দু'একটা কথা বাদ দিলেই পাঠক দেখতে পাবেন এটা রবীন্দ্রনাথের বহু পুরাতন নানা গীতি পুস্তকে মুদ্রিত গান "বেলা গেল তোমার পথ চেয়ে।” সুর ও রবীন্দ্রনাথের রচনা। আসল গানটি ও তার
স্বরলিপির ভুল সংশোধন করিবার জন্য ছাপাতে বাধ্য হলাম। অনবধানবশতঃ এটা ইতিপূর্ব্বে আমার নজরে পড়েনি,
তার জন্য ত্রুটি স্বীকার করছি।'
উক্ত পত্রিকা প্রকাশিত 'অজ্ঞাত পরিচয়ের কথা' নিচে দেওয়া হলো-
দীননাথ বেলা গেল তব পথ পানে চেয়ে,
শূন্যঘাটে একা আমি পার করে দাও পারের নেয়ে।
শুনে এলাম ব্যাধের বাঁশি,
মিটিয়ে এলাম কান্না হাসি,
শ্রান্ত কায়ে সন্ধ্যা বায়ে ঘুমে নয়ন আসে ছেয়ে।
ওপারেরি ঘরে ঘরে সন্ধ্যা দীপ জ্বলিল রে,
আরতির শঙ্খ বাজে সুদূর মন্দির পরে;
এস এস শ্রান্তিহরা,
সুখ শান্তি তৃপ্তি ভরা,
এস এস তুমি এস, এস তোমার তরী বেয়ে ॥