বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম: বেলা গেল তোমার পথ
চেয়ে
পাঠ
ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৪১২)-এর পাঠ: পূজা : ১৪৮
বেলা গেল তোমার পথ চেয়ে।
শূন্য ঘাটে একা আমি, পার ক'রে লও খেয়ার নেয়ে
॥
ভেঙে এলেম খেলার বাঁশি, চুকিয়ে এলেম কান্না হাসি,
সন্ধ্যাবায়ে শ্রান্তকায়ে ঘুমে নয়ন আসে ছেয়ে
॥
ও পারেতে ঘরে ঘরে সন্ধ্যাদীপ জ্বলিল রে,
আরতির শঙ্খ বাজে সুদূর মন্দির-'পরে।
এসো এসো শ্রান্তিহরা, এসো শান্তি-সুপ্তি-ভরা,
এসো এসো তুমি এসো, এসো তোমার তরী বেয়ে
॥
RBVBMS 426 (i)
[নমুনা
]
পাঠভেদ:
তথ্যানুসন্ধান
RBVBMS 426 (i)
পাণ্ডুলিপিতে লিখিত এই গানের শেষে তারিখ উল্লেখ আছে- ''৮ আশ্বিন।
১৩০২/শিলাইদহ/বোট'। উল্লেখ্য ১৩০২ বঙ্গাব্দের ভাদ্র মাসের শেষ দিকে
রবীন্দ্রনাথ উত্তরবঙ্গ সফর করেন। এই সময় আশ্বিন মাসের পুরো সময়টুকু তিনি শিলাইদহে
কাটান। ৮ই আশ্বিন তিনি এই গানটি রচনা করেন। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৩৪ বৎসর ৫ মাস।
[
রবীন্দ্রনাথের ৩৪ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
রেকর্ডসূত্র: ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দের ৫ অক্টোবর গ্রামোফোন কোম্পানি ও
রবীন্দ্রনাথের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তিপত্রে
রবীন্দ্রনাথের স্বকণ্ঠে ২৫টি গান ও কবিতা রেকর্ড করার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। এই
বছরেই রবীন্দ্রনাথের কণ্ঠে বেলেঘাটায় গ্রামোফোন কোম্পানির স্টুডিওতে যে গান
ও কবিতা রেকর্ড করা হয়েছিল, তার ভিতরে এই গানটি ছিল। রেকর্ড নম্বর ছিল
BD 12141
। তবে এই রেকর্ডটির কোনো সন্ধান পাওয়া যায় নি।
প্রকাশের কালানুক্রম:
গানটি প্রথম ১৩০৩ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত
কাব্যগ্রন্থাবলী-র অন্তর্ভুক্ত হয়ে
প্রকাশিত হয়েছিল। এরপর যে সকল গ্রন্থে গানটি স্থান পেয়েছিল, তা হলো-
স্বরলিপি-গীতিমালা (১৩০৪),
কাব্যগ্রন্থ অষ্টম খণ্ড
(১৩১০) ও
কাব্যগ্রন্থ দশম খণ্ড
(১৩২৩)।
এসব
গ্রন্থাদির পরে
১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত
গীতবিতান
-এর
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণে-
গানটি প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
এরপর
এই গ্রন্থের
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে।
এই সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল
পূজা,
পর্যায়ের বিরহ' উপবিভাগের ২১ সংখ্যক গান
হিসেবে।
১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন
মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের
পূজা
পর্যায়ে ১৪৮
সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল ।
গানটি একইভাবে অখণ্ড গীতাবিতানের তৃতীয় সংস্করণ
প্রকাশিত হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
- স্বরলিপিকার: জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপিটি 'স্বরলিপি-গীতিমালা'
থেকে
গৃহীত স্বরলিপিটিকে- স্বরবিতান-১০'এর ১০৩ পৃষ্ঠায় সুরভেদ হিসাবে
দেখানো
হয়েছে। বর্তমান স্বরবিতান-১০'এ গৃহীত স্বরলিপিটি
কে
করেছেন তা জানা যায় না।
[জ্যোতিরিন্দ্রনাথ
ঠাকুর-কৃত রবীন্দ্রনাথের স্বরলিপির তালিকা]
- সুর ও তাল
- পূরবী। একতালা [রবীন্দ্র-পাণ্ডুলিপি
MS.
NO 426 (i)
[নমুনা] ।
স্বরবিতান-১০
রাগ:
মিশ্র পূরবী। তাল: একতাল রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা।
সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস, ডিসেম্বর, ২০০৬)। পৃষ্ঠা:
৭০]।
রাগ: পূরবী।
তাল:
একতাল[রাগরাগিণীর
এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই ২০০১, পৃষ্ঠা:
১২২।
[একতালে
নিবদ্ধ রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
গ্রহস্বর: গা।
লয়: মধ্য।