স্বপ্নে আমার মনে হল কখন ঘা দিলে আমার দ্বারে, হায়।
আমি জাগি নাই জাগি নাই গো,
তুমি মিলালে অন্ধকারে, হায়॥
অচেতন মনো-মাঝে তখন রিমিঝিমি ধ্বনি বাজে,
কাঁপিল বনের ছায়া ঝিল্লিঝঙ্কারে।
আমি জাগি নাই জাগি নাই গো, নদী বহিল বনের পারে॥
পথিক এল দুই প্রহরে পথের আহবান আনি ঘরে।
শিয়রে নীরব বীণা বেজেছিল কি জানি না-
জাগি নাই জাগি নাই গো,
ঘিরেছিল বনগন্ধ ঘুমের চারি ধারে॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: পাণ্ডুলিপির পাঠ: রবীন্দ্রনাথের দুটি পাণ্ডুলিপিতে গানটি পাওয়া যায়। যথা:
Ms.159
Ms.160 [নমুনা]
Ms.199
পাঠভেদ: গানটির স্বতন্ত্র কাব্যরূপ রয়েছে; 'সানাই' কাব্যগ্রন্থে যেটি 'আধোজাগা' শিরোনামে প্রকাশিত হয়।
রেকর্ডসূত্র:
প্রকাশের
কালানুক্রম: গানটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পাদিত গীতবিতান বিরল
প্রচার
সংস্করণের দ্বিতীয় খণ্ডে (ভাদ্র ১৩৪৬ বঙ্গাব্দ)
প্রথম প্রকাশিত হয়।
গ. সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলি:
স্বরলিপিকার: শৈলজারঞ্জন মজুমদার।
সুর ও তাল:
স্বরবিতান অষ্টপঞ্চাশত্তম (৫৮) খণ্ডের (জ্যৈষ্ঠ ১৪১৩ বঙ্গাব্দ) গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ২।৪ মাত্রা ছন্দে ষষ্ঠী তালে নিবদ্ধ।
রাগ: হাম্বীর। তাল: ষষ্ঠী। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা, সুধীর চন্দ, প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬], পৃষ্ঠা: ৮৩।
রাগ: হাম্বীর, কেদারা। তাল: ষষ্ঠী। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা: ১৪৩।
বিষয়াঙ্গ:
সুরাঙ্গ:
গ্রহস্বর: পা।
লয়: মধ্য।