বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
আর নাই
যে দেরি, নাই যে দেরি।
পাঠ ও পাঠভেদ:
সামনে সবার পড়ল ধরা তুমি যে, ভাই, আমাদেরই॥
হিমের বাহু-বাঁধন টুটি পাগ্লাঝোরা পাবে ছুটি,
উত্তরে এই হাওয়া তোমার বইবে উজান কুঞ্জ ঘেরি॥
নাই যে দেরি নাই যে দেরি।
শুনছ না কি জলে স্থলে জাদুকরের বাজল ভেরী।
দেখছ নাকি এই আলোকে খেলছে হাসি রবির চোখে―
সাদা তোমার শ্যামল হবে, ফিরব মোরা তাই যে হেরি॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: [RBVBMS 131] [নমুনা]
পাঠভেদ:
ভাবসন্ধান: যুক্ত হবে।
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
RBVBMS 131-তে
লিখিত এই গানটির সাথে গানটি রচনার স্থান ও তারিখ উল্লেখ আছে-'সুরুল/১৪ই
ফাল্গুন/প্রভাত'।
উল্লেখ্য, ১৩২১ বঙ্গাব্দের
১২ই ফাল্গুন, রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকতেন থেকে সুরুলে যান।
এখানে তিনি ২৩ ফাল্গুন পর্যন্ত ছিলেন। এই সময়ের ভিতরে তিনি এই গানটি-সহ
তিনি মোট ১৫টি গান রচনা করেছিলেন। এই সময়ে ১৪ই ফাল্গুন সকালবেলায় তিনি এই গানটি রচনা
করেছিলেন।
এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল--
৫৩
বৎসর ১০ মাস।
[রবীন্দ্রনাথের
৫৩ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ
ঋতু-উৎসব [বিশ্বভারতী। ১৩৩৩ বঙ্গাব্দ। ফাল্গুনী। তৃতীয় দৃশ্যের গীতিভূমিকা। আসন্ন মিলনের গান। দ্বিতীয় গান। পৃষ্ঠা ১৯০] [নমুনা]
দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৩৮)।
দ্বিতীয় খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৪৮)।
অখণ্ড সংস্করণ,তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৮০)। প্রকৃতি (উপ-বিভাগ : শীত-৭) পর্যায়ের ১৮২ সংখ্যক গান।
প্রথম
সংস্করণের [ইন্ডিয়ান প্রেস, ১৩২২ বঙ্গাব্দ (১৯১৬
খ্রিষ্টাব্দ)।
তৃতীয় দৃশ্যের গীতি-ভূমিকা। দ্বিতীয় গান। আসন্ন মিলনের গান।
পৃষ্ঠা ৫৪] [নমুনা]
স্বরবিতান সপ্তম (৭, ফাল্গুনী) খণ্ডের (কার্তিক ১৪১৩) ১৬ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ৫০-৫১।
পত্রিকা:
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
স্বরলিপিকার: শৈলজারঞ্জন মজুমদার। [সূত্র : স্বরবিতান সপ্তম খণ্ডে (কার্তিক, ১৪১৩)]
সুর ও তাল:
স্বরবিতান সপ্তম
খণ্ডে (কার্তিক ১৪১৩)
গৃহীত
স্বরলিপিতে রাগ-তালের
উল্লেখ নেই।
উক্ত
স্বরলিপিটি ৩।৩ মাত্রা
ছন্দে
দাদরা
তালে নিবদ্ধ।
[স্বরলিপি]
রাগ: পিলু। তাল: দাদরা। [রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬)। পৃষ্ঠা: ৩৪।]
রাগ: সিন্ধু। তাল: দাদরা [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৬৩।]
গ্রহস্বর : গা।
লয় : মধ্য।